Dhaka ০৬:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাতের আঁধারে বিষ দিয়ে কৃষকের পেঁয়াজ রসুন নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 28

আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যে এক কৃষকের প্রায় ৪ একর জমির মুড়িকাটা পেয়াজ, রসুন, হালি পেয়াজ ও পেয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুরের বারুগ্রাম আবাসন এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক একই এলাকার বাদশা সিকদার।

চলতি মৌসুমে তিনি দেড় হেক্টর জমিতে শীতকালীন মুড়িকাটা পেয়াজ, দেড় হেক্টর জমিতে রসুন, পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেয়াজ রোপণ করে।এছাড়াও দুই হেক্টর জমিতে পেয়াজের বীজ বপন করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তার প্রতিটি ফসলের ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে ঝলসিয়ে দিয়েছে। এতে করে কৃষকের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।

ভুক্তভোগী বাদশা সিকদার বলেন, আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। চলতি মৌসুমে সবার আগে পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেয়াজ লাগাইছি। এছাড়া মুড়িকাটা পেয়াজ, রসুনও সবার থেকে আমার ভালো হইছে। আমার হালির আতালে গেলে বুক ছিড়ে যাচ্ছে। এক এক কেজি পেয়াজের বীজ কিনছি ১৬/১৭ হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, আমি সহযোগিতা চাই না। আমি চাই যারা এভাবে রাতের অন্ধকারে আমার জমি ফসল নষ্ট করেছে তাদের প্রশাসন চিন্তিত করে আইনের আওতায়ানক। এতে করে আমি নির্ভয়ে মাঠে অন্যান্য ফসলের চাষ করতে পারবো।

স্থানীয় সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলন মন্ডলের সাথে দেখা হয় কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষেতে তিনি জানান, এই সকল ফসলে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি সাধারণ ধীরে ধীরে কাজ করে। আস্তে আস্তে প্রতিটি ফসলের গোড়া পচে শেষ হয়ে যাবে। আরও এক সপ্তাহ গেলে ক্ষতিটা দৃশ্যমান হবে। আমার ধারণা যে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে সেটা মাটিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাজ করে। এতে করে আগামী ১৫ দিন পরে এই জমিতে চাষ করতে হবে। এতে করে পেয়াজ লাগানোর মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাতের আঁধারে বিষ দিয়ে কৃষকের পেঁয়াজ রসুন নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা

প্রকাশের সময় : ০৮:৩১:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

আঁধারে দুর্বৃত্তদের দেওয়া বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যে এক কৃষকের প্রায় ৪ একর জমির মুড়িকাটা পেয়াজ, রসুন, হালি পেয়াজ ও পেয়াজের বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার বহরপুরের বারুগ্রাম আবাসন এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক একই এলাকার বাদশা সিকদার।

চলতি মৌসুমে তিনি দেড় হেক্টর জমিতে শীতকালীন মুড়িকাটা পেয়াজ, দেড় হেক্টর জমিতে রসুন, পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেয়াজ রোপণ করে।এছাড়াও দুই হেক্টর জমিতে পেয়াজের বীজ বপন করেন।

গত ২২ ডিসেম্বর রাতে দুর্বৃত্তরা তার প্রতিটি ফসলের ক্ষেতে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করে ঝলসিয়ে দিয়েছে। এতে করে কৃষকের প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন।

ভুক্তভোগী বাদশা সিকদার বলেন, আমি কৃষি কাজ করে সংসার চালাই। চলতি মৌসুমে সবার আগে পাঁচ হেক্টর জমিতে হালি পেয়াজ লাগাইছি। এছাড়া মুড়িকাটা পেয়াজ, রসুনও সবার থেকে আমার ভালো হইছে। আমার হালির আতালে গেলে বুক ছিড়ে যাচ্ছে। এক এক কেজি পেয়াজের বীজ কিনছি ১৬/১৭ হাজার টাকা করে। তিনি বলেন, আমি সহযোগিতা চাই না। আমি চাই যারা এভাবে রাতের অন্ধকারে আমার জমি ফসল নষ্ট করেছে তাদের প্রশাসন চিন্তিত করে আইনের আওতায়ানক। এতে করে আমি নির্ভয়ে মাঠে অন্যান্য ফসলের চাষ করতে পারবো।

স্থানীয় সার-কীটনাশক ব্যবসায়ী মিলন মন্ডলের সাথে দেখা হয় কৃষকের ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের ক্ষেতে তিনি জানান, এই সকল ফসলে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। এটি সাধারণ ধীরে ধীরে কাজ করে। আস্তে আস্তে প্রতিটি ফসলের গোড়া পচে শেষ হয়ে যাবে। আরও এক সপ্তাহ গেলে ক্ষতিটা দৃশ্যমান হবে। আমার ধারণা যে বিষাক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে সেটা মাটিতে প্রায় ১৫ দিন ধরে কাজ করে। এতে করে আগামী ১৫ দিন পরে এই জমিতে চাষ করতে হবে। এতে করে পেয়াজ লাগানোর মৌসুম শেষ হয়ে যাবে।