Dhaka ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে জলাবদ্ধতায় শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ১২৬২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ঃ কয়েক দফায় রাজবাড়ীতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চল। এখনও কিছু অঞ্চল থেকে পানি নেমে যায়নি। সৃষ্টি হয়ে আছে জলাবদ্ধতা। যেকারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলাই নদী বেষ্টিত। চলতি বছর জেলার চারটি উপজেলাই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। চলতি বছর পরপর তিনবার বন্যার কারণে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাঁধের উত্তর পাশে নি¤œাঞ্চল ও ভেতরের অধিকাংশ ফসলি জমিতে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। মাঠগুলোতে কচুরিপানা ও নানা ধরনের আগাছা জন্মেছে।  ফসলি জমি থেকে এখনও পানি সরে না যাওয়ায় চাষীরা পেঁয়াজ, শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের ফসল ও সবজী চাষ করতে পারছেন না। চাষাবাদ না করতে পারায় তারা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। এ মৌসুমে কৃষকরা সাধারণতঃ মুড়িকাটা পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, মুলা, শিমসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি আবাদ করে থাকেন।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের  বাসিন্দা জামাল শেখ, ইয়াকুব সরদার সহ কয়েকজন কৃষক জানান, এবছর কয়েক দফা বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে তাদের জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। যে কারণে তারা সবজি, পেঁয়াজ ও অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারছেন না। এবছর শীতকালীন ফসল ও পেঁয়াজ সহ সব ধরনের ফসল আবাদ ব্যাহত হওয়ার  আশঙ্কা করছেন তারা।

মনির হোসেন  নামে একজন কৃষক  জানান, কিছু কিছু উঁচু স্থানে আবাদ শুরু করতে পারলেও বেশির ভাগ জমিগুলো এখনও পানিতে তলিয়ে থাকায় তাদের বীজতলার সব ধরনের সবজির চারা নষ্ট হয়ে গেছে।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস বলেন, জেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকতে পারে। বন্যার পানি সবটুকু নামেনা। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের তেমন কিছু করণীয় নেই। তবে জলাবদ্ধতার কারণে এখন চাষাবাদ ব্যাহত হলেও পরে বোরোর আবাদ করতে পারবেন কৃষকরা।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে জলাবদ্ধতায় শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ঃ কয়েক দফায় রাজবাড়ীতে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে নি¤œাঞ্চল। এখনও কিছু অঞ্চল থেকে পানি নেমে যায়নি। সৃষ্টি হয়ে আছে জলাবদ্ধতা। যেকারণে মুড়িকাটা পেঁয়াজসহ শীতকালীন সবজি উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, রাজবাড়ী জেলার পাঁচটি উপজেলাই নদী বেষ্টিত। চলতি বছর জেলার চারটি উপজেলাই বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়। চলতি বছর পরপর তিনবার বন্যার কারণে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদন চরম ভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাঁধের উত্তর পাশে নি¤œাঞ্চল ও ভেতরের অধিকাংশ ফসলি জমিতে এখনও জলাবদ্ধতা রয়েছে। মাঠগুলোতে কচুরিপানা ও নানা ধরনের আগাছা জন্মেছে।  ফসলি জমি থেকে এখনও পানি সরে না যাওয়ায় চাষীরা পেঁয়াজ, শীতকালীন বিভিন্ন ধরনের ফসল ও সবজী চাষ করতে পারছেন না। চাষাবাদ না করতে পারায় তারা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। এ মৌসুমে কৃষকরা সাধারণতঃ মুড়িকাটা পেঁয়াজ, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, মুলা, শিমসহ নানা ধরনের শীতকালীন সবজি আবাদ করে থাকেন।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট ইউনিয়নের  বাসিন্দা জামাল শেখ, ইয়াকুব সরদার সহ কয়েকজন কৃষক জানান, এবছর কয়েক দফা বন্যা ও অতি বৃষ্টির কারণে তাদের জমি পানিতে তলিয়ে রয়েছে। যে কারণে তারা সবজি, পেঁয়াজ ও অন্যান্য ফসল আবাদ করতে পারছেন না। এবছর শীতকালীন ফসল ও পেঁয়াজ সহ সব ধরনের ফসল আবাদ ব্যাহত হওয়ার  আশঙ্কা করছেন তারা।

মনির হোসেন  নামে একজন কৃষক  জানান, কিছু কিছু উঁচু স্থানে আবাদ শুরু করতে পারলেও বেশির ভাগ জমিগুলো এখনও পানিতে তলিয়ে থাকায় তাদের বীজতলার সব ধরনের সবজির চারা নষ্ট হয়ে গেছে।

রাজবাড়ী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গোপাল কৃষ্ণ দাস বলেন, জেলার কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকতে পারে। বন্যার পানি সবটুকু নামেনা। জলাবদ্ধতা নিরসনে আমাদের তেমন কিছু করণীয় নেই। তবে জলাবদ্ধতার কারণে এখন চাষাবাদ ব্যাহত হলেও পরে বোরোর আবাদ করতে পারবেন কৃষকরা।