বিলুপ্তপ্রায় শকুন উদ্ধার, উৎসুক জনতার ভিড়
- প্রকাশের সময় : ০৭:০৫:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 16
শকুন ভীষণ উপকারী একটি পাখি। মৃত পশুর দেহ শকুনের প্রধান খাদ্য। পাখি হিসেবে শকুন মানুষের কাছে মোটেই পছন্দের না হলেও মরদেহ খেয়ে যেভাবে তারা পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখে, সেজন্য তাদের উপযোগিতা ভালোভাবেই স্বীকৃত।
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়িতে মাছ ধরতে গিয়ে এক বিলুপ্তপ্রায় শকুনকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় পাঁচ বন্ধু। উপজেলার গঙ্গারহাট বাজারের পাশে নীলকমল নদীর পাড় থেকে রবিবার দুপুর দেড়টায় শকুনটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসে তারা। এ সময় শকুনটি ক্ষুধার্ত ও রোগাক্রান্ত ছিল। পরে স্থানীয়রা প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পরে শকুনটি ধীরে ধীরে সুস্থ হতে থাকে। খবর ছড়িয়ে পড়লে শকুনটিকে এক নজর দেখতে গ্রামবাসী ভিড় জমাচ্ছেন। শিশু-কিশোর থেকে শুরু করে বৃদ্ধরাও বিরল পাখিটি দেখতে আসছেন। মোহরটারি গ্রামে এমন বিরল পাখি আগে দেখা যায়নি বলে জানান স্থানীয়রা। অনেকেই মোবাইল ফোনে পাখিটির ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন।
শকুন উদ্ধারকারী মামুন ও লিমন জানান, আমরা পাঁচ বন্ধু মিলে পাশের নদীতে মাছ ধরতে যাই সেখানে হঠাৎ শকুনটিকে দেখতে পাই। পরে আমরা সেটিকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসি, উদ্ধার করার পর শকুনটিকে অসুস্থ মনে হওয়ায় প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিয়েছি। এখন শকুনটি মোটামুটি সুস্থ রয়েছে, আমরা ইতিমধ্যে বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করেছি যাতে বিলুপ্তপ্রায় এই শকুনটিকে সংরক্ষণ করা হয়।
শকুন দেখতে আসা অনেকেই জানান, আগের মত এখন আর শকুন চোখে পড়ে না, স্থানীয় ছেলেরা একটা শকুন উদ্ধার করেছে, সেটি দেখতে এসেছি। আমরাও চাচ্ছি বিলুপ্তপ্রায় এই শুকুনটিকে সংরক্ষণ করা হোক।
ফুলবাড়ী উপজেলার বন বিভাগের অতিরিক্ত কর্মকর্তা সেকেন্দার আলী জানান, ইতিমধ্যে খবর পেয়েছি, সেখানে লোক পাঠানো হচ্ছে। শকুনটিকে উদ্ধার করে তা সংরক্ষণের জন্য প্রথমে কুড়িগ্রামে পাঠিয়ে দেব। পরে সেখান থেকে রংপুরে পাঠানো হবে।