Dhaka ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিয়াকান্দিতে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০
  • / ১৪৫১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে বাবু মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৯ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন দরিদ্র চুন্নু মন্ডল। তিনি একই উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের আহম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোচালক। অভিযুক্ত  বাবু মন্ডল একই গ্রামের বাসিন্দা। নিজেকে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

লিখিত অভিযোগে চুন্নু মন্ডল উল্লেখ করেন, তিনি একজন হতদরিদ্র ও দিনমজুর। তার পৈতৃক  ভিটায় বসবাস করেন। দেড় বছর আগে তার প্রতিবেশি বাবু মোল্লা তাকে বলেন, নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের হাতে কয়েকটি ২৭ বন্দের চৌচালা সরকারি ঘর রয়েছে। যা ১৯ হাজার টাকা দিলে পাইয়ে দেয়া সম্ভব। বাবু মোল্লা জহুরুল ইসলামের সহযোগী হওয়ায় তার কথায় বিশ্বাস করে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বাবু মোল্লার কাছে ১৯ হাজার টাকা দেন।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঘর না পাওয়ায় তার কাছে যান। বাবু মোল্লা আজকাল বলে ঘুরাতে থাকে। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের কাছে যান। জহুরুল ইসলামও তাকে জানান, ঘর বাবদ টাকা পেয়েছি অপেক্ষা করো ঘর পাবে। সেই অপেক্ষার পালা শেষে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মূলত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ হয়। তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বাবু মোল্লা ও জহুরুলের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চান। তারা আজ কাল করে ঘুরাতে থাকে।

অভিযুক্ত বাবু মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তো মেম্বার চেয়ারম্যান কিছুই না। সরকারি ঘর কীভাবে দেব। এটা মিথ্যা অভিযোগ। রাজনীতির কারণে কেউ তাকে ব্যবহার করছে। তিনি নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন বলে জানান।

নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বাবু ও চুন্নু একসাথে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ঈদের আগে এবিষয়টি মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। যার উপর দায়িত্ব দেয়া ছিল তিনি অসুস্থ থাকায় আর মীমাংসা হয়নি। এছাড়া রাজনৈতিক কিছু বিষয় আছে। একারণে আমাকে জড়িয়ে  এধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ  পাওয়া গেছে। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

বালিয়াকান্দিতে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ

প্রকাশের সময় : ০৬:৩৮:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে সরকারি ঘর দেয়ার কথা বলে বাবু মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৯ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন দরিদ্র চুন্নু মন্ডল। তিনি একই উপজেলার নারুয়া ইউনিয়নের বিলধামু গ্রামের আহম্মদ আলী মন্ডলের ছেলে। পেশায় তিনি একজন অটোচালক। অভিযুক্ত  বাবু মন্ডল একই গ্রামের বাসিন্দা। নিজেকে তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

লিখিত অভিযোগে চুন্নু মন্ডল উল্লেখ করেন, তিনি একজন হতদরিদ্র ও দিনমজুর। তার পৈতৃক  ভিটায় বসবাস করেন। দেড় বছর আগে তার প্রতিবেশি বাবু মোল্লা তাকে বলেন, নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের হাতে কয়েকটি ২৭ বন্দের চৌচালা সরকারি ঘর রয়েছে। যা ১৯ হাজার টাকা দিলে পাইয়ে দেয়া সম্ভব। বাবু মোল্লা জহুরুল ইসলামের সহযোগী হওয়ায় তার কথায় বিশ্বাস করে ২০১৯ সালের মার্চ মাসে বাবু মোল্লার কাছে ১৯ হাজার টাকা দেন।

দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ঘর না পাওয়ায় তার কাছে যান। বাবু মোল্লা আজকাল বলে ঘুরাতে থাকে। অবশেষে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে তিনি নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলামের কাছে যান। জহুরুল ইসলামও তাকে জানান, ঘর বাবদ টাকা পেয়েছি অপেক্ষা করো ঘর পাবে। সেই অপেক্ষার পালা শেষে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মূলত ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ঘর বরাদ্দ হয়। তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে পুনরায় বাবু মোল্লা ও জহুরুলের কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চান। তারা আজ কাল করে ঘুরাতে থাকে।

অভিযুক্ত বাবু মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তো মেম্বার চেয়ারম্যান কিছুই না। সরকারি ঘর কীভাবে দেব। এটা মিথ্যা অভিযোগ। রাজনীতির কারণে কেউ তাকে ব্যবহার করছে। তিনি নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য পদে আছেন বলে জানান।

নারুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম বলেন, বাবু ও চুন্নু একসাথে ব্যবসা বাণিজ্য করতো। ব্যবসায়ীক লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। ঈদের আগে এবিষয়টি মীমাংসা হওয়ার কথা ছিল। যার উপর দায়িত্ব দেয়া ছিল তিনি অসুস্থ থাকায় আর মীমাংসা হয়নি। এছাড়া রাজনৈতিক কিছু বিষয় আছে। একারণে আমাকে জড়িয়ে  এধরণের মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। ঘর দেয়ার কথা বলে টাকা নেয়ার অভিযোগ সঠিক নয়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম হেদায়েতুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে একটি অভিযোগ  পাওয়া গেছে। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।