Dhaka ০৭:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অপব্যয় রেলের বর্তমান অবস্থার বড় কারণ: রেল উপদেষ্টা

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০২৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

অপব্যয় রেলের বর্তমান অবস্থার বড় কারণ বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই অসন্তোষ ব্যক্ত করে থাকেন, কিন্তু আপনাদের জানতে হবে রেল কেন আপনাদের প্রকৃত সুবিধা দিতে পারে না। রেলের আজকে যে অবস্থা, এ অবস্থায় আসার একটি বড় কারণ হচ্ছে অপব্যয়। আমাদের যে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ভারত কিংবা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যয় যদি কমানো না যায় তাহলে আমাদের রেল সেবা দেওয়ার প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে সক্ষম হবো না।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন দুই জোড়া ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ট্রেন দুটির মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা যাবে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। আর বেনাপোল যাবে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’। এই দুই পথে যেতে পৌনে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই পথে সেবা দেওয়া হবে একই ট্রেন দিয়ে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সবাই জানেন রেল একটি সাশ্রয়ী যাতায়াত ব্যবস্থা। খুব অল্প খরচে এর মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু আমাদের রেলের নানান রকম সংকট রয়েছে। আমাদের ইঞ্জিন সংকট রয়েছে, কোচের সংকট, জনবলের সংকট রয়েছে। সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে রেলের কর্মীরা বড় দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া যত্রতত্র রেল স্টেশন বানানো হয়েছে, লাইন বিস্তার করা হয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন, কোচ, জনবল আছে কিনা সেগুলো না দেখে, এসব করা হয়েছে।

রেলের যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই আশা করেন যে রেল গাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা এটাও চান যে তারা দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবেন। এটা সম্ভব না। আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, যাতায়াতের সময় বাড়বে। আপনি অন্য একটা যানবাহনে রেলস্টেশনে যাবেন। এটা একটা সেকেন্ডারি ট্রান্সপোর্টেশন। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, রাজস্ব বেশি পাওয়া যাবে, সেখানেই গাড়ি থামবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের পদ্মা রেলসেতু সংযোগের মাধ্যমে খুলনা এবং ঢাকার মধ্যে একটা দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনায় পৌঁছে যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা, রেলের সর্বস্তরের কর্মচারীরা রেলের মহাপরিচালকসহ, বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

এর আগে, আজ ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। পরে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। অর্থাৎ খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।

প্রসঙ্গত, সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন ট্রেনটি চলাচল করবে। ট্রেনটি যাওয়া-আসার পথে যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

অপব্যয় রেলের বর্তমান অবস্থার বড় কারণ: রেল উপদেষ্টা

প্রকাশের সময় : ০৫:৩০:৩৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অপব্যয় রেলের বর্তমান অবস্থার বড় কারণ বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, আপনারা অনেকেই অসন্তোষ ব্যক্ত করে থাকেন, কিন্তু আপনাদের জানতে হবে রেল কেন আপনাদের প্রকৃত সুবিধা দিতে পারে না। রেলের আজকে যে অবস্থা, এ অবস্থায় আসার একটি বড় কারণ হচ্ছে অপব্যয়। আমাদের যে কোনো প্রকল্পের ব্যয় ভারত কিংবা আশপাশের দেশের তুলনায় অনেক বেশি। ব্যয় যদি কমানো না যায় তাহলে আমাদের রেল সেবা দেওয়ার প্রত্যাশা আমরা পূরণ করতে সক্ষম হবো না।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় কমলাপুর রেলস্টেশনে নতুন দুই জোড়া ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ট্রেন দুটির মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা যাবে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। আর বেনাপোল যাবে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’। এই দুই পথে যেতে পৌনে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই পথে সেবা দেওয়া হবে একই ট্রেন দিয়ে।

রেলপথ উপদেষ্টা বলেন, আপনারা সবাই জানেন রেল একটি সাশ্রয়ী যাতায়াত ব্যবস্থা। খুব অল্প খরচে এর মাধ্যমে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু আমাদের রেলের নানান রকম সংকট রয়েছে। আমাদের ইঞ্জিন সংকট রয়েছে, কোচের সংকট, জনবলের সংকট রয়েছে। সীমিত সংখ্যক জনবল দিয়ে রেলের কর্মীরা বড় দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া যত্রতত্র রেল স্টেশন বানানো হয়েছে, লাইন বিস্তার করা হয়েছে। কিন্তু ইঞ্জিন, কোচ, জনবল আছে কিনা সেগুলো না দেখে, এসব করা হয়েছে।

রেলের যাত্রীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সবাই আশা করেন যে রেল গাড়িটি তাদের বাড়ির পাশে থামবে। আবার তারা এটাও চান যে তারা দ্রুততম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছবেন। এটা সম্ভব না। আপনি যতই স্টপেজের সংখ্যা বাড়াবেন, যাতায়াতের সময় বাড়বে। আপনি অন্য একটা যানবাহনে রেলস্টেশনে যাবেন। এটা একটা সেকেন্ডারি ট্রান্সপোর্টেশন। যেখানে যাত্রী বেশি হবে, রাজস্ব বেশি পাওয়া যাবে, সেখানেই গাড়ি থামবে।

তিনি আরও বলেন, আজকের পদ্মা রেলসেতু সংযোগের মাধ্যমে খুলনা এবং ঢাকার মধ্যে একটা দ্রুত যাতায়াতের ব্যবস্থা হয়েছে। পৌনে চার ঘণ্টায় ঢাকা থেকে খুলনায় পৌঁছে যাবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে রেলের ইঞ্জিনিয়াররা, রেলের সর্বস্তরের কর্মচারীরা রেলের মহাপরিচালকসহ, বিশেষ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।

এর আগে, আজ ভোর ৬টায় খুলনা থেকে ৫৫৩ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। পরে পদ্মা সেতু হয়ে ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে পৌঁছায় সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে। অর্থাৎ খুলনা থেকে ঢাকায় পৌঁছাতে সময় লেগেছে ৪ ঘণ্টা ১৫ মিনিট।

প্রসঙ্গত, সোমবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছয় দিন ট্রেনটি চলাচল করবে। ট্রেনটি যাওয়া-আসার পথে যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে।