Dhaka ০৬:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে দুটি মন্দিরের অনুদান কোষাগারে ফেরত

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১
  • / ১২২২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ভূয়া মন্দির দেখিয়ে সরকারী অনুদানের চাল আতœসাতের দায়ে দু,টি মন্দিরের বরাদ্দের অর্থ সরকারী কোষাগারে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাম গোপাল চট্রোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক নিতিশ চন্দ্র মন্ডল স্বাক্ষরিত ২৫টি মন্দিরে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন করেন। শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ২১টি মন্দিরের অনুকুলে প্রতিটি মন্দিরে ৫শত কেজি করে জিআর চাল মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দের খাওয়ানোর জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। রাজবাড়ী জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (চ.দা.) সৈয়দ আরিফুল হক স্বাক্ষরিত গত ২১ অক্টোবর তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকুলে উপ-বরাদ্দ প্রদান করেন।

অনুদানপ্রাপ্ত ২১টি মন্দির হলো, শ্রী শ্রী রাধানাথ অঙ্গণ, জামালপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, তুলশীবরাট বলাই মাষ্টারের বাড়ী দুর্গা মন্দির, রায়পুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, ইলিশকোল-রায়পুর সার্বজনীন শ্মশান মন্দির, সাধুখালী শ্রী শ্রী যুগল কিশোর অঙ্গণ, পুরাতন ঘুরঘুরিয়া বলরাম মন্ডলের বাড়ী সার্বজনীন  পুজা মন্দির, তালতলা সার্বজনীন পূজা মন্দির, সোনাপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, আলোকদিয়া সাহাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বেতেঙ্গা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বালিয়াকান্দি শ্মশান মন্দির, সাধুখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, সমাধিনগর আর্য্য সংঘ সার্বজনীন নাট মন্দির, বহরপুর সাহাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, সোনাপুর দক্ষিণপাড়া চন্দনা সার্বজনীন পুজা মন্দির, বন্যতৈল কাত্যায়নী মন্দির, সাধুখালী সরকার বাড়ী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, রায়পুর উত্তরপাড়া দুর্গা মন্দির, ইলিশকোল কলেজপাড়া দুর্গা মন্দির, নতুন ঘুরঘুরিয়া রাজন সরকারের বাড়ী দুর্গা মন্দির।

এ ব্যাপারে সাধুখালী গ্রামের গৌর বিশ্বাস, অধ্যক্ষ রমেন বাছাড়, সরজিৎ সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী ভাবে আতœসাৎকৃত চালের অর্থ ফেরত প্রদান করা হলেও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এটি একটি লজ্জাজনক ও দুঃখজনক  ঘটনা। আমরা এ কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।

শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে আগত ভক্তদের আপ্যায়নের লক্ষে ২১টি মন্দিরে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিতিশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়ীতে অবস্থিত সাধুখালী শ্রী শ্রী যুগল কিশোর অঙ্গণের সভাপতি হিসেবে তার আপন ভাই সুকদেব মন্ডলকে দেখিয়ে ও সাধুখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের নামে ভূয়া মন্দির দেখিয়ে অনুদান গ্রহণের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি ছাপা হয় ও গ্রামবাসী শাস্তির দাবীতে মানববন্ধনসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস,এম আবু দারদাকে আহবায়ক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা এবং আমার বাড়ী আমার খামারের সমন্বয়কারী বিধান কুমার দাসকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস,এম আবু দারদা বলেন, তদন্ত পুর্বক দু,টি মন্দির ভূয়া দেখিয়ে চাল আতœসাতের সত্যতা পাওয়ায় সরকারী অর্থ ফেরতের সুপারিশ করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি-সম্পাদক আবেদনের প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য মহোদয়ের ডিও লেটার নিয়ে বিশেষ বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। তার প্রেক্ষিতে এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তদন্তে দু,টি ভূয়া মন্দির দেখিয়ে চাল আতœসাতের দায়ে ২ মন্দির কমিটির সভাপতি গত রবিবার ২২ হাজার ৩শত টাকা করে সরকারী কোষাগারে ফেরত প্রদান করেছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে দুটি মন্দিরের অনুদান কোষাগারে ফেরত

প্রকাশের সময় : ০৭:১৮:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে ভূয়া মন্দির দেখিয়ে সরকারী অনুদানের চাল আতœসাতের দায়ে দু,টি মন্দিরের বরাদ্দের অর্থ সরকারী কোষাগারে ফেরত প্রদান করা হয়েছে।

বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সুত্রে জানাগেছে, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাম গোপাল চট্রোপাধ্যায় ও সাধারণ সম্পাদক নিতিশ চন্দ্র মন্ডল স্বাক্ষরিত ২৫টি মন্দিরে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন করেন। শারদীয় দুর্গাপূজা-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে ২১টি মন্দিরের অনুকুলে প্রতিটি মন্দিরে ৫শত কেজি করে জিআর চাল মন্দিরে আগত ভক্তবৃন্দের খাওয়ানোর জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়। রাজবাড়ী জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা (চ.দা.) সৈয়দ আরিফুল হক স্বাক্ষরিত গত ২১ অক্টোবর তারিখে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুকুলে উপ-বরাদ্দ প্রদান করেন।

অনুদানপ্রাপ্ত ২১টি মন্দির হলো, শ্রী শ্রী রাধানাথ অঙ্গণ, জামালপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, তুলশীবরাট বলাই মাষ্টারের বাড়ী দুর্গা মন্দির, রায়পুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, ইলিশকোল-রায়পুর সার্বজনীন শ্মশান মন্দির, সাধুখালী শ্রী শ্রী যুগল কিশোর অঙ্গণ, পুরাতন ঘুরঘুরিয়া বলরাম মন্ডলের বাড়ী সার্বজনীন  পুজা মন্দির, তালতলা সার্বজনীন পূজা মন্দির, সোনাপুর বাজার সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, আলোকদিয়া সাহাপাড়া সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বেতেঙ্গা সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, বালিয়াকান্দি শ্মশান মন্দির, সাধুখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, সমাধিনগর আর্য্য সংঘ সার্বজনীন নাট মন্দির, বহরপুর সাহাপাড়া সার্বজনীন পূজা মন্দির, সোনাপুর দক্ষিণপাড়া চন্দনা সার্বজনীন পুজা মন্দির, বন্যতৈল কাত্যায়নী মন্দির, সাধুখালী সরকার বাড়ী সার্বজনীন দুর্গা মন্দির, রায়পুর উত্তরপাড়া দুর্গা মন্দির, ইলিশকোল কলেজপাড়া দুর্গা মন্দির, নতুন ঘুরঘুরিয়া রাজন সরকারের বাড়ী দুর্গা মন্দির।

এ ব্যাপারে সাধুখালী গ্রামের গৌর বিশ্বাস, অধ্যক্ষ রমেন বাছাড়, সরজিৎ সহ অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, সরকারী ভাবে আতœসাৎকৃত চালের অর্থ ফেরত প্রদান করা হলেও উপজেলা পূজা উৎযাপন পরিষদের পক্ষ থেকে দুর্ণীতিবাজদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। এটি একটি লজ্জাজনক ও দুঃখজনক  ঘটনা। আমরা এ কমিটিকে বিলুপ্ত করে নতুন কমিটি গঠনের দাবী জানাচ্ছি।

শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে আগত ভক্তদের আপ্যায়নের লক্ষে ২১টি মন্দিরে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এরমধ্যে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নিতিশ চন্দ্র মন্ডলের বাড়ীতে অবস্থিত সাধুখালী শ্রী শ্রী যুগল কিশোর অঙ্গণের সভাপতি হিসেবে তার আপন ভাই সুকদেব মন্ডলকে দেখিয়ে ও সাধুখালী সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরের নামে ভূয়া মন্দির দেখিয়ে অনুদান গ্রহণের অভিযোগ উঠে। বিষয়টি স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদটি ছাপা হয় ও গ্রামবাসী শাস্তির দাবীতে মানববন্ধনসহ লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস,এম আবু দারদাকে আহবায়ক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা এবং আমার বাড়ী আমার খামারের সমন্বয়কারী বিধান কুমার দাসকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস,এম আবু দারদা বলেন, তদন্ত পুর্বক দু,টি মন্দির ভূয়া দেখিয়ে চাল আতœসাতের সত্যতা পাওয়ায় সরকারী অর্থ ফেরতের সুপারিশ করা হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা বলেন, উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি-সম্পাদক আবেদনের প্রেক্ষিতে সংসদ সদস্য মহোদয়ের ডিও লেটার নিয়ে বিশেষ বরাদ্দের জন্য আবেদন করে। তার প্রেক্ষিতে এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়। তদন্তে দু,টি ভূয়া মন্দির দেখিয়ে চাল আতœসাতের দায়ে ২ মন্দির কমিটির সভাপতি গত রবিবার ২২ হাজার ৩শত টাকা করে সরকারী কোষাগারে ফেরত প্রদান করেছেন।