Dhaka ১২:৩৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রদবদলের অর্ডার করে বাতিলও হচ্ছে

সচিবালয়ে কাজে মন বসে না কারও

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ১১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০৩৯ জন সংবাদটি পড়েছেন

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের উৎসাহ নেই, কাজে কারও মন বসে না। কাজের পরিবেশ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় পদোন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে রদবদল হয়েছে। তবে কাজের ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। অনেকের মধ্যে এখনো নানা আতঙ্ক কাজ করছে। অনেকের রদবলরে অর্ডার হয়ে আবার সেটি মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। কারও কাজ না থাকলে অফিসের কক্ষে অবস্থান করছেন।

একটা গুমোট পরিবেশের মধ্যে সতর্কতার কথা এবং কাজ সামলাচ্ছেন কর্মকর্তারা। গত কয়েকটি কর্মদিবসে সচিবালয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। সচিবালয়ের বাইরে বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। বিগত সরকারের দলীয় অনুগত হয়ে কতিপয় কর্মকর্তা প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনে পরিবর্তনে উদ্যোগ নেয়। কয়েক দফায় রদবদল হয়েছে সামনে আরও হবে। তবে কর্মকর্র্তারা যেন স্বস্তি পাচ্ছেন না কাজের ক্ষেত্রে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর অফিস চলাকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যথাসম্ভব নিজ কক্ষে অবস্থান করাসহ পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। এরপর থেকে অন্যের রুমে আড্ডা বা গল্প করার প্রবণতা কমলেও কাজের ক্ষেত্রেও উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েরও কমেছে মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে দলীয় সরকার না থাকায় তদবির কমেছে দলীয় কর্মীদের। এ ছাড়া হাতেগোনা দু-একটি মন্ত্রণালয় ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয়েই তেমন কোনো কাজ নেই। বিগত সময়ের প্রকল্পগুলোও প্রায় বন্ধ। কমে গেছে বিদেশি অতিথিদের আনাগোনাও।

কিছু মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ রয়েছে নিজেদের ভালো পোস্টিং বদলির জন্য। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষকদের ভিড় থাকছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে। ইতোমধ্যেই একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মামলা হওয়ার কারণে অনেকেই বেশি একটা কথাও বলতে চান না। পাশাপাশি অর্থ বিভাগের একজন যুগ্ম সচিবকে বদলি করার জন্য নন-ক্যাডার কর্মকর্তাসহ একদল কর্মচারীদের বিক্ষোভ নিয়েও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন কর্মকর্তা।

সচিব থেকে সহকারী সচিব পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নানা ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, কাজ হচ্ছে ঠিকই তবে কাজের মধ্যে উৎসাহ নেই। একজন সচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, রুটিন কাজ কিন্তু থেমে নেই। তবে অনেক মন্ত্রণালয় কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে বা কাজের গতি কমেছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে কেমন একটা ভয় কাজ করছে সম্ভবত।

একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি এমন কিছু দিন যায় উল্লেখ করে ওই সচিব বলেন, ১৬ বছরের জঞ্জাল, হয়তো দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে সব। সচিবালয়ের ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা এক অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমাদের কর্ম পরিবেশটা নিয়ে এখন একটু ভিন্ন রকম লাগছে। নিয়ম করে অফিস আসছি-যাচ্ছি। নিচের দিকের কর্মকর্তারাও একই বিষয় খেয়াল করছি। কেউ কিছু জানতেও ভয় পাচ্ছেন বলতেও ভয় পাচ্ছেন। যুগ্মসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজ না থাকলেও কোনো ব্যাচমেট বা সিনিয়রের রুমে যাচ্ছি না। কোনো বিষয় জানার আগ্রহ আছে তবুও জানতে চাই না। সকালে এসে আমার চেয়ার থাকবে কি না বা রাতেই নতুন কোনো অর্ডার হবে কি না আমরা কেউ জানি না। এসব নানা বিষয়ে আছে সবাই চুপচাপ।
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রদবদলের প্রজ্ঞাপন হচ্ছে আবার মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। কয়েক দিন আগে অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহকে ঠাকুরগাঁও ডিসি করা হয় সেটি বাতিল করে মঙ্গলবার তাঁকে রাঙামাটির ডিসি করা হয়েছে। আর ঠাকুরগাঁওয়ের আগের ডিসিকে সেখানে বহাল রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হচ্ছে আবার ওএসডি বাতিল করা হচ্ছে। এসব নানা ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন কর্মরত কর্মকর্তারাও। কাজের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ছে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।

