পাংশায় ১৪৪ ধারা ভেঙে স্থাপনা নির্মাণ
- প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ জুন ২০২০
- / ১৭৩০ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশা পৌর এলাকার মৈশালায় আদালতের জারী করা ১৪৪ ধারা অমান্য করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলার বিবাদী মৈশালা গ্রামের জাহিদ মল্লিক গত চারদিন ধরে এ স্থাপনা নির্মাণ করছেন। তবে তিনি বলছেন, এটি ১৪৪ ধারা নয়। আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ।
গত ১০ জুন তারিখে পাংশার বিষ্ণুপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল গাফফার শেখ রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। মিস পিটিশন নং ২০৬/২০২০। আদালতের বিচারক ওই দিনই ১৪৪ ধারা জারী করে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাংশা থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়ে আদেশপত্র পাঠান। একই সাথে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলেন জন্য পাংশা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন।
এ আদেশের প্রেক্ষিতে ১১ জুন তারিখে পাংশা থানার পক্ষ থেকে উভয়পক্ষকে নোটিশ দেয়া হয়। থানার এসআই এনছের আলী স্বাক্ষরিত চিঠিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও আদালতের নির্দেশ মেনে চলতে বলা হয়।
মামলার বাদী আব্দুল গাফফার শেখ জানান, পূর্বের জমির মালিক ভুল মিউটেশন করে জাহিদ মল্লিকের কাছে জমি বিক্রি করে যায়। এটি নিয়ে বিগত সাত আট বছর ধরে জাহিদ মল্লিকের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ। গত ১০ জুন তারিখে তিনি ১৪৪ ধারা চেয়ে আদালতে মামলা করেন। আদালত ১৪৪ ধারা জারী করে নোটিশও দিয়েছেন। কিন্তু বিবাদী জাহিদ মল্লিক ১৪৪ ধারা ভেঙে গত চার দিন ধরে স্থাপনা নির্মাণ করে চলেছেন। শনিবার তার দোকানঘরটিও ভাংচুর করেছে বিবাদীরা। তিনি পাংশা থানায় জানালেও থানা কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তিনি বলেন, আমরা দুর্বল লোক। তাই কোনো কিছু করতে পারছি না।
মামলার বিবাদী জাহিদ মল্লিক জানান, জমিটি আমার। ১৪৪ ধারা বাদী চেয়েছে। কিন্তু হয়নি। থানা তো জারী করেনি।
থানাতো আপনাকে নোটিশ দিয়েছে এমন কথার জবাবে বলেন, নোটিশ দিয়েছে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য। নোটিশের উল্লেখযোগ্য অংশ ‘বর্ণিত নালিশী ভূমিতে কেহ অনুপ্রবেশ করিয়া কোনরূপ কার্য করিবার চেষ্টা করিলে আইনশৃঙ্খলা বিঘœ ঘটিবার সম্ভাবনা আছে। বিধায়, আপনারা উভয় পক্ষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকিয়া নালিশী ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখিবেন।’ পড়ে শোনানোর পর তিনি বলেন, এখানে দাঙ্গা হাঙ্গামার কোনো বিষয় নেই। অনেক লোকজন আছে।
পাংশা থানার এসআাই এনছের আলী জানান, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমি উভয় পক্ষকে নোটিশ দিয়েছি। আমার দায়িত্ব আমি পালন করেছি। এখন যদি আদালত আবার নির্দেশনা দেন সে মোতাবেক কাজ করবো। দুই পক্ষই এমপির কাছে ধর্ণা দিয়েছে। এখানে আমার কী করার আছে?
রাজবাড়ী জেলা বার এর আইনজীবী অ্যড. অভিজিৎ সোম এ প্রসঙ্গে বলেন, যেহেতু এই বিষয়ে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদীপক্ষ একটি মিস পিটিশন দাখিল করেছেন এবং বিষয়টি বিচারাধীন থাকার কারণে বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত ওই স্থানে বিবাদী পক্ষ কোনো ধরণের কার্যক্রম গ্রহণ করলে তা আইন বহির্ভূত এবং আদালত অবমাননার শামিল।