Dhaka ১২:৫২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ‘ক্যাশিয়ার’ রুহুল আটক

ডেস্ক নিউজ
  • প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ১০২৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ‘ক্যাশিয়ার’ রুহুল আমিন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট। পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে উত্তরায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুহুল আমিন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত।

সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে এই রুহুল আমিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি বনে যান।

রুহুল আমিন মণ্ডল জাহাঙ্গীরের গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসার দেখাশোনা করতেন। গত ৫ আগস্টের পর জাহাঙ্গীর সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রুহুল আমিনই জাহাঙ্গীরের সব ব্যবসার দেখাশোনা করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর এবং ঢাকায় এই রুহুল আমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে উত্তরায় হাউজবিল্ডিং এলাকায় এলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওই সময় জাহাঙ্গীরের পিএস আতিকুর রহমান জুয়েল এবং এই ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন মণ্ডল ঘটনাস্থলেই এলোপাতাড়ি গুলি করে পাঁচজন ছাত্রকে হত্যা করেন। পরে উত্তেজিত জনতা জাহাঙ্গীরকে পিটিয়ে আহত করে, জাহাঙ্গীরের পিএসকে পিটিয়ে মেরে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে রাখে। তবে ওই ঘটনায় রুহুল আমিন মণ্ডল কৌশলে জনতার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। ছাত্র গণহত্যার ওই দিনের ঘটনায় রুহুল আমিনকে আসামি করে উত্তরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৌশলে রাজধানীতে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট তার খোঁজে নামে। পরে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে তার অবস্থান চিহ্নিত করে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ‘ক্যাশিয়ার’ রুহুল আটক

প্রকাশের সময় : ০৯:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ‘ক্যাশিয়ার’ রুহুল আমিন মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করেছে অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট। পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আরেফের নেতৃত্বে শুক্রবার রাতে উত্তরায় একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। রুহুল আমিন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্যাশিয়ার হিসেবে পরিচিত।

সূত্র জানায়, জাহাঙ্গীরের সঙ্গে সম্পর্ক কাজে লাগিয়ে এই রুহুল আমিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহসভাপতি বনে যান।

রুহুল আমিন মণ্ডল জাহাঙ্গীরের গার্মেন্টস ব্যবসা থেকে শুরু করে সব ধরনের ব্যবসার দেখাশোনা করতেন। গত ৫ আগস্টের পর জাহাঙ্গীর সিঙ্গাপুরে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই রুহুল আমিনই জাহাঙ্গীরের সব ব্যবসার দেখাশোনা করে আসছিলেন।

পুলিশ জানায়, গাজীপুর এবং ঢাকায় এই রুহুল আমিন মণ্ডলের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা রয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই বিকেল ৩টার দিকে গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর ছাত্রলীগের কয়েকজন সন্ত্রাসী নিয়ে উত্তরায় হাউজবিল্ডিং এলাকায় এলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

ওই সময় জাহাঙ্গীরের পিএস আতিকুর রহমান জুয়েল এবং এই ক্যাশিয়ার রুহুল আমিন মণ্ডল ঘটনাস্থলেই এলোপাতাড়ি গুলি করে পাঁচজন ছাত্রকে হত্যা করেন। পরে উত্তেজিত জনতা জাহাঙ্গীরকে পিটিয়ে আহত করে, জাহাঙ্গীরের পিএসকে পিটিয়ে মেরে ল্যাম্পপোস্টে ঝুলিয়ে রাখে। তবে ওই ঘটনায় রুহুল আমিন মণ্ডল কৌশলে জনতার হাত থেকে প্রাণে বেঁচে যান। ছাত্র গণহত্যার ওই দিনের ঘটনায় রুহুল আমিনকে আসামি করে উত্তরা থানায় হত্যা মামলা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন ধরে তিনি কৌশলে রাজধানীতে পালিয়ে ছিলেন। অবশেষে অ্যান্টি-টেররিজম ইউনিট তার খোঁজে নামে। পরে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যবহারে তার অবস্থান চিহ্নিত করে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।