Dhaka ০৩:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে বন্যায় পানিবন্দী ৩ হাজার মানুষ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০
  • / ১৭৪৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বন্যা কবলিত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোথাও বেড়েছে সাপের উপদ্রব। বর্তমানে পানিবন্দী আছে তিন হাজার মানুষ।

পদ্মা তীরবর্তী রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে এখন বন্যার পানি। এ ইউনিয়নের  মহাদেবপুর, চর জৌকুড়ি, রামচন্দ্রপুর, চরনারায়ণপুর, রামকৃষ্ণপুর, বড়চর বেনিনগর, সিলিমপুর, চর ধুঞ্চি, মৌকুড়ি,  কুঠুরিচর, আমবাড়িয়াসহ অন্ততঃ ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যায় ডুবে গেছে ক্ষেতের ফসল। কাজকর্ম না থাকায়  বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের আয়ের পথ। বসতঘরে পানি ঢুবেক পড়ায় ঊঁচু মাচা করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোমতে বাস করছে বন্যার্ত মানুষ। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার সংকট। চরম বিপাকে রয়েছে  গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে। এছাড়া জেলার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর, রতনদিয়া ও পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পদ্মার পানি দুই সে.মি বেড়ে বিপদসীমার ২৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে চার সে.মি বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে ৬৫ সে.মি উপর দিয়ে। দৌলতদিয়ায় এক সে.মি কমলেও এখনও বিপদসীমার ১.৩ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, জেলায় তিন হাজার মানুষ পনিবন্দী হয়ে আছে। এসব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। আমরা আরও চাহিদা চেয়ে পাঠাচ্ছি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে বন্যায় পানিবন্দী ৩ হাজার মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৮:১১:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুলাই ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীতে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ায় বন্যা কবলিত মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কোথাও বেড়েছে সাপের উপদ্রব। বর্তমানে পানিবন্দী আছে তিন হাজার মানুষ।

পদ্মা তীরবর্তী রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের বেশির ভাগ গ্রামে এখন বন্যার পানি। এ ইউনিয়নের  মহাদেবপুর, চর জৌকুড়ি, রামচন্দ্রপুর, চরনারায়ণপুর, রামকৃষ্ণপুর, বড়চর বেনিনগর, সিলিমপুর, চর ধুঞ্চি, মৌকুড়ি,  কুঠুরিচর, আমবাড়িয়াসহ অন্ততঃ ১৫টি গ্রামের কয়েক হাজার পানিবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। বন্যায় ডুবে গেছে ক্ষেতের ফসল। কাজকর্ম না থাকায়  বন্ধ হয়ে গেছে মানুষের আয়ের পথ। বসতঘরে পানি ঢুবেক পড়ায় ঊঁচু মাচা করে পরিবার পরিজন নিয়ে কোনোমতে বাস করছে বন্যার্ত মানুষ। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার সংকট। চরম বিপাকে রয়েছে  গবাদি পশু ও হাঁস মুরগী নিয়ে। এছাড়া জেলার কালুখালী উপজেলার কালিকাপুর, রতনদিয়া ও পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজবাড়ী সদর উপজেলার মহেন্দ্রপুর পয়েন্টে পদ্মার পানি দুই সে.মি বেড়ে বিপদসীমার ২৮ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পাংশার সেনগ্রাম পয়েন্টে চার সে.মি বেড়ে প্রবাহিত হচ্ছে ৬৫ সে.মি উপর দিয়ে। দৌলতদিয়ায় এক সে.মি কমলেও এখনও বিপদসীমার ১.৩ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম জানান, জেলায় তিন হাজার মানুষ পনিবন্দী হয়ে আছে। এসব মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকার শিশুখাদ্য ও পশুখাদ্যের জন্য সরকারিভাবে আর্থিক বরাদ্দ পাওয়া গেছে। এগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে। আমরা আরও চাহিদা চেয়ে পাঠাচ্ছি।