Dhaka ১০:২৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২১ ডিসেম্বর ড. ফকীর আব্দুর রশীদের জন্মদিন

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

 রাজবাড়ী সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সূফী সাধক ড. ফকীর আব্দুর রশীদের জন্মদিন ২১ ডিসেম্বর। ১৯৪২ সালের এই দিনে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভীমনগর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পূর্ব পুরুষ সবাই ছিলেন পীর, দরবেশ। তিনি নিজেও একজন চিশতিয়া তরিকার পথপ্রদর্শক।

তিনি বহরপুর জুনিয়র  হাইস্কুল, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া কলেজ, কুষ্টিয়ায় পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং পি.এইচ.ডি অর্জন করেন। সুফী দর্শনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে তিনিই সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ও গবেষক এবং এলমে তাসাউফ এর মূল দর্শনের উপর  উপমহাদেশে সর্বপ্রথম পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে রাজবাড়ী শহরে সজ্জনকান্দায় বসবাস করছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। তিনি নিজে কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের রাজবাড়ী মহকুমার অন্যতম সংগঠক ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে রাজবাড়ী সরকারি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন।

তাঁর পুরস্কার ও পদক : জেলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যক, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৮৭। জেলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যক, গ্রন্থমেলা পদক, ১৯৯৫। শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার ১৯৯৮। জেলার কৃতি শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক পুরস্কার, ঢাকাস্থ বালিয়াকান্দি উপজেলা সমিতি, ঢাকা-২০১০। ফরিদপুর বর্ণমালা সম্মাননা স্মারক ২০২১ মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পদক ২০২১। এছাড়া আরও অনেক সম্মাননা ও সনদ লাভ করেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। বাংলা একাডেমি কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযুদ্ধের দলিল ও ইতিহাসের অন্যতম লেখক। তাঁর স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা রশীদ রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।  তিনি ছয় পুত্র, চার কন্যা সন্তানের জনক।

তার রািচত বইয়ের মধ্যে রয়েছে অনিকেত অনুভূতি, বিস্রস্ত প্রহর, হৃদয় স্পন্দন, অজন্ম স্বপ্ন সাধ, প্রেয়সী প্রথম পর্ব প্রেম ও ফানা। প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি। ধর্ম গ্রন্থ রয়েছে আধ্যাত্মিক শিক্ষা, আঞ্জুমান-ই-চিশতিয়া, ইসলাম ও সঙ্গীত, পীরানে চিশত, নাজাতের পথ। জীবনী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে জেন্দাপীর। দর্শন ও গবেষণা গ্রন্থ সুফী দর্শন, আত্মার স্বরূপ, বাংলায় সুফী  তত্ত্বের স্বরূপ, সুফী শব্দকোষ। নাটক অধ্যাপক। ছোটদের গল্প : পুঁটি কন্যা। স্মৃতিচারণমূলকগ্রন্থঃসাগরসঙ্গম। পত্রিকা সম্পাদনা : মাসিক ‘চন্দনা’, ‘ত্রৈমাসিক তওহীদ’।

তার ৮৩তম জন্মদিনে দৈনিক জনতার আদালত পরিবারের পক্ষ থে্েক শুভেচ্ছা। তার দীর্ঘায়ু কামনা করছে দৈনিক জনতার আদালত।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

২১ ডিসেম্বর ড. ফকীর আব্দুর রশীদের জন্মদিন

প্রকাশের সময় : ০৪:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

 রাজবাড়ী সরকারি কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সূফী সাধক ড. ফকীর আব্দুর রশীদের জন্মদিন ২১ ডিসেম্বর। ১৯৪২ সালের এই দিনে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভীমনগর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার পূর্ব পুরুষ সবাই ছিলেন পীর, দরবেশ। তিনি নিজেও একজন চিশতিয়া তরিকার পথপ্রদর্শক।

তিনি বহরপুর জুনিয়র  হাইস্কুল, রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, রাজেন্দ্র কলেজ, ফরিদপুর ও কুষ্টিয়া কলেজ, কুষ্টিয়ায় পড়াশোনা করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন এবং পি.এইচ.ডি অর্জন করেন। সুফী দর্শনে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় থেকে তিনিই সর্বপ্রথম ডক্টরেট ডিগ্রিধারী ও গবেষক এবং এলমে তাসাউফ এর মূল দর্শনের উপর  উপমহাদেশে সর্বপ্রথম পি.এইচ.ডি ডিগ্রি লাভ করেন। বর্তমানে রাজবাড়ী শহরে সজ্জনকান্দায় বসবাস করছেন তিনি। ছোটবেলা থেকেই তাঁর সাহিত্য চর্চা শুরু হয়। তিনি নিজে কবি, সাহিত্যিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদ। তিনি মুক্তিযুদ্ধের রাজবাড়ী মহকুমার অন্যতম সংগঠক ছিলেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন অধ্যাপক ও অধ্যক্ষ হিসেবে রাজবাড়ী সরকারি কলেজসহ দেশের বিভিন্ন সরকারি কলেজে কর্মজীবন অতিবাহিত করেছেন।

তাঁর পুরস্কার ও পদক : জেলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যক, শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার, ১৯৮৭। জেলার শ্রেষ্ঠ সাহিত্যক, গ্রন্থমেলা পদক, ১৯৯৫। শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার ১৯৯৮। জেলার কৃতি শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক পুরস্কার, ঢাকাস্থ বালিয়াকান্দি উপজেলা সমিতি, ঢাকা-২০১০। ফরিদপুর বর্ণমালা সম্মাননা স্মারক ২০২১ মীর মশাররফ হোসেন সাহিত্য পদক ২০২১। এছাড়া আরও অনেক সম্মাননা ও সনদ লাভ করেন। তিনি বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য। বাংলা একাডেমি কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার মুক্তিযুদ্ধের দলিল ও ইতিহাসের অন্যতম লেখক। তাঁর স্ত্রী ফিরোজা সুলতানা রশীদ রাজবাড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।  তিনি ছয় পুত্র, চার কন্যা সন্তানের জনক।

তার রািচত বইয়ের মধ্যে রয়েছে অনিকেত অনুভূতি, বিস্রস্ত প্রহর, হৃদয় স্পন্দন, অজন্ম স্বপ্ন সাধ, প্রেয়সী প্রথম পর্ব প্রেম ও ফানা। প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে সাহিত্য ও সংস্কৃতি। ধর্ম গ্রন্থ রয়েছে আধ্যাত্মিক শিক্ষা, আঞ্জুমান-ই-চিশতিয়া, ইসলাম ও সঙ্গীত, পীরানে চিশত, নাজাতের পথ। জীবনী গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে জেন্দাপীর। দর্শন ও গবেষণা গ্রন্থ সুফী দর্শন, আত্মার স্বরূপ, বাংলায় সুফী  তত্ত্বের স্বরূপ, সুফী শব্দকোষ। নাটক অধ্যাপক। ছোটদের গল্প : পুঁটি কন্যা। স্মৃতিচারণমূলকগ্রন্থঃসাগরসঙ্গম। পত্রিকা সম্পাদনা : মাসিক ‘চন্দনা’, ‘ত্রৈমাসিক তওহীদ’।

তার ৮৩তম জন্মদিনে দৈনিক জনতার আদালত পরিবারের পক্ষ থে্েক শুভেচ্ছা। তার দীর্ঘায়ু কামনা করছে দৈনিক জনতার আদালত।