Dhaka ১২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে দাদীÑনাতনী খুন॥ ৭ দিনেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮
  • / ১৪৮৮ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘর গ্রামে সাহিদা বেগম ও তার পাঁচ বছরের নাতনী লামিয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার রহস্য সাত দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি। এখনও এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ। তবে পুলিশ বলছে, জোড়া খুনের মামলার অগ্রগতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট শুক্রবার সাহিদা বেগম ও তার নাতনীর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ তাদের নিজ শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহত সাহিদা বেগমের ছেলে সাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান তুহিন বলেন, অত্যন্ত নৃশংসভাবে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ধরণ দেখে ধারণা করা যায়; প্রচন্ড ক্ষোভ থেকে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। সাহিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যেভাবে কোপানো হয়েছে তার একটি কোপেই একজন মানুষ মারা যেতে পারে। অথচ তার সাড়া শরীরে ১৩টি কোপের আঘাত রয়েছে। যার প্রতিটিতেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার গলার চারপাশ দিয়ে কাটা। পিঠে চারটি, বুকে তিনটি, বাম হাতে তিনটি ও মাথায় দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর শিশুটিকেও পাঁচবার কোপানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মেজবাহ জানান, জোড়াখুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পুলিশ বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তদন্ত করছে। পুলিশ তার সর্ব্বোচ্চ মেধা, শ্রম, আন্তরিকতা দিয়ে এ মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থেই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। চূড়ান্ত লক্ষে পৌছে বিষয়টি আমরা জানাতে চাই।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে দাদীÑনাতনী খুন॥ ৭ দিনেও রহস্য উদ্ঘাটন হয়নি

প্রকাশের সময় : ০৯:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ অগাস্ট ২০১৮

জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী সদর উপজেলার মূলঘর ইউনিয়নের পশ্চিম মূলঘর গ্রামে সাহিদা বেগম ও তার পাঁচ বছরের নাতনী লামিয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার রহস্য সাত দিনেও উদ্ঘাটন হয়নি। এখনও এ ঘটনায় গ্রেফতার হয়নি কেউ। তবে পুলিশ বলছে, জোড়া খুনের মামলার অগ্রগতি হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকও করা হয়েছে।
গত ৩ আগস্ট শুক্রবার সাহিদা বেগম ও তার নাতনীর গলাকাটা রক্তাক্ত লাশ তাদের নিজ শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর থানার পুলিশ। ঘটনার পরদিন নিহত সাহিদা বেগমের ছেলে সাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতদের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আলী আহসান তুহিন বলেন, অত্যন্ত নৃশংসভাবে দুজনকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ধরণ দেখে ধারণা করা যায়; প্রচন্ড ক্ষোভ থেকে তাদেরকে হত্যা করা হয়েছে। সাহিদা বেগমকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে যেভাবে কোপানো হয়েছে তার একটি কোপেই একজন মানুষ মারা যেতে পারে। অথচ তার সাড়া শরীরে ১৩টি কোপের আঘাত রয়েছে। যার প্রতিটিতেই গভীর ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তার গলার চারপাশ দিয়ে কাটা। পিঠে চারটি, বুকে তিনটি, বাম হাতে তিনটি ও মাথায় দুটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আর শিশুটিকেও পাঁচবার কোপানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মেজবাহ জানান, জোড়াখুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যেহেতু তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে তাই তাদের পরিচয় প্রকাশ করা সম্ভব নয়।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও হত্যাকারীকে শনাক্ত করতে পুলিশ বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে তদন্ত করছে। পুলিশ তার সর্ব্বোচ্চ মেধা, শ্রম, আন্তরিকতা দিয়ে এ মামলার তদন্তকাজ এগিয়ে নিচ্ছে। তদন্তের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থেই এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়। চূড়ান্ত লক্ষে পৌছে বিষয়টি আমরা জানাতে চাই।