প্রশাসনের এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সচিব ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, কোনো অভ্যুত্থান পরবর্তীতে এসব দৃশ্য দেখা যায় তবে সেটা সাময়িক। এখন সেটা হওয়া মোটেও উচিত নয় হলে সেটা দুর্ভাগ্য। বরং এখন কাজটাকে আরও ভালো করা উচিত। কাজটা কিন্তু ধর্মের মতো, এটা ইবাদত। কাজ না করে বেতন নেওয়াটা অনুচিত। যতক্ষণ ওই চেয়ারে আছে সেটার জন্য ভালো কাজটা করে যাওয়া দরকার। অনেকের উদ্বেগ নিয়ে এই জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ বলেন, আমলারা যদি পেশাদারির সঙ্গে কাজ করত, দলাদলিতে না জড়াত, তাহলে কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়।

এ মাসেই পদোন্নতি পাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবরা : প্রশাসন বাদে ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবদের ডিসেম্বরের মধ্যে পদোন্নতি দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। জানা গেছে, দ্রুতই জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব এবং যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদেও পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রদবদলের অর্ডার করে বাতিলও হচ্ছে

সচিবালয়ে কাজে মন বসে না কারও

প্রকাশের সময় : ১১:০০:০৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৪ ডিসেম্বর ২০২৪

প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে কাজের উৎসাহ নেই, কাজে কারও মন বসে না। কাজের পরিবেশ যেন ঝিমিয়ে পড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর কর্মকর্তাদের কয়েক দফায় পদোন্নতি হয়েছে। বিভিন্ন স্তরে রদবদল হয়েছে। তবে কাজের ক্ষেত্রে স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। অনেকের মধ্যে এখনো নানা আতঙ্ক কাজ করছে। অনেকের রদবলরে অর্ডার হয়ে আবার সেটি মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। কারও কাজ না থাকলে অফিসের কক্ষে অবস্থান করছেন।

একটা গুমোট পরিবেশের মধ্যে সতর্কতার কথা এবং কাজ সামলাচ্ছেন কর্মকর্তারা। গত কয়েকটি কর্মদিবসে সচিবালয়ে এ চিত্র দেখা গেছে। সচিবালয়ের বাইরে বিভিন্ন দপ্তর অধিদপ্তরেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। বিগত সরকারের দলীয় অনুগত হয়ে কতিপয় কর্মকর্তা প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। অন্তর্বর্তী সরকার প্রশাসনে পরিবর্তনে উদ্যোগ নেয়। কয়েক দফায় রদবদল হয়েছে সামনে আরও হবে। তবে কর্মকর্র্তারা যেন স্বস্তি পাচ্ছেন না কাজের ক্ষেত্রে।

এর আগে গত ১৬ অক্টোবর অফিস চলাকালীন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সভা বা জরুরি প্রয়োজন ছাড়া যথাসম্ভব নিজ কক্ষে অবস্থান করাসহ পাঁচটি নির্দেশনা দিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। এরপর থেকে অন্যের রুমে আড্ডা বা গল্প করার প্রবণতা কমলেও কাজের ক্ষেত্রেও উৎসাহ দেখা যাচ্ছে না। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়েরও কমেছে মানুষের আনাগোনা। বিশেষ করে দলীয় সরকার না থাকায় তদবির কমেছে দলীয় কর্মীদের। এ ছাড়া হাতেগোনা দু-একটি মন্ত্রণালয় ছাড়া কোনো মন্ত্রণালয়েই তেমন কোনো কাজ নেই। বিগত সময়ের প্রকল্পগুলোও প্রায় বন্ধ। কমে গেছে বিদেশি অতিথিদের আনাগোনাও।

