Dhaka ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর পদ্মায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৪ জনের সন্ধান মেলেনি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯
  • / ১৪১৬ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে পাথর বোঝাই ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ চারজনের সন্ধান মেলেনি। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়ালজানি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ডুবে যাওয়া বিশাল ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হলেও তীব্র স্রোতে ডুবুরী দল সফল অভিযান চালাতে ব্যার্থ হচ্ছে। এসময় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজনরা অপর একটি বড় ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শেকল দিয়ে বেঁধে তোলার চেষ্টা করছে। নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজন ও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া অনেকেই অভিযোগ করনে, দূর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ব্যাক্তিদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া নৌযান উদ্ধারের জন্য পার্শ্ববর্তী আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। ওই জাহাজ উদ্ধার কাজে যোগদিলে হয়ত এতক্ষনে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
জানা যায়, পাবনা থেকে পাথর বোঝায় বিশাল ওই ট্রলার রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোড়ার বাজার ঘাট এলাকায় আসছিল। ট্রলারটি কাওয়ালজানি এলাকায় আসার পর প্রবল ¯্রােত ও অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় থাকার কারনে মাঝখান থেকে দুই ভাগ হয়ে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ জনের মধ্যে ছয় জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাঁকি চারজন উঠতে পারেনি।
নিখোঁজ থাকা চার জন হল সিরাজগঞ্জ জেলার সাজাহান শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৪০), আলতাফ প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক (৪০), আবু শেখের ছেলে আব্দুল শেখ (৩৫) ও আমজাদ শেখের ছেলে আলামিন শেখ (৪৩)। নিখোঁজ সবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে বেঁচে যাওয়া শাহানুর মিয়া (৪৫) জানান, প্রবল স্রোতের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় তারা যে ৬জন বাইরে ছিল তারা তীরে উঠতে সক্ষত হয়। আর যে ৪ জন ট্রলারের কেবিনের (ছই) মধ্যে ছিল তারা বের হতে পারেনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুল হক জানান, তাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্ষমতা অনুপাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি অনেক ছোট। এ কারণে ওই উদ্ধারকারী জাহাজ ব্যবহারে অনেক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এখনও পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষটি সার্বক্ষনিক অবগত করছেন বলে তিনি জানান।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর আমারদের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট গিয়ে নিঁখোজদের উদ্ধারের জন্য কাজ করে। পরে রাজবাড়ীর ইউনিট ও ঢাকা থেকে আসা ডুবুরী দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ সফল হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর ডুবুরী দল রওনা দিয়েছে। তারা এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীর পদ্মায় ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ৪ জনের সন্ধান মেলেনি

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে পদ্মা নদীতে পাথর বোঝাই ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ চারজনের সন্ধান মেলেনি। গত শুক্রবার দুপুরে উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের কাউয়ালজানি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার দুপুরে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী দল ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ডুবে যাওয়া বিশাল ট্রলারের অবস্থান নিশ্চিত হলেও তীব্র স্রোতে ডুবুরী দল সফল অভিযান চালাতে ব্যার্থ হচ্ছে। এসময় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজনরা অপর একটি বড় ট্রলার ডুবে যাওয়া ট্রলারটি শেকল দিয়ে বেঁধে তোলার চেষ্টা করছে। নিখোঁজ ব্যাক্তিদের স্বজন ও উদ্ধার কাজে অংশ নেয়া অনেকেই অভিযোগ করনে, দূর্ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হয়েছে। এখনো নিখোঁজ ব্যাক্তিদের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ডুবে যাওয়া নৌযান উদ্ধারের জন্য পার্শ্ববর্তী আরিচায় বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ রয়েছে। ওই জাহাজ উদ্ধার কাজে যোগদিলে হয়ত এতক্ষনে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হতো।
জানা যায়, পাবনা থেকে পাথর বোঝায় বিশাল ওই ট্রলার রাজবাড়ীর সদর উপজেলার গোড়ার বাজার ঘাট এলাকায় আসছিল। ট্রলারটি কাওয়ালজানি এলাকায় আসার পর প্রবল ¯্রােত ও অতিরিক্ত পণ্য বোঝায় থাকার কারনে মাঝখান থেকে দুই ভাগ হয়ে ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১০ জনের মধ্যে ছয় জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাঁকি চারজন উঠতে পারেনি।
নিখোঁজ থাকা চার জন হল সিরাজগঞ্জ জেলার সাজাহান শেখের ছেলে নুরুজ্জামান শেখ (৪০), আলতাফ প্রামানিকের ছেলে ফারুক প্রামানিক (৪০), আবু শেখের ছেলে আব্দুল শেখ (৩৫) ও আমজাদ শেখের ছেলে আলামিন শেখ (৪৩)। নিখোঁজ সবার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলায়।
ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে বেঁচে যাওয়া শাহানুর মিয়া (৪৫) জানান, প্রবল স্রোতের মধ্যে কয়েক সেকেন্ডর মধ্যে তাদের ট্রলারটি ডুবে যায়। এসময় তারা যে ৬জন বাইরে ছিল তারা তীরে উঠতে সক্ষত হয়। আর যে ৪ জন ট্রলারের কেবিনের (ছই) মধ্যে ছিল তারা বের হতে পারেনি।
বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মো. মাসুদুল হক জানান, তাদের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন উদ্ধারকারী জাহাজের ক্ষমতা অনুপাতে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি অনেক ছোট। এ কারণে ওই উদ্ধারকারী জাহাজ ব্যবহারে অনেক অসুবিধার কথা বিবেচনা করে এখনও পর্যন্ত সেটি ব্যবহার করা হয়নি। তবে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষটি সার্বক্ষনিক অবগত করছেন বলে তিনি জানান।
রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সহকারী পরিচালক শওকত আলী জানান, ট্রলার ডুবির ঘটনার পর আমারদের গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট গিয়ে নিঁখোজদের উদ্ধারের জন্য কাজ করে। পরে রাজবাড়ীর ইউনিট ও ঢাকা থেকে আসা ডুবুরী দল উদ্ধার কাজে যোগ দেয়। কিন্তু তীব্র স্রোতের কারণে উদ্ধার কাজ সফল হচ্ছে না। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে নৌবাহিনীর ডুবুরী দল রওনা দিয়েছে। তারা এসে উদ্ধার কাজে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।