Dhaka ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০
  • / ১২৫১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন : কোনো পাখি বাসা বাঁধতে পারে, আবার কোনো পাখি পারেনা। অনেক পাখির বাসা ভেঙে যায়। রোদে বৃষ্টিতে পাখিদের কষ্ট আর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল করার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজবাড়ীর সমাজকর্মী পাখি প্রেমি সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক  সালেহীন পাপুন। তিনি রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের চারপাশে থাকা গাছে মাটির খুঁটি বেঁধে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ  সিদ্দিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা  আকতার, সিনিয়র  শিক্ষক প্রদ্যুৎ কুমার দাস, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সহ সভাপতি  কলেজ শিক্ষক  আহসান হাবীব, শিক্ষা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার, কবি নেহাল আহমেদ, কবি খোকন মাহমুদ, সাংবাদিক সৌমিত্র শীল, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি  মনিরুজ্জামান মিন্টু, রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক উদ্দিন, রঞ্জন কুমার, শাহজালাল হোসেন প্রমুখ।

রাজবাড়ী শহরে শালিক, চড়–ই, ঘুঘু, দোয়েলসহ নানা রকম  পাখি দেখা যায়। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের চারপাশে গাছে ঘেরা। এখানে প্রচুর পাখির আনাগোনা। এসব গাছে শনিবার অর্ধ শতাধিক মাটির  খুঁটি বেঁধে দেয়া হয়েছে। খুঁটির একপাশে অনেক  বড়  আকারের  ছিদ্র করা হয়েছে যাতে পাখি সেখান দিয়ে ঢুকতে পারে। আর  নীচে  করা হয়েছে ছোট ছিদ্রঅ যাতে বৃষ্টির  পানি ভেতরে আটকে না থাকে। পাখি ইচ্ছে করলে খুঁটির মুখ দিয়ে ঢুকতে পারে।

মহতি এ কর্মসূচীর উদ্যোক্তা পাখিপ্রেমি ও সমাজকর্মী সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক  সালেহীন পাপুন বলেন, পাখিরা ধীরে ধীরে তাদের আবাদসস্থল হারাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাখিদের আশ্রয়ের অভাবে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পাখির কিচির মিচির ডাক, পাখির কোলাহল, পাখিদের উড়তে দেখা কার না ভালো লাগে। পাখিদের যদি  আবাসস্থল না থাকে তাহলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে পারে। এসব কথা ভেবে পাখিদের জন্য  নিরাপদ  আবাসস্থল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকবে।

রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পাখিরা নিরাপদ আবাস খুঁজে পাবে। আশ্রয়হীন  হয়ে যাবেনা। এতে  পাখির বিচরণ আরও বাড়বে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল

প্রকাশের সময় : ০৭:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : কোনো পাখি বাসা বাঁধতে পারে, আবার কোনো পাখি পারেনা। অনেক পাখির বাসা ভেঙে যায়। রোদে বৃষ্টিতে পাখিদের কষ্ট আর দুর্ভোগ পোহাতে হয়। পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল করার উদ্যোগ নিয়েছেন রাজবাড়ীর সমাজকর্মী পাখি প্রেমি সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক  সালেহীন পাপুন। তিনি রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের চারপাশে থাকা গাছে মাটির খুঁটি বেঁধে পাখিদের জন্য নিরাপদ আবাসস্থল করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ  সিদ্দিকুর রহমান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহমুদা  আকতার, সিনিয়র  শিক্ষক প্রদ্যুৎ কুমার দাস, রাজবাড়ী সুহৃদ সমাবেশের সহ সভাপতি  কলেজ শিক্ষক  আহসান হাবীব, শিক্ষা কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার, কবি নেহাল আহমেদ, কবি খোকন মাহমুদ, সাংবাদিক সৌমিত্র শীল, সাংবাদিক জাহাঙ্গীর হোসেন, কবি  মনিরুজ্জামান মিন্টু, রাজবাড়ী ডিবেট এসোসিয়েশনের সভাপতি ফারুক উদ্দিন, রঞ্জন কুমার, শাহজালাল হোসেন প্রমুখ।

রাজবাড়ী শহরে শালিক, চড়–ই, ঘুঘু, দোয়েলসহ নানা রকম  পাখি দেখা যায়। রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যলয়ের চারপাশে গাছে ঘেরা। এখানে প্রচুর পাখির আনাগোনা। এসব গাছে শনিবার অর্ধ শতাধিক মাটির  খুঁটি বেঁধে দেয়া হয়েছে। খুঁটির একপাশে অনেক  বড়  আকারের  ছিদ্র করা হয়েছে যাতে পাখি সেখান দিয়ে ঢুকতে পারে। আর  নীচে  করা হয়েছে ছোট ছিদ্রঅ যাতে বৃষ্টির  পানি ভেতরে আটকে না থাকে। পাখি ইচ্ছে করলে খুঁটির মুখ দিয়ে ঢুকতে পারে।

মহতি এ কর্মসূচীর উদ্যোক্তা পাখিপ্রেমি ও সমাজকর্মী সৈয়দ মাহমুদ তাসফিক  সালেহীন পাপুন বলেন, পাখিরা ধীরে ধীরে তাদের আবাদসস্থল হারাচ্ছে। মাঝে মধ্যে পাখিদের আশ্রয়ের অভাবে বিচ্ছিন্নভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। পাখির কিচির মিচির ডাক, পাখির কোলাহল, পাখিদের উড়তে দেখা কার না ভালো লাগে। পাখিদের যদি  আবাসস্থল না থাকে তাহলে ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে পারে। এসব কথা ভেবে পাখিদের জন্য  নিরাপদ  আবাসস্থল করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকবে।

রাজবাড়ীর সাবেক জেলা শিক্ষা অফিসার সৈয়দ সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি ভালো উদ্যোগ। পাখিরা নিরাপদ আবাস খুঁজে পাবে। আশ্রয়হীন  হয়ে যাবেনা। এতে  পাখির বিচরণ আরও বাড়বে।