কিছু মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের দৌড়ঝাঁপ রয়েছে নিজেদের ভালো পোস্টিং বদলির জন্য। বিশেষ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন শিক্ষকদের ভিড় থাকছে। এছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কর্মকর্তাদের আনাগোনা বেশি দেখা গেছে। ইতোমধ্যেই একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাদের নামে বিভিন্ন মামলা হওয়ার কারণে অনেকেই বেশি একটা কথাও বলতে চান না। পাশাপাশি অর্থ বিভাগের একজন যুগ্ম সচিবকে বদলি করার জন্য নন-ক্যাডার কর্মকর্তাসহ একদল কর্মচারীদের বিক্ষোভ নিয়েও অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন কর্মকর্তা।

সচিব থেকে সহকারী সচিব পর্যায়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা নানা ঘটনার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, কাজ হচ্ছে ঠিকই তবে কাজের মধ্যে উৎসাহ নেই। একজন সচিব নাম প্রকাশ না করে বলেন, রুটিন কাজ কিন্তু থেমে নেই। তবে অনেক মন্ত্রণালয় কাজের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আছে বা কাজের গতি কমেছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে কেমন একটা ভয় কাজ করছে সম্ভবত।

একটা অভ্যুত্থান পরবর্তী পরিস্থিতি এমন কিছু দিন যায় উল্লেখ করে ওই সচিব বলেন, ১৬ বছরের জঞ্জাল, হয়তো দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে সব। সচিবালয়ের ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা এক অতিরিক্ত সচিব বলেন, আমাদের কর্ম পরিবেশটা নিয়ে এখন একটু ভিন্ন রকম লাগছে। নিয়ম করে অফিস আসছি-যাচ্ছি। নিচের দিকের কর্মকর্তারাও একই বিষয় খেয়াল করছি। কেউ কিছু জানতেও ভয় পাচ্ছেন বলতেও ভয় পাচ্ছেন। যুগ্মসচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, কাজ না থাকলেও কোনো ব্যাচমেট বা সিনিয়রের রুমে যাচ্ছি না। কোনো বিষয় জানার আগ্রহ আছে তবুও জানতে চাই না। সকালে এসে আমার চেয়ার থাকবে কি না বা রাতেই নতুন কোনো অর্ডার হবে কি না আমরা কেউ জানি না। এসব নানা বিষয়ে আছে সবাই চুপচাপ।
প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রদবদলের প্রজ্ঞাপন হচ্ছে আবার মুহূর্তে বাতিলও হচ্ছে। কয়েক দিন আগে অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহকে ঠাকুরগাঁও ডিসি করা হয় সেটি বাতিল করে মঙ্গলবার তাঁকে রাঙামাটির ডিসি করা হয়েছে। আর ঠাকুরগাঁওয়ের আগের ডিসিকে সেখানে বহাল রাখা হয়েছে। অনেক কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হচ্ছে আবার ওএসডি বাতিল করা হচ্ছে। এসব নানা ঘটনা নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন কর্মরত কর্মকর্তারাও। কাজের ক্ষেত্রেও প্রভাব পড়ছে জানিয়েছেন একাধিক কর্মকর্তা।

প্রশাসনের এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক সচিব ও জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, কোনো অভ্যুত্থান পরবর্তীতে এসব দৃশ্য দেখা যায় তবে সেটা সাময়িক। এখন সেটা হওয়া মোটেও উচিত নয় হলে সেটা দুর্ভাগ্য। বরং এখন কাজটাকে আরও ভালো করা উচিত। কাজটা কিন্তু ধর্মের মতো, এটা ইবাদত। কাজ না করে বেতন নেওয়াটা অনুচিত। যতক্ষণ ওই চেয়ারে আছে সেটার জন্য ভালো কাজটা করে যাওয়া দরকার। অনেকের উদ্বেগ নিয়ে এই জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ বলেন, আমলারা যদি পেশাদারির সঙ্গে কাজ করত, দলাদলিতে না জড়াত, তাহলে কোনো উদ্বেগ থাকার কথা নয়।

এ মাসেই পদোন্নতি পাচ্ছেন ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবরা : প্রশাসন বাদে ২৫ ক্যাডারের বঞ্চিত উপসচিবদের ডিসেম্বরের মধ্যে পদোন্নতি দেওয়ার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ, পদোন্নতি ও প্রেষণ (এপিডি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. ওবায়দুর রহমান। জানা গেছে, দ্রুতই জনপ্রশাসনে উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব এবং যুগ্মসচিব থেকে অতিরিক্ত সচিব পদেও পদোন্নতি দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন