Dhaka ১২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বামীর মৃত্যুর শোকে স্ত্রীর মৃত্যু

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • / 20

স্বামীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। এমন বিরল ঘটনায় এলাকায় শোকের মতন। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা পৌর শহরের পশ্চিম সাতপাই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মৃত নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম ফকির (৫৫) কুনিয়া এলাকায় দুইজন শ্রমিক নিয়ে সেচ দেওয়ার জন্য ফিসারীতে যান। রাত আটটার সময় ফিসারীতে সেচ দেওয়া শেষ হলে সেচের পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তখন সাথে যাওয়া শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ও তার ছেলে মাজারুল ইসলাম সানি (৩২) রাত সাড়ে ১০ টায় লাশ নিয়ে পশ্চিম সাতপাই এলাকায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। বাড়ির উঠানে রাখা স্বামীর লাশ দেখতে এসে স্ত্রী রিনা পারভীন (৪৮) শোকে কাতর হয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন রিনা পারভীনকে নিয়ে বাসার ভিতরে যাওয়ার পর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।

মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন রিনা পারভীনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রিনা পারভীন এর মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় লোকজন ও এলাকায়বাসী বলছে, এটি একটি বিরল ঘটনা এরকম স্বামী স্ত্রীর একসাথে মৃত্যু কখনো দেখিনি। স্বামী স্ত্রী একজনের প্রতি আরেকজনের এতটাই প্রেম ছিল যে একজনের মৃত্যু আরেকজন সইতে না পারায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। এবং একই সাথে একই দিনে একই স্থানে তাদের জন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

স্বামীর মৃত্যুর শোকে স্ত্রীর মৃত্যু

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৪:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারী ২০২৫

স্বামীর মৃত্যুর খবরে তিন ঘণ্টার ব্যবধানে স্ত্রীর মৃত্যু ঘটেছে। এমন বিরল ঘটনায় এলাকায় শোকের মতন। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনা পৌর শহরের পশ্চিম সাতপাই এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মৃত নূরুল ইসলাম মাস্টারের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম ফকির (৫৫) কুনিয়া এলাকায় দুইজন শ্রমিক নিয়ে সেচ দেওয়ার জন্য ফিসারীতে যান। রাত আটটার সময় ফিসারীতে সেচ দেওয়া শেষ হলে সেচের পাম্পের বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হন। তখন সাথে যাওয়া শ্রমিকেরা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরবর্তীতে এলাকার লোকজন ও তার ছেলে মাজারুল ইসলাম সানি (৩২) রাত সাড়ে ১০ টায় লাশ নিয়ে পশ্চিম সাতপাই এলাকায় নিজ বাড়িতে চলে আসে। বাড়ির উঠানে রাখা স্বামীর লাশ দেখতে এসে স্ত্রী রিনা পারভীন (৪৮) শোকে কাতর হয়ে যায়। তখন পরিবারের লোকজন রিনা পারভীনকে নিয়ে বাসার ভিতরে যাওয়ার পর তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন।

মুহূর্তের মধ্যে স্থানীয় লোকজন ও আত্মীয়-স্বজন রিনা পারভীনকে নিয়ে সদর হাসপাতালে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সদর হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রিনা পারভীন এর মৃত্যু ঘটে।

স্থানীয় লোকজন ও এলাকায়বাসী বলছে, এটি একটি বিরল ঘটনা এরকম স্বামী স্ত্রীর একসাথে মৃত্যু কখনো দেখিনি। স্বামী স্ত্রী একজনের প্রতি আরেকজনের এতটাই প্রেম ছিল যে একজনের মৃত্যু আরেকজন সইতে না পারায় কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে দুজনের মৃত্যু ঘটেছে। এবং একই সাথে একই দিনে একই স্থানে তাদের জন্য কবর প্রস্তুত করা হচ্ছে।