Dhaka ১০:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মায়ের কোল থেকে ৩ মাসের কন্যা সন্তান কেড়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪৭৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ‘মেয়ে সস্তান প্রসব করার অপরাধে ওরা আমার উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। ক্ষুধা মেটাতে ভাতের কষ্ট দিয়েছে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব অত্যাচার আমি মুখ বুজে সহ্য করেছি। শেষে আমার কোল থেকে দুধের বাচ্চাটি ওরা কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলেছে। হে আল্লাহ তুমি আমার কলিজার টুকরা রুমাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দাও।’ কথাগুলো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের বকারটিলা গ্রামের গৃহবধূ কাকলী আক্তারের।

মায়ের কোল থেকে তিন মাসের কন্যা শিশু রুমাকে কেড়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ শাশুড়ি রুবি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ, সংশ্লিষ্ট পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জনা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামের গরুর বেপারী কুদ্দুস শেখের মেয়ে কাকলী আক্তার (২৩)। এদিকে একই উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বকারটিলা গ্রামের কৃষক ছহোর উদ্দিন বেপারীর ছেলে রুবেল বেপারী (২৮)। সে ঢাকায় ডগে কাজ করে। তিন বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওই কাকলী আক্তারকে বিয়ে করে রুবেল। বিয়ের সময় কাকলীর বাবা তার মেয়েজামাইকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার দেয়। তিন মাস আগে গৃহবধূ কাকলী প্রথম কন্যা সন্তানের মা হন। নবজাতিকা কন্যার নাম রাখা হয় রুমা। কিন্তু ছেলে সন্তান না হয়ে কন্যা সন্তান প্রসব করার অপরাধে গৃহবধূ কাকলীর জীবনে নেমে আসে অমানিশা। তখন থেকে স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে তার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে কাকলী তার তিন মাস বয়সী শিশুকন্যা রুনাকে ‘মেডিকেল চেকআপ’ করাতে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে যান। এদিকে রুবেল বেপারী ঢাকা থেকে গোয়ালন্দে নিজ বাড়িতে এসে স্ত্রী কাকলীকে দেখতে না পেয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ছুটে যায় রুবেল। সেখানে গিয়ে জনসম্মুখে তিনি তার স্ত্রী কাকলী আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরদিন গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নাতনীকে দেখতে বৃদ্ধা শ^াশুড়ি জহুরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বকারটিলা গ্রামে মেয়েজামাই বাড়িতে যান কাকলীর মা নাজমা বেগম। এ সময় সেখানে তাদের দুজনের উপস্থিতি দেখে রুবেল বেপারী ও তার পরিবারের লোকজন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ কাকলী আক্তারকে বেদম মারপিট করেন। অনেক অনুরোধের পর ওই দিন বেলা ৫টার দিকে সন্তানসহ কাকলীকে শ^শুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন নাজমা বেগম। কিছুদূর পথ অতিক্রম করার পর হঠাৎ সেখানে এসে তাদের গতিপথ রোধ করে রুবেল বেপারীসহ তার পরিবারের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তিন মাসের শিশুকন্যা রুমাকে তার মা কাকলীর কোল থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে যায় বাবা রুবেল বেপারী। অনেক চেষ্টা চালিয়ে মেয়েকে ফিরে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় গৃহবধূ কাকলী রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরদিন গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে লোকমারফত শিশুকন্যা রুমার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মা কাকলী আক্তারসহ তার বাবার বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে যায় বকারটিলা গ্রামে। এ সময় তারা দেখতে পায়, কাকলীর শ^শুর বাড়ির প্রতিবেশী জনৈক হায়দার আলীর বসত ঘরের বারান্দায় মেঝেতে পড়ে আছে শিশুকন্যা রুমার লাশ। পরে খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানাপুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য শিশু রুমার লাশটি গতকাল রবিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুকন্যা রুমার মা কাকলী আক্তার নিজে বাদী হয়ে স্বামী রুবেল বেপারী, শ^শুর ছহোর উদ্দিন বেপারী, শ^াাশুড়ি রুবী বেগম ও ননদ চায়না বেগমের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে রবিবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামে মৃতের নানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিবার ও স্বনদের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে। তিন মাস বয়সী একমাত্র শিশুকন্যাকে হারিয়ে মা কাকলী আক্তার এখন পাগলপ্রায়। তার বুকফাটা কান্না ও মাতমে এলাকার বাতাস যেন অনেকটা ভারি হয়ে ওঠে। নিজের হাতে বুক চাপড়িয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘মেয়ে সস্তান প্রসব করার অপরাধে ওরা আমার উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। ক্ষুধা মেটাতে ভাতের কষ্ট দিয়েছে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের সব অত্যাচার আমি মুখ বুজে সহ্য করেছি। শেষে আমার কোল থেকে দুধের বাচ্চাটি ওরা কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলেছে। হে আল্লাহ তুমি আমার কলিজার টুকরা রুমাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দাও।’ এদিকে শিশুনাতনী হারানোর শোকে অনেকটা নির্ববক হয়ে আছেন কাকলীর বাবা কুদ্দুস শেখ। কিছুক্ষণ পর পর হঠাৎ চিৎকার করে তিনি শুধু বলছেন, যারা আমার মেয়ের কোল খালি করেছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ‘মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেয়া তিন মাসের শিশুকন্যা রুমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর তা জানা যাবে।’ তবে, মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামীর মধ্যে শাশুড়ি রুবী বেগমকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়ায় আনার জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

