Dhaka ০৫:২৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলকপির হালি ১০ টাকা, খাচ্ছে গরু-ছাগল

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 24

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফুলকপির দাম কেজিতে নেই। প্রতি পিসেও নেই। এবার বিক্রি হচ্ছে হালি হিসেবে। পাইকারি বাজারে প্রতিহালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়! এত কম দামে বিক্রির কারণে কৃষক বা চাষির উৎপাদন খরচও উঠছে না।

সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের দুটি পাইকারি বাজার ঘুরে এই চিত্র মিলেছে। লোকজন নিজের এবং গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা ভরে কিনছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে সবজিটি কিনে গ্রামের হাটবাজারে প্রতি পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চৌমহনী বাজারে জটলা করে ১০ টাকা হালিতে ফুলকপি কিনে বাড়ি ফিরছেন লোকজন।

এখানকার একজন ক্রেতা সাবের আলী জানান, গরু-ছাগলকে খাওয়াতে তিনি ৪ হালি ফুলকপি কিনেছেন। তার বাড়ি উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ায়।

সৈয়দপুরের কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শাাক-সবজি আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি হয়ে থাকে কোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, তালতলা, জানেরপাড়, বোতলাগাড়ি, সোনাখুলি, বকপাড়া প্রভৃতি এলাকায়।

এলাকার কৃষক শমসের আলী জানান, মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফুলকপি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগাম যারা শাক-সবজি করেছিলেন তারা দাম পেয়েছেন। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে জমি থেকে তোলার খরচই উঠছে না।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, সৈয়দপুরে ব্যাপক শাক-সবজির আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাতেও পাঠিয়ে থাকেন। এখন ফুলকপির দাম কিছুটা কম। তবে কৃষকরা অন্যান্য শাক-সবজিতে লাভে রয়েছেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ফুলকপির হালি ১০ টাকা, খাচ্ছে গরু-ছাগল

প্রকাশের সময় : ০৪:৪২:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নীলফামারীর সৈয়দপুরে ফুলকপির দাম কেজিতে নেই। প্রতি পিসেও নেই। এবার বিক্রি হচ্ছে হালি হিসেবে। পাইকারি বাজারে প্রতিহালি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে মাত্র ১০ টাকায়! এত কম দামে বিক্রির কারণে কৃষক বা চাষির উৎপাদন খরচও উঠছে না।

সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের দুটি পাইকারি বাজার ঘুরে এই চিত্র মিলেছে। লোকজন নিজের এবং গরু-ছাগলকে খাওয়ানোর জন্য বস্তা ভরে কিনছেন। আর খুচরা ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে সবজিটি কিনে গ্রামের হাটবাজারে প্রতি পিস ১০ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার চৌমহনী বাজারে জটলা করে ১০ টাকা হালিতে ফুলকপি কিনে বাড়ি ফিরছেন লোকজন।

এখানকার একজন ক্রেতা সাবের আলী জানান, গরু-ছাগলকে খাওয়াতে তিনি ৪ হালি ফুলকপি কিনেছেন। তার বাড়ি উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ায়।

সৈয়দপুরের কামারপুকুর, কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বাঙালিপুর ও বোতলাগাড়ি ইউনিয়নে শাাক-সবজি আবাদ হলেও সবচেয়ে বেশি শাক-সবজি হয়ে থাকে কোতলাগাড়ির শ্বাসকান্দর, তালতলা, জানেরপাড়, বোতলাগাড়ি, সোনাখুলি, বকপাড়া প্রভৃতি এলাকায়।

এলাকার কৃষক শমসের আলী জানান, মৌসুমের শুরুতে প্রতি কেজি ফুলকপি ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। আগাম যারা শাক-সবজি করেছিলেন তারা দাম পেয়েছেন। এখন যে দামে বিক্রি হচ্ছে জমি থেকে তোলার খরচই উঠছে না।

সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ধীমান ভূষণ জানান, সৈয়দপুরে ব্যাপক শাক-সবজির আবাদ হয়ে থাকে। কৃষকরা নিজেদের চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাতেও পাঠিয়ে থাকেন। এখন ফুলকপির দাম কিছুটা কম। তবে কৃষকরা অন্যান্য শাক-সবজিতে লাভে রয়েছেন।