Dhaka ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ীতে যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, হাসপাতালে লাশ ফেলে স্বামীর পলায়ন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১
  • / 226

জনতার আদালত অনলাইন ॥ যৌতুক না দেওয়ায় মৌসুমী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মোহাম্মদ টুটুল বিশ^াসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী  সদর হাসপাতালে তার স্ত্রী মৌসুমীর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় টুটুল। পরে পুলিশ মৌসুমীর লাশ উদ্ধার করে। নিহত মৌসুমী  পাবনার ঢালারচর ইউনিয়নের দরিরচর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। টুটুল রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের ওহাব বিশ^াসের ছেলে। এঘটনায় নিহতের ভাই শাজাহান আলী রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শাজাহান আলী জানান, দেড় বছর আগে টুটুলের সাথে তার বোন মৌসুমীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরের চাহিদামত দেড় লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। এরপরও তারা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। যৌতুক না পেয়ে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতো তার বোনকে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পান তার বোনকে মেরে হাসপাতালে রেখে এসেছে। হাসপাতালে গিয়ে তার বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি অভিযোগ করেন, টুটুল তার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে গিয়ে নিহতের স্বামী টুটুলকে পাওয়া যায়নি। নিহতের লাশ সুরতহালের পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। শনিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মৌসুমীর বাবার বাড়ির স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান,  টুটুল এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল। তার প্রথম স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ীতে যৌতুক না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ, হাসপাতালে লাশ ফেলে স্বামীর পলায়ন

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৯:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ জুন ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন ॥ যৌতুক না দেওয়ায় মৌসুমী বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী মোহাম্মদ টুটুল বিশ^াসের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজবাড়ী  সদর হাসপাতালে তার স্ত্রী মৌসুমীর লাশ ফেলে পালিয়ে যায় টুটুল। পরে পুলিশ মৌসুমীর লাশ উদ্ধার করে। নিহত মৌসুমী  পাবনার ঢালারচর ইউনিয়নের দরিরচর গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে। টুটুল রাজবাড়ী শহরের সজ্জনকান্দা গ্রামের ওহাব বিশ^াসের ছেলে। এঘটনায় নিহতের ভাই শাজাহান আলী রাজবাড়ী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শাজাহান আলী জানান, দেড় বছর আগে টুটুলের সাথে তার বোন মৌসুমীর বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বরের চাহিদামত দেড় লাখ টাকার যৌতুক দেওয়া হয়। এরপরও তারা যৌতুক দাবি করে আসছিলো। যৌতুক না পেয়ে মাঝে মধ্যেই নির্যাতন করতো তার বোনকে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পান তার বোনকে মেরে হাসপাতালে রেখে এসেছে। হাসপাতালে গিয়ে তার বোনকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি অভিযোগ করেন, টুটুল তার বোনকে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে প্রচারণা চালাচ্ছে।

রাজবাড়ী সদর থানার এসআই আমিনুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। সেখানে গিয়ে নিহতের স্বামী টুটুলকে পাওয়া যায়নি। নিহতের লাশ সুরতহালের পর প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে বিষয়টি হত্যা না আত্মহত্যা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে। শনিবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে মৌসুমীর বাবার বাড়ির স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান,  টুটুল এর আগেও একটি বিয়ে করেছিল। তার প্রথম স্ত্রী বিষপানে আত্মহত্যা করে।