Dhaka ০৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পাংশা নাদির হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

পলেস্তারা খসে বেরিয়ে পড়েছে রড, ঝুঁকি নিয়ে চলে পাঠদান

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ১০৪৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পুরাতন ভবনের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়ছে। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিগত সরকারের আমলে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও ব্যতিক্রম উপজেলার নিভৃত পল্লী কসবামাজাইল ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন শিক্ষানুরাগী খান বাহাদুর নাদির হোসেন, আলহাজ্ব ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন, এম. তোসাদ্দক হোসেন, এহতেশাম হুসাইন, আলহাজ্ব এম. আফজাল হুসাইন, মো. মশিউর রহমানসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নারী শিক্ষা বিস্তারের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এলাকাবাসীর অর্থায়নে দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের তিনটির মধ্যে দুটি ভবনেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৬ জন। মোট কক্ষের সংখ্যা ২২টি। যার মধ্যে শিক্ষক মিলনায়তন, ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণি কক্ষ, মশিয়ার রহমান মিলনায়তন, কবি সুফিয়া কামাল গার্লস হোম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও আয়েসা হোসেন স্মