Dhaka ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্রোতের মত আসছে মানুষ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১
  • / 232

জনতার আদালত অনলাইন : নানা রকমের বাঁধা, দূর্ভোগ সেই সাথে চরম স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়েও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বাঁধভাঙা স্্েরাত ছিলো গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে। বুধবারা দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে এই জন¯্রােত চোখে পড়ে।

জানা যায়, গণপরিবহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নানা ঝক্কি ঝামেলা পেড়িয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ও টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চরম ভীড়। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা শহরগুলো থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রখর রোদে নারী ও শিশুদের নিয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যেও জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মটরসাইকেলেসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে গন্তব্যস্থলের দিকে ছুটছেন। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হলেও যে যেভাবে পারছে ছুটে চলেছেন, কারো মধ্যেই সরকারী বিধি নিষেধ ও করোনা মহামারির কোন ভয়ই যেন নেই। বাড়ি ফেরার জন্য এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। মানুষের বাড়ি ফেরার এই আবেগকে পুজি করে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন। তিন চার গুন বেশী ভাড়া আদায় করলেও যাত্রীদের কোনমতেই থামানো যাচ্ছেনা।

ঢাকা থেকে মাগুরাগামী যাত্রী আরিফুল ইসলাম জানান, দরুপাল্লার যানবাহন না থাকায় পথে পথে গাড়ি পাল্টে ফেরিতে গাদাগাদি করে চরম ভোগান্তি উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখান থেকে জনপ্রতি ৩শ টাকা ভাড়া মিটিয়ে মাহিন্দ্রতে উঠেছি মাগুরায় গ্রামের বাড়ি যাব বলে।

এসময় অসংখ্য যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সরকারী হটকারী সিদ্ধান্তের খেশারত দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। এক সময় বন্ধ করছে, আবার চালু করছে! বাস চলছে তবে জেলার মধ্যে, এটা কোন কথা হলো। দূর পাল্লার বাস চলাচল করলে আমাদের ভোগান্তিও কম হতো, সেই সাথে স্বাস্থ্য ঝুকি কিছুটা হলেও কমত।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

স্রোতের মত আসছে মানুষ

প্রকাশের সময় : ০৮:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মে ২০২১

জনতার আদালত অনলাইন : নানা রকমের বাঁধা, দূর্ভোগ সেই সাথে চরম স্বাস্থ্য ঝুকি নিয়েও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নাড়ির টানে ঘরে ফেরা দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের বাঁধভাঙা স্্েরাত ছিলো গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে। বুধবারা দুপুরে দৌলতদিয়া ঘাট ঘুরে এই জন¯্রােত চোখে পড়ে।

জানা যায়, গণপরিবহন চলাচলে বিধি নিষেধ থাকা সত্ত্বেও ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সাথে ভাগাভাগি করতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি মাথায় নিয়ে নানা ঝক্কি ঝামেলা পেড়িয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট ও টার্মিনাল এলাকায় ঘরমুখো মানুষের চরম ভীড়। দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকায় ঢাকা ও এর আশপাশের জেলা শহরগুলো থেকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ প্রখর রোদে নারী ও শিশুদের নিয়ে চরম দূর্ভোগের মধ্যেও জেলার অভ্যন্তরে গণপরিবহন, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মটরসাইকেলেসহ বিভিন্ন যানবাহনে গাদাগাদি করে গন্তব্যস্থলের দিকে ছুটছেন। এতে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হলেও যে যেভাবে পারছে ছুটে চলেছেন, কারো মধ্যেই সরকারী বিধি নিষেধ ও করোনা মহামারির কোন ভয়ই যেন নেই। বাড়ি ফেরার জন্য এক অঘোষিত প্রতিযোগিতা চলছে। মানুষের বাড়ি ফেরার এই আবেগকে পুজি করে বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছেন। তিন চার গুন বেশী ভাড়া আদায় করলেও যাত্রীদের কোনমতেই থামানো যাচ্ছেনা।

ঢাকা থেকে মাগুরাগামী যাত্রী আরিফুল ইসলাম জানান, দরুপাল্লার যানবাহন না থাকায় পথে পথে গাড়ি পাল্টে ফেরিতে গাদাগাদি করে চরম ভোগান্তি উপেক্ষা করে দৌলতদিয়া ঘাটে এসে পৌঁছেছি। এখান থেকে জনপ্রতি ৩শ টাকা ভাড়া মিটিয়ে মাহিন্দ্রতে উঠেছি মাগুরায় গ্রামের বাড়ি যাব বলে।

এসময় অসংখ্য যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, সরকারী হটকারী সিদ্ধান্তের খেশারত দিতে হচ্ছে সাধারন মানুষের। এক সময় বন্ধ করছে, আবার চালু করছে! বাস চলছে তবে জেলার মধ্যে, এটা কোন কথা হলো। দূর পাল্লার বাস চলাচল করলে আমাদের ভোগান্তিও কম হতো, সেই সাথে স্বাস্থ্য ঝুকি কিছুটা হলেও কমত।