রাজবাড়ীতে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ ॥ সোয়া লাখ টাকায় রফা
- প্রকাশের সময় : ০৯:০৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ এপ্রিল ২০১৮
- / ২৬২১ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ী শহরের বড়পুল এলাকায় রতন ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসায় রেবেকা খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে সোয়া লাখ টাকায় রফা হয়েছে মৃতার পরিবারের। উভয়পক্ষই সমঝোতার বিষয়টি স্বীকার করেছে। রেবেকা খাতুন রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মদাপুর ইউনিয়নের কেষ্টপুর গ্রামের নজরুল শেখের স্ত্রী।
জানা যায়, শনিবার বেলা ১১টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে রেবেকা খাতুন রাজবাড়ী শহরের রতন ক্লিনিকে ভর্তি হন। দুপুর ২টার দিকে সিজারিয়ান অপরাশেনের মাধ্যমে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন রেবেকা খাতুন। রাজবাড়ী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এম এ হান্নান এবং ডা. দীপক কুমার এ অপরাশেন সম্পন্ন করেছিলেন। বিকেল চারটার দিকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ হঠাৎই একটি অ্যম্বুলেন্স ভাড়া করে রোগীকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলেন। ফরিদুপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যান রেবেকা খাতুন। এরপর তার স্বজনরা লাশ রতন ক্লিনিকের সামনে রেখে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচার দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে রাতেই ক্লিনিকের মধ্যে মৃতা রেবেকা খাতুনের পরিবার ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সমঝোতা বৈঠকে বসে। রাত দেড়টা পর্যন্ত চলে সমঝোতা বৈঠক। শেষ পর্যন্ত উভয়পক্ষের সাথে সোয়া লাখ টাকায় সমঝোতা হয়।
রেবেকা খাতুনের ভগ্নিপতি লিটন শেখ জানান, ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাদেরকে আগামি ১৬ মে তারিখে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দেবে বলে আশ্বাস দিয়েছে। এজন্য তারা কোনো অভিযোগ করেননি।
রতন ক্লিনিকের পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান এম গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রসূতি রেবেকা খাতুনকে বেলা ১১টার দিকে তাদের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারিয়ান করানো হয়। বিকেল চারটার দিকে তার রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তৎক্ষণাৎ ডাক্তার ডাকা হয়েছিল। ডাক্তার ফরিদপুর নেয়ার পরামর্শ দিলে সে ব্যবস্থাও করে দেয়া হয়। সন্ধ্যার দিকে তার স্বজনরা ক্লিনিকে এসে জানায়; রেবেকা মারা গেছে। এ বিষয়ে রাতে আমাদের ক্লিনিকে সমঝোতা বৈঠক হয়। সেখানে মৃতার পরিবার ৩০ লাখ টাকা দাবি করে। শেষ পর্যন্ত নবজাতকের কথা ভেবে তার পরিবারকে এক লাখ ২৫ হাজার টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
রাজবাড়ী সদর থানার ওসি তারিক কামাল জানান, এব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। পুলিশ বিষয়টি জানার পর এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না হয় সেজন্য সেখানে পুলিশি প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।