দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে স্রোত ও নাব্যতা সংকটে ব্যাহত ফেরি চলাচল
- প্রকাশের সময় : ০৭:১৫:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১২৭০ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ পদ্মা নদীতে তীব্র স্রোত, নাব্যতা সংকট ও ডুবোচরের কারণে ব্যস্ততম দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতেকরে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পারের অপেক্ষায় প্রায় ৩ শতাধিক পন্যবাহী ট্রাক ও শতাধিক যাত্রীবাহি বাস সিরিয়ালে আটকা পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে দফায় দফায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ রয়েছে। যে কারণে নৌরুটে অতিরিক্ত ফেরি যুক্ত হলেও দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় নদী পারের অপেক্ষায় যানবাহনের সারি তৈরি হয়েছে।
এদিকে নদীর স্রোতে উজান থেকে পলি আসায় ও নদীর পানি কমতে থাকায় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া প্রান্তে চরম নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনীয় গভীরতা না থাকায় রোরো (বড়) ফেরি গুলো ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে। সরাসরি ফেরি ঘাটে ভিড়তে পাড়ছে না। প্রায় ২ কিলোমিটার পথ ভাটিতে গিয়ে পুনরায় উজান বেয়ে ফেরি গুলোকে ঘাটে পৌছাতে হচ্ছে। নাব্যতা সংকটের মধ্যে ফেরি চলাচল করায় বালুর ঘর্ষনে ফেরির বুশ ক্ষয় হয়ে যান্ত্রিক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া চ্যানেল সরু হওয়ার কারনে পাশাপাশি দুই টি ফেরি এক সাথে চলাচল করতে পারছে না। একটি ফেরি চ্যানেলে প্রবেশ করলে অপর চ্যানেল দিয়ে আরেক টি ফেরি বের হতে হচ্ছে। নদীর নাব্যতা ঠিক রাখে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিআইডব্লিউটিএ’র ৪ টি ড্রেজিং যন্ত্র কাজ করছে।
সরেজমিন সোমবার বিকেলে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারীজ পর্যন্ত অন্তত সাড়ে তিন কিলোমিটার জুড়ে পন্যবাহি ট্রাকের সারি। অপরদিকে দৌলতদিয়া পুলিশ বক্স পর্যন্ত শতাধিক যাত্রীবাহি বাস পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে। তবে ব্যাক্তিগত গাড়িগুলো সিয়িালে না থেকে সরাসরি ফেরিতে উঠতে পারছে। আটকে থাকা যানবাহনের যাত্রী ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ ব্যবস্থাপক মোঃ মাহাবুব হোসেন জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল দফায় দফায় বন্ধ থাকায় এই নৌরুটে চাপ বেশি। কিছু পন্যবাহি ট্রাক ফেরি পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আছে। এই নৌরুটে বর্তমান ১১টি রোরো (বড়) এবং ৭টি ইফটিলিটি (ছোট) সহ মোট ১৮টি ফেরি যানবাহন পারাপার করছে। তিনি আরো জানান, রোরো ফেরি গুলো চলাচল করতে নদীতে কমপক্ষে ৮ ফুট পানির গভিরতা প্রযোজন হয়। রুটে পানির গভীরতা কম থাকায় ড্রেজিং কাজ চলছে। যে কোন সময় ডুবো চরে ফেরি আটকে যাওয়ার আশংকা রয়েছে বলেও তিনি জানান।