Dhaka ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গুড়িয়ে দেয়া হলো গোয়ালন্দের সেই অস্থায়ী ইলিশ বাজার

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৯৪১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মা ইলিশ বিক্রির জন্য বিশাল আয়োজনে পদ্মার দূর্গম চরে গড়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ইলিশ বাজার গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এই ইলিশ বাজার নিয়ে দৈনিক সমকালে গত ২৪ অক্টোবর ‘গোয়ালন্দে পদ্মায় ইলিশ শিকারের মহোৎসব’ শীরনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার দিন থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে দূর্গম চরের ওই বাজারে গড়ে ওঠা খাবার, ট্রলারের জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য দোকান পার্ট ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় প্রায় ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও অসংখ্য মাছ ধরা ট্রলার ধ্বংস করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অস্থায়ী ইলিশ বাজার অনেকটাই জনশুন্য হয়ে যায়।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা তীরের কলাবাগান নামক স্থানে বিশেষ কায়দায় মূল নদী থেকে নালা খনন করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বিশাল ইলিশ বাজার। যেখানে শত শত জেলে নৌকা পদ্মায় ইলিশ শিকার করে নিয়ে আসছিলো। কিছুটা কম দামে সেই মাছ কেনার জন্য অস্থায়ী ওই ইলিশ বাজারে ভীর করতেন শত শত মানুষ। এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় নির্বিঘেœ ওই বাজারে চলতো হাজার হাজার কেজি ইলিশ বিক্রি।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ জানান, গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চরে কলাবাগান নামক স্থানে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য গড়ে ওঠা ইলিশ বাজার নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে গত কয়েক দিন সেখানে দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নৌ পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাজারে সারাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সেখানকার দোকান-পার্ট গুড়িয়ে দেয়াসহ বিপুল পরিমান অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। একজনকে আটকরে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে কলাবাগান এলাকার ইলিশ বাজার বন্ধ করা সহ পদ্মায় মা ইলিশ শিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকেও কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ইলিশ শিকারের জন্য জরো হওয়া জেলেরা পালিয়ে যায়। এসময় বিপুল পরিমান অবৈধ কারেন্ট জাল ও জেলে নৌকা ধ্বংস করা হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গুড়িয়ে দেয়া হলো গোয়ালন্দের সেই অস্থায়ী ইলিশ বাজার

প্রকাশের সময় : ০৮:১০:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯

জনতার আদালত অনলাইন ॥ নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে মা ইলিশ বিক্রির জন্য বিশাল আয়োজনে পদ্মার দূর্গম চরে গড়ে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ইলিশ বাজার গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন। এই ইলিশ বাজার নিয়ে দৈনিক সমকালে গত ২৪ অক্টোবর ‘গোয়ালন্দে পদ্মায় ইলিশ শিকারের মহোৎসব’ শীরনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
গত সোমবার দিন থেকে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে দূর্গম চরের ওই বাজারে গড়ে ওঠা খাবার, ট্রলারের জ্বালানী তেলসহ অন্যান্য দোকান পার্ট ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয়। এসময় প্রায় ১৫ লাখ মিটার কারেন্ট জাল ও অসংখ্য মাছ ধরা ট্রলার ধ্বংস করা হয়। অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে অস্থায়ী ইলিশ বাজার অনেকটাই জনশুন্য হয়ে যায়।
নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মা তীরের কলাবাগান নামক স্থানে বিশেষ কায়দায় মূল নদী থেকে নালা খনন করে গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বিশাল ইলিশ বাজার। যেখানে শত শত জেলে নৌকা পদ্মায় ইলিশ শিকার করে নিয়ে আসছিলো। কিছুটা কম দামে সেই মাছ কেনার জন্য অস্থায়ী ওই ইলিশ বাজারে ভীর করতেন শত শত মানুষ। এলাকাটি দূর্গম হওয়ায় নির্বিঘেœ ওই বাজারে চলতো হাজার হাজার কেজি ইলিশ বিক্রি।
গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রেজাউল শরীফ জানান, গোয়ালন্দ উপজেলার দুর্গম চরে কলাবাগান নামক স্থানে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ের জন্য গড়ে ওঠা ইলিশ বাজার নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে গত কয়েক দিন সেখানে দফায় দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার নৌ পুলিশের সহযোগিতায় ওই বাজারে সারাশি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সেখানকার দোকান-পার্ট গুড়িয়ে দেয়াসহ বিপুল পরিমান অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। একজনকে আটকরে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, দফায় দফায় অভিযান চালিয়ে কলাবাগান এলাকার ইলিশ বাজার বন্ধ করা সহ পদ্মায় মা ইলিশ শিকার নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকেও কলাবাগান এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় ইলিশ শিকারের জন্য জরো হওয়া জেলেরা পালিয়ে যায়। এসময় বিপুল পরিমান অবৈধ কারেন্ট জাল ও জেলে নৌকা ধ্বংস করা হয়।