Dhaka ১২:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছে মানুষ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
  • / ১৮৫২ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নাড়ির টানে বাড়ী ফিরছে হাজারো মানুষ। কিন্তু যাত্রী, শ্রমিক পথচারী কারো মধ্যেই  নাই সামাজিক দুরত্ব। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এবং বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখি মানুষের চাপ দেখা যায় এবং সময় যত বাড়ছে ততই যাত্রীদের ঢল নামছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। বাড়তি ভাড়া নিয়ে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সরকার যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিলেও সেটি মানছেন না যানবহনের চালকরা। এ সময় যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে গাদাগাদি করে বহন করছেন যাত্রী।  এছাড়া লঞ্চ, ফেরি ও টার্মিনালেও নাই সামাজিক দুরত্ব। অন্যদিকে পদ্মার তীব্র ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে নদী পারাপারে বেশি সময় লাগছে ফেরি গুলোর। যার কারণে  দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় আড়াই শতাধিক যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। যানবাহন গুলোর মধ্যে বেশি যাত্রীবাহি বাস। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের থাকতে হচ্ছে সিরিয়ালে। এছাড়া পশুবাহি ট্রাক গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীরা জানান, ঈদ করতে তারা বাড়ীতে যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে আসতে বাসে ভাড়া বেশি নিলেও গাদাগাদি করতে আসতে হয়েছে। এখন দৌলতদিয়া প্রান্তে এসেও একই অবস্থা ভাড়া দিগুন আবার যেতে হবেও গাদাগাদি করে। করোনা সংক্রমনের ঝুকি আছে জেনেও কেন বাড়ীতে আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কুষ্টিয়ার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বছরে মাত্র দুইটা ঈদ। আর সেই ঈদেও যদি আপনজনের সাথে না থাকতে পারি, তাহলে কষ্টই বাড়বে। যে কারণে ঝুকি থাকলেও প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়ীতে যাচ্ছি।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, স্রোতের কারলে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এজন্য ঘাটে যানবাহনের কিছুটা সিরিয়াল হয়। এছাড়া সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গাদাগাদি করে ঘরে ফিরছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৯:২২:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ প্রিয়জনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার খ্যাত দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে নাড়ির টানে বাড়ী ফিরছে হাজারো মানুষ। কিন্তু যাত্রী, শ্রমিক পথচারী কারো মধ্যেই  নাই সামাজিক দুরত্ব। বৃহস্পতিবার বিকেলে দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাট এবং বাস টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখি মানুষের চাপ দেখা যায় এবং সময় যত বাড়ছে ততই যাত্রীদের ঢল নামছে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায়। বাড়তি ভাড়া নিয়ে সামাজিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করে সরকার যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা দিলেও সেটি মানছেন না যানবহনের চালকরা। এ সময় যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে গাদাগাদি করে বহন করছেন যাত্রী।  এছাড়া লঞ্চ, ফেরি ও টার্মিনালেও নাই সামাজিক দুরত্ব। অন্যদিকে পদ্মার তীব্র ব্যাহত হচ্ছে ফেরি চলাচল। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে নদী পারাপারে বেশি সময় লাগছে ফেরি গুলোর। যার কারণে  দৌলতদিয়া প্রান্তে প্রায় আড়াই শতাধিক যানবাহনের সিরিয়াল তৈরি হয়েছে। যানবাহন গুলোর মধ্যে বেশি যাত্রীবাহি বাস। ঘন্টার পর ঘন্টা তাদের থাকতে হচ্ছে সিরিয়ালে। এছাড়া পশুবাহি ট্রাক গুলোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীরা জানান, ঈদ করতে তারা বাড়ীতে যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে আসতে বাসে ভাড়া বেশি নিলেও গাদাগাদি করতে আসতে হয়েছে। এখন দৌলতদিয়া প্রান্তে এসেও একই অবস্থা ভাড়া দিগুন আবার যেতে হবেও গাদাগাদি করে। করোনা সংক্রমনের ঝুকি আছে জেনেও কেন বাড়ীতে আসছেন এমন প্রশ্নের জবাবে কুষ্টিয়ার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘বছরে মাত্র দুইটা ঈদ। আর সেই ঈদেও যদি আপনজনের সাথে না থাকতে পারি, তাহলে কষ্টই বাড়বে। যে কারণে ঝুকি থাকলেও প্রিয়জনের সাথে ঈদ করতে বাড়ীতে যাচ্ছি।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি জানান, স্রোতের কারলে ফেরি পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এজন্য ঘাটে যানবাহনের কিছুটা সিরিয়াল হয়। এছাড়া সকাল থেকে ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে। দৌলতদিয়া পাটুরিয়া রুটে বর্তমানে ১৫ টি ফেরি চলাচল করছে।