Dhaka ১২:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

গোয়ালন্দে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১২৫৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদী হতে অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলায় কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করা ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করেন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগেও প্রসাশনের লোকজন অবৈধ ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করলেও কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে প্রভাবশালীরা নির্বিচারের বালু তোলা শুরু করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর উজানচর ইউনিয়নের ৭ নং ফৈজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে স্থানীয় লাভলু ফকির, শমসের, জহিরুল মুন্সি, ইউসুফ সহ প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। উত্তোলিত বালু দীর্ঘ পাইপের মাধ্যমে তারা পাশ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার গোয়ালটিলা নামক জায়গায় ফেলে বালুর স্তুপ করছেন। সেখান থেকে চড়া দামে ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে উত্তোলিত বালু।

এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের বসতিরা। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ওই এলাকায় বোরো ধানের চাষ করতেন জমির মালিকরা। তারা বালু উত্তোলনকারীদের বাঁধা দিলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। প্রাণ ভয়ে তারা তাদের নাম প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেছেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে লাভলু ফকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ড্রেজার মেশিনটি আমার নিজের। তবে সেটা আমি জহিরুল মুন্সির নিকট ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। জহিরুল ফরিদপুর সীমান্তের মধ্যে তাদের নিজস্ব জমি ও শরীকদের জমি হতে বৈধভাবে মাটি কাটছে। ওই জমি সরকারি খাস নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন। এছাড়া আমরা কাউকে কোনরূপ হুমকি বা ভয়ভীতি দেখাইনি। এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে মরা পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এ কাজের সাথে জড়িতে কাউকে ধরতে না পাড়ায় তাদের শস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এখন থেকে শুধু এখানে নয় উপজেলার কোথায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গোয়ালন্দে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিন ধ্বংস

প্রকাশের সময় : ১০:৪৮:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার মরা পদ্মা নদী হতে অবৈধ ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলায় কর্মরত সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রফিকুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করা ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করেন।

তবে স্থানীয়দের অভিযোগ এর আগেও প্রসাশনের লোকজন অবৈধ ড্রেজিং মেশিন ধ্বংস করলেও কয়েক দিনের মধ্যে সেখানে নতুন মেশিন বসিয়ে প্রভাবশালীরা নির্বিচারের বালু তোলা শুরু করে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গোয়ালন্দে মরা পদ্মা নদীর উজানচর ইউনিয়নের ৭ নং ফৈজদ্দিন মাতুব্বর পাড়া এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছে স্থানীয় লাভলু ফকির, শমসের, জহিরুল মুন্সি, ইউসুফ সহ প্রভাবশালী কয়েকজন ব্যক্তি। উত্তোলিত বালু দীর্ঘ পাইপের মাধ্যমে তারা পাশ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার গোয়ালটিলা নামক জায়গায় ফেলে বালুর স্তুপ করছেন। সেখান থেকে চড়া দামে ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে উত্তোলিত বালু।

এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে পড়েছে নদী পাড়ের বসতিরা। তাছাড়া শুষ্ক মৌসুমে ওই এলাকায় বোরো ধানের চাষ করতেন জমির মালিকরা। তারা বালু উত্তোলনকারীদের বাঁধা দিলে তাদেরকে অস্ত্রের ভয় দেখানো হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেছেন। প্রাণ ভয়ে তারা তাদের নাম প্রকাশ না করারও অনুরোধ করেছেন।

অভিযুক্তদের মধ্যে লাভলু ফকিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দাবি করেন, ড্রেজার মেশিনটি আমার নিজের। তবে সেটা আমি জহিরুল মুন্সির নিকট ভাড়া দিয়ে দিয়েছি। জহিরুল ফরিদপুর সীমান্তের মধ্যে তাদের নিজস্ব জমি ও শরীকদের জমি হতে বৈধভাবে মাটি কাটছে। ওই জমি সরকারি খাস নয়, ব্যক্তি মালিকানাধীন। এছাড়া আমরা কাউকে কোনরূপ হুমকি বা ভয়ভীতি দেখাইনি। এটা উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ।

এ প্রসঙ্গে গোয়ালন্দ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, অবৈধ ভাবে মরা পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে ড্রেজার মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে। এ কাজের সাথে জড়িতে কাউকে ধরতে না পাড়ায় তাদের শস্তির আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। এখন থেকে শুধু এখানে নয় উপজেলার কোথায় ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধ ভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে সে দিকে বিশেষ নজর রাখা হবে।