দেশ সেরা প্রধান শিক্ষক রাজবাড়ীর শহিদুল ইসলাম
- প্রকাশের সময় : ০৫:৪০:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর ২০২০
- / ১৪৯৬ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯ এর জন্য দেশ সেরা প্রধান শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শহিদুল ইসলাম।
ইতিপূর্বে তিনি পর্যায়ক্রমে বালিয়াকান্দি উপজেলা, রাজবাড়ী জেলা এবং ঢাকা বিভাগীয় পর্যায়ে সেরা প্রধান শিক্ষক মনোনীত হয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে তিনি প্রধান শিক্ষক হিসেবে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকে ঈর্ষনীয় সাফল্য পায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সমাপনীতে ভালো ফলাফল লাভের জন্য তিনি বিদ্যালয়ের সময়সূচীর বাইরে বৈকালিক ও নৈশকালীন বিদ্যালয় চালু করেছেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও তার উপস্থিতি শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি করেছে। তিনি নিজ হাতে মানচিত্র, ভূ-গোলক ও শিক্ষা উপকরণ তৈরি করে থাকেন। বিদ্যালয়ে ‘সততা স্টোর’ নামের বিক্রেতাবিহীন দোকান প্রতিষ্ঠা করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ২০১৬ সালে তিনি বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রথম শিক্ষক হিসেবে সরকারিভাবে ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণ করেন। ২০১৮ সালে স্বাবলম্বী ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জেলার সেরা প্রাথমিক বিদ্যালয় হিসেবে নির্বাচিত হয়। তাঁর কর্মকান্ডের স্বীকৃতি হিসেবে বালিয়াকান্দি উপজেলা নাগরিক ফোরাম ২০১৮ সালে তাঁকে গুণীজন সংবর্ধনা প্রদান করে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সাল হতে গত ছয় বছর যাবৎ মো. শহিদুল ইসলাম কোন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করেননি। বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের সম্পৃক্ত করার পাশাপাশি তিনি নিজে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা বিদ্যালয়টিতে অনুদান হিসেবে দান করেন। বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার, গ্রন্থাগার, নামাজ ঘর, শহিদ মিনার, উপকরণ কর্ণার, মিনা রাজু পাক, পতাকামঞ্চ, ভূগৌলক, রিডিং কর্ণার, হাসান আলী স্কয়ার, আমাদের ভূবন, পশুপাখির ম্যুর্যালসহ নানাবিধ স্থাপনা তৈরি করেছেন নিজ উদ্যোগে।
দেশসেরা শিক্ষক মনোনীত হওয়ায় শহিদুল ইসলাম তার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেন, এই সাফল্যের পেছনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই তিনি এ স্বীকৃতি পেয়েছেন। শিক্ষা বিস্তারে অবদান রাখার জন্য সবার কাছে সহযোগিতা কামনা করি।