Dhaka 11:43 am, Monday, 27 March 2023

ফুল হয়ে থেকো কাঁকন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : 07:37:27 pm, Thursday, 10 September 2020
  • / 1252 জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কাঁকন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়(ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। মাত্র ২৫ বছর পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। কাঁকনের সহপাঠি, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্খি কেউই এমন মৃত্যু মেনে পারছেনা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছিলেন কাঁকন। পরিবারে তার মা, বড় ভাই ও এক বোন রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক ব্যবসা শাখার ছাত্র ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ বাড়ি ও হাবাসপুর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবে পড়া অসহায় মানুষের সাহায্যেও রেখেছেন অবদান। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দিসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী কাঁকন এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে  ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এলাকার মানুষের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন কাঁকন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ফুল হয়ে থেকো কাঁকন

প্রকাশের সময় : 07:37:27 pm, Thursday, 10 September 2020

জনতার আদালত অনলাইন ॥ সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কাঁকন। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়(ইন্নালিল্লাহি..রাজিউন)। মাত্র ২৫ বছর পৃথিবীর আলো বাতাস দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল তার। কাঁকনের সহপাঠি, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, শুভাকাঙ্খি কেউই এমন মৃত্যু মেনে পারছেনা। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের ছেলে ছিলেন কাঁকন। পরিবারে তার মা, বড় ভাই ও এক বোন রয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক ব্যবসা শাখার ছাত্র ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে তার নিজ বাড়ি ও হাবাসপুর পূর্বপাড়া ঈদগাহ মাঠে জানাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, করোনা ভাইরাস সংক্রমণের পর বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। করোনা প্রাদুর্ভাবে পড়া অসহায় মানুষের সাহায্যেও রেখেছেন অবদান। গত এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, সর্দিসহ নানা সমস্যায় ভুগছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ফরিদপুর ডায়াবেটিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বুধবার তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হলে ঢাকার ইবনেসিনা হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী কাঁকন এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ ৫ পেয়ে  ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এলাকার মানুষের কাছে খুব প্রিয় ছিলেন কাঁকন।