Dhaka ১১:০৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাংশায় সৌদি প্রবাসীর উপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মুনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১২৯২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জোনা গ্রামে  সৌদি প্রবাসী সহিদ প্রামাণিককে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি একই গ্রামের মৃত কোকিল প্রামাণিকের ছেলে। হামলার ঘটনায় সহিদ প্রামানিক বাদী হয়ে গত রোববার বিকেলে পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব বিশ^াস মুনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা করেছেন। অপর দুই আসামি হলো একই ইউনিয়নের মুচিদহ গ্রামের ইসলাম মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও ইয়াকুব আলী বিশ^াসের ছেলে সিদ্দিক বিশ^াস। পুলিশ এদের মধ্যে সিদ্দিক বিশ^াসকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহিদ প্রমাণিক জানান, দীর্ঘ দেড় বছর  তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি  দেশে এসে অটো রাইচ মিল দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছিলেন। গত শুক্রবার রাতে প্রতিবেশি সন্তোষ মন্ডল তাকে ডেকে নিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান মুনা বিশ^াস তোর নামে অবজেকশন দিয়েছে। তিনি জোরের সাথে তাকে বলেন, এটা হতেই পারেনা। আমি কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত নই এমন আত্মবিশ^াস নিয়ে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন দেই। চেয়ারম্যান তার অবস্থান জেনে নিজেই সেখানে আসেন। এরপর তার উপর মিথ্যা দোষ চাপিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তিনি প্রতিবাদ করায় সেখানে থাকা চেয়ার দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন। তার দুই সহযোগী সিদ্দিক ও রবিউলও রড দিয়ে তাকে পেটায়। তিনি প্রাণভয়ে কোনোমতে দৌড়ে পালান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি এর বিচার চাই।

পাংশা থানার ওসি একেএম শাহাদত হোসেন জানান, এ ঘটনায় পাংশা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ  মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য দুজন পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ^াস মুনার মোবাইল ফোনে সোমবার দুপুর একটার দিকে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সহিদ ফোন করে ডেকে নিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। এজন্য তাকে মারধর করেছেন? জানতে চাইলে বলেন, আমি কোনো মারধর করিনি। তাহলে সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওর কিছুই হয়নি। হাতও ভাঙেনি। এমনইি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশায় সৌদি প্রবাসীর উপর হামলার অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান মুনাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৫:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের জোনা গ্রামে  সৌদি প্রবাসী সহিদ প্রামাণিককে রড ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। বর্তমানে তিনি পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তিনি একই গ্রামের মৃত কোকিল প্রামাণিকের ছেলে। হামলার ঘটনায় সহিদ প্রামানিক বাদী হয়ে গত রোববার বিকেলে পাট্টা ইউপি চেয়ারম্যান ও  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রব বিশ^াস মুনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পাংশা থানায় মামলা করেছেন। অপর দুই আসামি হলো একই ইউনিয়নের মুচিদহ গ্রামের ইসলাম মন্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম ও ইয়াকুব আলী বিশ^াসের ছেলে সিদ্দিক বিশ^াস। পুলিশ এদের মধ্যে সিদ্দিক বিশ^াসকে গ্রেপ্তার করেছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সহিদ প্রমাণিক জানান, দীর্ঘ দেড় বছর  তিনি সৌদি আরবে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি  দেশে এসে অটো রাইচ মিল দেওয়ার চিন্তা ভাবনা করছিলেন। গত শুক্রবার রাতে প্রতিবেশি সন্তোষ মন্ডল তাকে ডেকে নিয়ে বলেন, চেয়ারম্যান মুনা বিশ^াস তোর নামে অবজেকশন দিয়েছে। তিনি জোরের সাথে তাকে বলেন, এটা হতেই পারেনা। আমি কোনো অন্যায়ের সাথে জড়িত নই এমন আত্মবিশ^াস নিয়ে আমি চেয়ারম্যানকে ফোন দেই। চেয়ারম্যান তার অবস্থান জেনে নিজেই সেখানে আসেন। এরপর তার উপর মিথ্যা দোষ চাপিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে শুরু করেন। তিনি প্রতিবাদ করায় সেখানে থাকা চেয়ার দিয়ে তাকে পেটাতে থাকেন। তার দুই সহযোগী সিদ্দিক ও রবিউলও রড দিয়ে তাকে পেটায়। তিনি প্রাণভয়ে কোনোমতে দৌড়ে পালান। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। তিনি কান্নজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি কোনো অন্যায় করিনি। আমি এর বিচার চাই।

পাংশা থানার ওসি একেএম শাহাদত হোসেন জানান, এ ঘটনায় পাংশা থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ  মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য দুজন পলাতক থাকায় গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বিশ^াস মুনার মোবাইল ফোনে সোমবার দুপুর একটার দিকে কল দিয়ে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, সহিদ ফোন করে ডেকে নিয়ে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করতে চেয়েছিল। এজন্য তাকে মারধর করেছেন? জানতে চাইলে বলেন, আমি কোনো মারধর করিনি। তাহলে সে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কেন? এ প্রশ্নের জবাবে বলেন, ওর কিছুই হয়নি। হাতও ভাঙেনি। এমনইি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।