মায়ের কোল থেকে ৩ মাসের কন্যা সন্তান কেড়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

প্রকাশের সময় : ০৯:১৫:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ ‘মেয়ে সস্তান প্রসব করার অপরাধে ওরা আমার উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। ক্ষুধা মেটাতে ভাতের কষ্ট দিয়েছে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে সব অত্যাচার আমি মুখ বুজে সহ্য করেছি। শেষে আমার কোল থেকে দুধের বাচ্চাটি ওরা কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলেছে। হে আল্লাহ তুমি আমার কলিজার টুকরা রুমাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দাও।’ কথাগুলো রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের বকারটিলা গ্রামের গৃহবধূ কাকলী আক্তারের।

মায়ের কোল থেকে তিন মাসের কন্যা শিশু রুমাকে কেড়ে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকদের বিরুদ্ধে। এঘটনায় স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ শাশুড়ি রুবি বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ, সংশ্লিষ্ট পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জনা যায়, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামের গরুর বেপারী কুদ্দুস শেখের মেয়ে কাকলী আক্তার (২৩)। এদিকে একই উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের বকারটিলা গ্রামের কৃষক ছহোর উদ্দিন বেপারীর ছেলে রুবেল বেপারী (২৮)। সে ঢাকায় ডগে কাজ করে। তিন বছর আগে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওই কাকলী আক্তারকে বিয়ে করে রুবেল। বিয়ের সময় কাকলীর বাবা তার মেয়েজামাইকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও দুই ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার দেয়। তিন মাস আগে গৃহবধূ কাকলী প্রথম কন্যা সন্তানের মা হন। নবজাতিকা কন্যার নাম রাখা হয় রুমা। কিন্তু ছেলে সন্তান না হয়ে কন্যা সন্তান প্রসব করার অপরাধে গৃহবধূ কাকলীর জীবনে নেমে আসে অমানিশা। তখন থেকে স্বামীসহ শ^শুর বাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময়ে তার উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সকালে কাকলী তার তিন মাস বয়সী শিশুকন্যা রুনাকে ‘মেডিকেল চেকআপ’ করাতে ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে যান। এদিকে রুবেল বেপারী ঢাকা থেকে গোয়ালন্দে নিজ বাড়িতে এসে স্ত্রী কাকলীকে দেখতে না পেয়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। পরে খবর পেয়ে দ্রুত ফরিদপুর শিশু হাসপাতালে ছুটে যায় রুবেল। সেখানে গিয়ে জনসম্মুখে তিনি তার স্ত্রী কাকলী আক্তারকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরদিন গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নাতনীকে দেখতে বৃদ্ধা শ^াশুড়ি জহুরা বেগমকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে বকারটিলা গ্রামে মেয়েজামাই বাড়িতে যান কাকলীর মা নাজমা বেগম। এ সময় সেখানে তাদের দুজনের উপস্থিতি দেখে রুবেল বেপারী ও তার পরিবারের লোকজন হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে গৃহবধূ কাকলী আক্তারকে বেদম মারপিট করেন। অনেক অনুরোধের পর ওই দিন বেলা ৫টার দিকে সন্তানসহ কাকলীকে শ^শুরবাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসছিলেন নাজমা বেগম। কিছুদূর পথ অতিক্রম করার পর হঠাৎ সেখানে এসে তাদের গতিপথ রোধ করে রুবেল বেপারীসহ তার পরিবারের লোকজন। সঙ্গে সঙ্গে তিন মাসের শিশুকন্যা রুমাকে তার মা কাকলীর কোল থেকে জোর করে কেড়ে নিয়ে যায় বাবা রুবেল বেপারী। অনেক চেষ্টা চালিয়ে মেয়েকে ফিরে না পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় গৃহবধূ কাকলী রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামে তার বাবার বাড়িতে চলে যায়। পরদিন গত শনিবার বেলা ১১টার দিকে লোকমারফত শিশুকন্যা রুমার মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে মা কাকলী আক্তারসহ তার বাবার বাড়ির লোকজন দ্রুত ছুটে যায় বকারটিলা গ্রামে। এ সময় তারা দেখতে পায়, কাকলীর শ^শুর বাড়ির প্রতিবেশী জনৈক হায়দার আলীর বসত ঘরের বারান্দায় মেঝেতে পড়ে আছে শিশুকন্যা রুমার লাশ। পরে খবর পেয়ে ওই দিন সন্ধ্যায় সেখান থেকে লাশটি উদ্ধার করে গোয়ালন্দ ঘাট থানাপুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য শিশু রুমার লাশটি গতকাল রবিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় শিশুকন্যা রুমার মা কাকলী আক্তার নিজে বাদী হয়ে স্বামী রুবেল বেপারী, শ^শুর ছহোর উদ্দিন বেপারী, শ^াাশুড়ি রুবী বেগম ও ননদ চায়না বেগমের বিরুদ্ধে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় একটি হত্যামামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে রবিবার দুপুরে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের রবিউল্লাহ বেপারীপাড়া গ্রামে মৃতের নানার বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পরিবার ও স্বনদের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে। তিন মাস বয়সী একমাত্র শিশুকন্যাকে হারিয়ে মা কাকলী আক্তার এখন পাগলপ্রায়। তার বুকফাটা কান্না ও মাতমে এলাকার বাতাস যেন অনেকটা ভারি হয়ে ওঠে। নিজের হাতে বুক চাপড়িয়ে এ সময় তিনি বলেন, ‘মেয়ে সস্তান প্রসব করার অপরাধে ওরা আমার উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। ক্ষুধা মেটাতে ভাতের কষ্ট দিয়েছে। শুধু সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে ওদের সব অত্যাচার আমি মুখ বুজে সহ্য করেছি। শেষে আমার কোল থেকে দুধের বাচ্চাটি ওরা কেড়ে নিয়ে মেরে ফেলেছে। হে আল্লাহ তুমি আমার কলিজার টুকরা রুমাকে আমার কোলে ফিরিয়ে দাও।’ এদিকে শিশুনাতনী হারানোর শোকে অনেকটা নির্ববক হয়ে আছেন কাকলীর বাবা কুদ্দুস শেখ। কিছুক্ষণ পর পর হঠাৎ চিৎকার করে তিনি শুধু বলছেন, যারা আমার মেয়ের কোল খালি করেছে, আল্লাহ তাদের বিচার করবে।’

গোয়ালন্দ ঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর বলেন, ‘মায়ের কোল থেকে কেড়ে নেয়া তিন মাসের শিশুকন্যা রুমার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর তা জানা যাবে।’ তবে, মামলার এজাহারভুক্ত চার আসামীর মধ্যে শাশুড়ি রুবী বেগমকে শনিবার রাতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর আসামীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। তাদেরকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওয়ায় আনার জোর চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।