পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনরায় তদন্ত হবে : দুদক মহাপরিচালক
- প্রকাশের সময় : ০৫:৫০:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 14
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন বলেছেন, ১০ বছর আগে নিষ্পত্তি হওয়া পদ্মা সেতু দুর্নীতি মামলা পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। পদ্মা সেতুর পরামর্শক নিয়োগ দুর্নীতিতে সাবেক সচিব মোশারেফ হোসেন ভুইয়াসহ মোট সাত জনের বিরুদ্ধে ফের অনুসন্ধান করা হবে।
মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুন বাগিচায় দুদক কার্যালয়ে তিনি এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, ঘুষ লেনদেনের ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্মাণকাজে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নির্মাণ তদারকি পরামর্শক নিয়োগ সংক্রান্ত দরপত্রের অন্যতম দরদাতা এসএনসি-লাভালিন ইন্টারন্যাশনাল ইনক-কে কার্যাদেশ পাইয়ে দেওয়ার অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করায় বনানী থানার মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত শেষে ২০১৪ সালে আদালতে এফআর দাখিল করা হয়। ওই মামলা পুনঃপর্যালোচনা করে মামলাটি অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কমিশন।
২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানী থানায় (মামলা নং ১৯) মোট সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। এ মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন সেতু বিভাগের তৎকালীন সচিব মোশাররফ হোসেইন ভূঁইয়া, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কাজী মো. ফেরদৌস, সাবেক সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রিয়াজ আহমেদ জাবের, ইপিসির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম মোস্তফা, কানাডীয় প্রকৌশলী প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট কেভিন ওয়ালেস, আন্তর্জাতিক প্রকল্প বিভাগের সাবেক ভাইস-প্রেসিডেন্ট রমেশ শাহ ও সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাইল।
দেড় বছরের বেশি সময় তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতি দেয় দুদক। যা ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর গ্রহণ করেন আদালত। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের তৎকালীন উপ-পরিচালক মির্জা জাহিদুল আলমের নেতৃত্বাধীন টিম।
পদ্মা সেতু দুর্নীতির ষড়যন্ত্র মামলার এজাহারে সন্দেহভাজনের তালিকায় ছিলেন সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। মামলার এফআরটির মাধ্যমে তারাও এ অভিযোগ থেকে রেহাই পান।
মামলার এফআরটির বিষয়ে তৎকালীন দুদক চেয়ারম্যান বদিউজ্জামান বলেছিলেন, মামলাটি ছিল দুর্নীতির ষড়যন্ত্রের মামলা। তদন্তে আরও তথ্য পাওয়ার আশায় আমরা মামলা দায়ের করি। তদন্তকালে দেশে এবং কানাডায় গিয়ে অভিযান চালায় দুদকের তদন্ত দল। কানাডা গিয়ে কিছু কাগজপত্র সংগ্রহ করা হয়। বিশ্বব্যাংকের আশ্বাসের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হলেও মামলা প্রমাণের জন্য দাতা সংস্থা ও কানাডা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ফলে শেষ পর্যন্ত মামলা থেকে আসামিদের অব্যাহতির (এফআরটি) সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।