সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট
- প্রকাশের সময় : ০৫:০১:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 11
বাসচাপায় স্কুলছাত্র নিহতের ঘটনায় বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জেরে সিলেটে চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহণ ধর্মঘট। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন এই কর্মসূচির ঘোষণা দেয়। পরিবহন শ্রমিকদের অভিযোগ, ঘাতক বাস ছাড়াও আরও অন্তত চারটি বাস ভাঙচুর করা হয়।
এদিকে, মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে বাস, মিনিবাস ও মাইক্রোবাস বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বিশেষ করে অফিসগামীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েন। তারা অতিরিক্ত ভাড়া গুনে বিকল্প যানবাহনে অফিসে যান। সকালে কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল থেকে কোনও বাস জকিগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়নি। একইভাবে জকিগঞ্জ থেকেও সিলেটের উদ্দেশে কোনও বাস ছেড়ে আসেনি। বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
মঙ্গলবার সকালে কদমতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, টার্মিনাল থেকে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের কোন বাস ছেড়ে যায়নি। একইভাবে জকিগঞ্জ থেকেও সিলেটের উদ্দেশ্যে কোনো বাস ছেড়ে আসেনি। এছাড়াও সিলেট-বিয়ানীবাজার ও সিলেট-বড়লেখা রুটের বাস চলাচলও বন্ধ ছিল।
কদমতলী টার্মিনালে অপেক্ষমাণ যাত্রী বদরুল ইসলাম জানান, তিনি জকিগঞ্জের কালিগঞ্জ যাওয়ার জন্য পরিবার নিয়ে টার্মিনালে এসেছেন। এসে জানতে পেরেছেন ধর্মঘটের কথা। দুপুর পর্যন্ত বাস না পেয়ে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা রিজার্ভ করে তিনি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছেন।
সিলেট-জকিগঞ্জ মিনিবাস শ্রমিক উপ-কমিটির সভাপতি আবদুল মতিন চৌধুরী জানান, একটি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুটি বাস ভাঙচুর ও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার জন্য চালক দায়ী হলে তার বিচার হবে। কিন্তু আইন হাতে তুলে নেওয়া মোটেই উচিত হয়নি। বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে পুরো জেলায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত,গত রবিবার সকালে জকিগঞ্জের কামালগঞ্জ আব্দুল মতিন কমিউনিটি সেন্টারের নিকটে সড়কের পাশে শিশু-কিশোররা ফুটবল খেলছিলো। হঠাৎ বল সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কে চলে গেলে সেটি আনতে আবির আহমদ (১৪) নামের এক কিশোর দৌড় দেন। এসময় দ্রুতগামী একটি বাসের ধাক্কায় সে গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।