Dhaka ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০
  • / ১৬৫৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তুহিন শেখ নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের লক্ষীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এঘটনা ঘটে। তুহিন একই গ্রামের বোলতা এলাকার আবুল শেখের ছেলে। নিহত তুহিন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী ছিলেন। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলো তুহিন। রাত  ১০টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল পেয়ে বাড়ি থেকে বাইরে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার আর্তচিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন দৌড়ে বাড়ি থেকে একশ গজ দূরে স্কুলের মাঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাৎক্ষণিক তুহিনকে উদ্ধার করে  রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলাসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত তুহিনের স্বজন সেলিম শেখ জানান, তুহিন এলাকায় সহজ, সরল, ন¤্র ভদ্র ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল। কারো সাথে বিবাদ বা শত্রুতার কথা তিনি কখনও শোনেননি। ভেতরে কারো সাথে দ্বন্দ্ব ছিল কীনা তা তারা জানেন না। তুহিনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে ও তিন বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। তুহিনের মৃত্যুর কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেল বলে জানান তিনি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তুহিনের একজন স্বজন জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে তুহিনের কাজ কাম খুব একটা ছিলনা। যেকারণে সে অভাবে ছিল। বিভিন্ন  জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চলছিলেন তিনি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তুহিনের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পাওয়া যায়নি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি। নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত  হত্যার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে দু একটি এঙ্গেল থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে মোবাইলে ডেকে নিয়ে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশের সময় : ০৬:৪২:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জুলাই ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন ॥ মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে তুহিন শেখ নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের লক্ষীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এঘটনা ঘটে। তুহিন একই গ্রামের বোলতা এলাকার আবুল শেখের ছেলে। নিহত তুহিন পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রী ছিলেন। কারা কী কারণে তাকে হত্যা করেছে তা এখনও জানা যায়নি।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রাতের খাবার খেয়ে বাড়িতেই অবস্থান করছিলো তুহিন। রাত  ১০টার দিকে তার মোবাইলে একটি কল পেয়ে বাড়ি থেকে বাইরে যায়। এর কিছুক্ষণ পর তার আর্তচিৎকার শুনে পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন দৌড়ে বাড়ি থেকে একশ গজ দূরে স্কুলের মাঠে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাৎক্ষণিক তুহিনকে উদ্ধার করে  রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার গলাসহ বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত তুহিনের স্বজন সেলিম শেখ জানান, তুহিন এলাকায় সহজ, সরল, ন¤্র ভদ্র ছেলে হিসেবেই পরিচিত ছিল। কারো সাথে বিবাদ বা শত্রুতার কথা তিনি কখনও শোনেননি। ভেতরে কারো সাথে দ্বন্দ্ব ছিল কীনা তা তারা জানেন না। তুহিনের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে ও তিন বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। তুহিনের মৃত্যুর কারণে তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মাঝে পড়ে গেল বলে জানান তিনি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন তুহিনের একজন স্বজন জানান, করোনা সংক্রমণের কারণে তুহিনের কাজ কাম খুব একটা ছিলনা। যেকারণে সে অভাবে ছিল। বিভিন্ন  জনের কাছ থেকে ধারদেনা করে চলছিলেন তিনি।

রাজবাড়ী সদর থানার ওসি স্বপন কুমার মজুদার জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে তুহিনের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পাওয়া যায়নি হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি। নিহতের লাশ রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত  হত্যার কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। তবে দু একটি এঙ্গেল থেকে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারে কাজ করছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।