Dhaka ১১:৩২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন, এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ

দুর্গম চরের শিশুরা পাবে শিক্ষার আলো

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২
  • / ১২১৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চর কুশাহাটা। এই গ্রামের শিশুরা পাবে শিক্ষার আলো। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন, এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে উদ্যোগি হয়ে চরের শিশুদের পড়াশোনার বন্দোবস্ত করেছে। গত শুক্রবার এ তিন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একটি স্কুল ঘর নির্মাণ ও শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কুশাহাটা চরে নেই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানকার শিশুদের বেশির ভাগই শিক্ষা বঞ্চিত। কিছুদিন আগে ওয়াজউদ্দিন নামে এক যুবক শিশুদের পড়াশোনা করানোর উদ্যোগ নেন। তিনি এলাকার শিশুদের একত্র করে পাঠদান করাতেন। বর্তমানে তার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ জন। কিন্তু এ শিশুদের পাঠদানের জন্য ভালো একটি স্কুল ঘর ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ছিল। টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাদের সাথে সামিল হয় এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন।

গত শুক্রবার তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে শিক্ষা উপকরণ ও স্কুল ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসময় টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহŸায়ক জয়ন্ত কুমার দাস,  সদস্য সচিব আহসান হাবীব হাসু, সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, কমল কান্তি সরকার, আব্দুস সালাম, ফারুক উদ্দিন, ইসহাক আহমেদ।

গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের শেখ, এ্যাডমিন আশরাফুল আলম, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম প্রমুখ।

পায়াকট বাংলাদেশ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার মজিবুর রহমান জুয়েল, শেখ রাজীব।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক গণেশ পাল, মোজাম্মেল হক লাল্টু, জহুরুল ইসলাম হালিম প্রমুখ।

টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গম চরে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের খবর পেয়ে তিনি সহ তার সংগঠনের অনন্য নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে বিষয়টি দেখেছেন। শিশুরা যাতে আনন্দের সাথে পাঠদান করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছেন। তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন, এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগ

দুর্গম চরের শিশুরা পাবে শিক্ষার আলো

প্রকাশের সময় : ০৬:১১:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর ২০২২

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চর কুশাহাটা। এই গ্রামের শিশুরা পাবে শিক্ষার আলো। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন, এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন যৌথভাবে উদ্যোগি হয়ে চরের শিশুদের পড়াশোনার বন্দোবস্ত করেছে। গত শুক্রবার এ তিন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে একটি স্কুল ঘর নির্মাণ ও শিশুদের শিক্ষা উপকরণ দেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, কুশাহাটা চরে নেই কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখানকার শিশুদের বেশির ভাগই শিক্ষা বঞ্চিত। কিছুদিন আগে ওয়াজউদ্দিন নামে এক যুবক শিশুদের পড়াশোনা করানোর উদ্যোগ নেন। তিনি এলাকার শিশুদের একত্র করে পাঠদান করাতেন। বর্তমানে তার ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৮০ জন। কিন্তু এ শিশুদের পাঠদানের জন্য ভালো একটি স্কুল ঘর ও প্রয়োজনীয় উপকরণের অভাব ছিল। টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন বিষয়টি জানতে পেরে তাদের সহায়তার উদ্যোগ গ্রহণ করে। তাদের সাথে সামিল হয় এনজিও পায়াকট বাংলাদেশ এবং গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশন।

গত শুক্রবার তিনটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে গিয়ে শিক্ষা উপকরণ ও স্কুল ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এসময় টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির আহŸায়ক জয়ন্ত কুমার দাস,  সদস্য সচিব আহসান হাবীব হাসু, সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, কমল কান্তি সরকার, আব্দুস সালাম, ফারুক উদ্দিন, ইসহাক আহমেদ।

গোয়ালন্দ ফাউন্ডেশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাবেয়া ইদ্রিস মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদের শেখ, এ্যাডমিন আশরাফুল আলম, দৌলতদিয়া মডেল হাইস্কুল এর প্রধান শিক্ষক মুহাম্মদ সহিদুল ইসলাম, সহকারী শিক্ষক আবুল কাশেম প্রমুখ।

পায়াকট বাংলাদেশ এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজার মজিবুর রহমান জুয়েল, শেখ রাজীব।

অন্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন কালের কন্ঠ প্রতিনিধি সাংবাদিক গণেশ পাল, মোজাম্মেল হক লাল্টু, জহুরুল ইসলাম হালিম প্রমুখ।

টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক জয়ন্ত কুমার দাস বলেন, সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্যেই টিম রাজবাড়ী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দুর্গম চরে শিক্ষাবঞ্চিত শিশুদের খবর পেয়ে তিনি সহ তার সংগঠনের অনন্য নেতৃবৃন্দ সরেজমিনে বিষয়টি দেখেছেন। শিশুরা যাতে আনন্দের সাথে পাঠদান করতে পারে সে ব্যবস্থা করেছেন। তাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।