Dhaka ০৩:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীর আলোকদিয়ার সাড়ে ৪শ প্রতিমার প্রদর্শনী দেখতে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ॥ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯
  • / ১৪৮৪ জন সংবাদটি পড়েছেন


জনতার আদালত অনলাইন ॥
ধান ক্ষেতের মাঝখানে চার তলা মন্ডপটি তৈরি করা হয়েছে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে। যেখানে থরে থরে সাজানো সনাতন ধর্মের সাড়ে চারশ দেব দেবীর প্রতিমা। নীচ থেকে চার তলা মন্ডপটিতে যেতে পেরুতে হয় কাঠের তৈরি সেতুও। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূজা দেখতে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শণার্থী ভিড় করছেন। সোমবার বিকেলে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন দর্শণার্থীরা।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া সার্বজনীন পূজা কমিটি সূত্র জানায়, চার তলা বিশিষ্ট ছয়টি মন্ডপ তৈরি করতে প্রায় সাত হাজার বাঁশ, একশ মণ কাঠ ও ৩০ মণ লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। ২১ জন শ্রমিক চার মাস ধরে নির্মাণ করছে এ মন্ডপ। মন্ডপটির বৈশিষ্ট্য হলো নীচ থেকে প্রথমে উঠতে হয় চার তলাায়। সেখান থেকে ক্রমানসারে তিন, দুই ও এক তলায় নামতে হয়। প্রতিটি তলায় চার পাশে রামায়ণ, মহাভারত, পুরানসহ সনাতন ধর্মের নানান কাহিনী অবলম্বনে দেব দেবীর প্রতিমা থরে থরে সাজানো। চারতলার মাঝখানে হাতির শূড় দিয়ে জল তোলার দৃশ্যটিও চমৎকার। নীচতলায় দেবাদিদেব মহাদেবের বিশালকায় মূর্তিটিও দারুন। একই ভাবে রাম, লক্ষèণ, সীতারও মূর্তিও তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আর এ পূজা দেখতে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কাঠের তৈরি সেতুটি পেরু্েতই সময় লেগেছে ঘণ্টারও বেশি। সোমবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে দুর্ভোগে পড়ে দর্শণার্থীরা। অনেক দর্শণার্থীকে পূজা না দেখেই ফিরে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৃষ্টি চলাকালীন দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় অনেক দর্শণার্থীকে ভিজতে হয়েছে। বৃষ্টির পরে মন্ডপ প্রাঙ্গন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী সৃষ্টি হয় যানজট। যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে দর্শণার্থীদের আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আলোকদিয়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শণার্থীরা তাদের পূজা দেখতে আসছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। সোমবার বৃষ্টির কারণে দর্শণার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে যাতে এমনটি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, দশমীর দিনে পূজা শেষ হলেও তাদের প্রতিমা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে। প্রতিদিনই দর্শণার্থীরা আসবেন বলে তার বিশ্বাস।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীর আলোকদিয়ার সাড়ে ৪শ প্রতিমার প্রদর্শনী দেখতে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ॥ বৃষ্টিতে দুর্ভোগ

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৪:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ অক্টোবর ২০১৯


জনতার আদালত অনলাইন ॥
ধান ক্ষেতের মাঝখানে চার তলা মন্ডপটি তৈরি করা হয়েছে বাঁশ আর কাঠ দিয়ে। যেখানে থরে থরে সাজানো সনাতন ধর্মের সাড়ে চারশ দেব দেবীর প্রতিমা। নীচ থেকে চার তলা মন্ডপটিতে যেতে পেরুতে হয় কাঠের তৈরি সেতুও। রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হচ্ছে পূজা দেখতে রাজবাড়ীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার দর্শণার্থী ভিড় করছেন। সোমবার বিকেলে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন দর্শণার্থীরা।
বালিয়াকান্দি উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের আলোকদিয়া সার্বজনীন পূজা কমিটি সূত্র জানায়, চার তলা বিশিষ্ট ছয়টি মন্ডপ তৈরি করতে প্রায় সাত হাজার বাঁশ, একশ মণ কাঠ ও ৩০ মণ লোহা ব্যবহার করা হয়েছে। ২১ জন শ্রমিক চার মাস ধরে নির্মাণ করছে এ মন্ডপ। মন্ডপটির বৈশিষ্ট্য হলো নীচ থেকে প্রথমে উঠতে হয় চার তলাায়। সেখান থেকে ক্রমানসারে তিন, দুই ও এক তলায় নামতে হয়। প্রতিটি তলায় চার পাশে রামায়ণ, মহাভারত, পুরানসহ সনাতন ধর্মের নানান কাহিনী অবলম্বনে দেব দেবীর প্রতিমা থরে থরে সাজানো। চারতলার মাঝখানে হাতির শূড় দিয়ে জল তোলার দৃশ্যটিও চমৎকার। নীচতলায় দেবাদিদেব মহাদেবের বিশালকায় মূর্তিটিও দারুন। একই ভাবে রাম, লক্ষèণ, সীতারও মূর্তিও তুলির আঁচড়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আর এ পূজা দেখতে দর্শণার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। কাঠের তৈরি সেতুটি পেরু্েতই সময় লেগেছে ঘণ্টারও বেশি। সোমবার বিকেলের দিকে বৃষ্টি শুরু হলে দুর্ভোগে পড়ে দর্শণার্থীরা। অনেক দর্শণার্থীকে পূজা না দেখেই ফিরে যেতে হয়েছে। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বৃষ্টি চলাকালীন দাঁড়ানোর জায়গা না থাকায় অনেক দর্শণার্থীকে ভিজতে হয়েছে। বৃষ্টির পরে মন্ডপ প্রাঙ্গন থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ব্যাপী সৃষ্টি হয় যানজট। যানজটের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়ে দর্শণার্থীদের আরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
আলোকদিয়া পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দর্শণার্থীরা তাদের পূজা দেখতে আসছে এটা অবশ্যই আমাদের জন্য আনন্দের। সোমবার বৃষ্টির কারণে দর্শণার্থীরা দুর্ভোগে পড়েছে এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আগামীতে যাতে এমনটি না হয় সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি জানান, দশমীর দিনে পূজা শেষ হলেও তাদের প্রতিমা আগামী ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শন করা হবে। প্রতিদিনই দর্শণার্থীরা আসবেন বলে তার বিশ্বাস।