Dhaka ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪২১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥  দশম শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীর মোবাইল ফোনে মহিলাকে দিয়ে প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন, তারপর পুলিশের দারোগার সাথে বিয়ের জন্য দেখানোর প্রস্তাবসহ নানা প্রলোভন। বাড়ী থেকে বালিয়াকান্দিতে মোবাইলে ডেকে এনে নানা তালবাহানা ও ছেলে আসতে দেরী হওয়ার অজুহাতে বাড়ীতে নিয়ে কু-প্রস্তাব। রাজী না হওয়ায় বাথরুমে আটকে রেখে মারধোর। পাল্টা আঘাত করে কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে স্কুল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার আমতলা বাজার সংলগ্ন এক বাড়ীতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, প্রায় সপ্তাহ খানিক আমার মোবাইল ফোনে শালমারা বাড়ী পরিচয় দিয়ে একটি মেয়ে আমার ও আমার মায়ের সাথে কথা বলছিল। কথা বলে সম্পর্ক গড়া ও বিশ্বাস স্থাপন করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশে কর্মরত এক দারোগার সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও আমার মায়ের সাথে কথা বলে। আমাদের বাড়ীতে আসতে বললে সে বলে আগে ছেলে বাইরে থেকে দেখুক পড়ে বাড়ীতে গিয়ে দেখবো। তার কথায় সরল বিশ্বাসে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনে গেলে ওখানে রুহুল আমিন ভুঁইয়াকে একটি লাল রঙের মোটর সাইকেলসহ দেখতে পাই। সাথে একজন বোরকা পরিহিত মহিলা কোলে ১৫ মাস বয়সী একটি বাচ্চা রয়েছে। ফোনে বার বার কথা বলার ভান করছিল আমাকে বোঝানোর জন্য। পরে বলে আসতে দেরী হচ্ছে চল ভাইয়ের বাড়ীতে যাই। তার কথায় সরল বিশ্বাসে আমতলা বাজারের নিকট রুহুল আমিনের ওই বাড়ীতে গেলে একটি অন্ধকার রুমে বসতে দেন। ২-৩মিনিট পর এসে রুহুল আমিন আমাকে বোরকা খুলতে বলে, বোরকা না খোলায় আমাকে চর-থাপ্পর মারে। পাশের রুমে ৩-৪টি ছেলে কথা বলছিল। এরপর প্রায় আধা ঘন্টা বাথরুমে আটকে রাখে। আমাকে সে কু-প্রস্তাব দিলে আমি রাজী না হয়ে আমার মায়ের কাছে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে ফোনটি কেড়ে নেয়, আমি পাশে থাকা একটি মদের বোতল দিয়ে তাকে বারি মেরে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসি। তখন মোটর সাইকেল নিয়ে রুহুল আমিন ভুইয়া আমার পিছু নেয়। আমার ফোন পেয়ে লোকজন এগিয়ে আসলে রুহুল আমিন ভুইয়া পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবগত করা হয়েছে।

রুহুল আমিন ভুইয়া ( লুলু)  সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাল দু,টি মেয়ে আমার বাড়ীতে এসেছিল, বিয়ে পড়ানোর জন্য। ছেলে আসতে দেরী হওয়ায় তারা চলে যায়। তবে খারাপ আচরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ওই মেয়ের পরিবারের সাথে তার আপোষ হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে কুপ্রস্তাবে রাজী না হওয়ায় ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥  দশম শ্রেণীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীর মোবাইল ফোনে মহিলাকে দিয়ে প্রথমে সম্পর্ক স্থাপন, তারপর পুলিশের দারোগার সাথে বিয়ের জন্য দেখানোর প্রস্তাবসহ নানা প্রলোভন। বাড়ী থেকে বালিয়াকান্দিতে মোবাইলে ডেকে এনে নানা তালবাহানা ও ছেলে আসতে দেরী হওয়ার অজুহাতে বাড়ীতে নিয়ে কু-প্রস্তাব। রাজী না হওয়ায় বাথরুমে আটকে রেখে মারধোর। পাল্টা আঘাত করে কৌশলে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে স্কুল ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার আমতলা বাজার সংলগ্ন এক বাড়ীতে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে দশম শ্রেণীতে পড়–য়া ওই স্কুল ছাত্রী জানায়, প্রায় সপ্তাহ খানিক আমার মোবাইল ফোনে শালমারা বাড়ী পরিচয় দিয়ে একটি মেয়ে আমার ও আমার মায়ের সাথে কথা বলছিল। কথা বলে সম্পর্ক গড়া ও বিশ্বাস স্থাপন করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে পুলিশে কর্মরত এক দারোগার সাথে আমার বিয়ের প্রস্তাব দেয় ও আমার মায়ের সাথে কথা বলে। আমাদের বাড়ীতে আসতে বললে সে বলে আগে ছেলে বাইরে থেকে দেখুক পড়ে বাড়ীতে গিয়ে দেখবো। তার কথায় সরল বিশ্বাসে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে বালিয়াকান্দি ভাই ভাই ফিলিং স্টেশনে গেলে ওখানে রুহুল আমিন ভুঁইয়াকে একটি লাল রঙের মোটর সাইকেলসহ দেখতে পাই। সাথে একজন বোরকা পরিহিত মহিলা কোলে ১৫ মাস বয়সী একটি বাচ্চা রয়েছে। ফোনে বার বার কথা বলার ভান করছিল আমাকে বোঝানোর জন্য। পরে বলে আসতে দেরী হচ্ছে চল ভাইয়ের বাড়ীতে যাই। তার কথায় সরল বিশ্বাসে আমতলা বাজারের নিকট রুহুল আমিনের ওই বাড়ীতে গেলে একটি অন্ধকার রুমে বসতে দেন। ২-৩মিনিট পর এসে রুহুল আমিন আমাকে বোরকা খুলতে বলে, বোরকা না খোলায় আমাকে চর-থাপ্পর মারে। পাশের রুমে ৩-৪টি ছেলে কথা বলছিল। এরপর প্রায় আধা ঘন্টা বাথরুমে আটকে রাখে। আমাকে সে কু-প্রস্তাব দিলে আমি রাজী না হয়ে আমার মায়ের কাছে ফোন দেওয়ার চেষ্টা করলে ফোনটি কেড়ে নেয়, আমি পাশে থাকা একটি মদের বোতল দিয়ে তাকে বারি মেরে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে চলে আসি। তখন মোটর সাইকেল নিয়ে রুহুল আমিন ভুইয়া আমার পিছু নেয়। আমার ফোন পেয়ে লোকজন এগিয়ে আসলে রুহুল আমিন ভুইয়া পালিয়ে যায়। বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে অবগত করা হয়েছে।

রুহুল আমিন ভুইয়া ( লুলু)  সাথে কথা বললে তিনি বলেন, কাল দু,টি মেয়ে আমার বাড়ীতে এসেছিল, বিয়ে পড়ানোর জন্য। ছেলে আসতে দেরী হওয়ায় তারা চলে যায়। তবে খারাপ আচরণের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, ওই মেয়ের পরিবারের সাথে তার আপোষ হয়েছে।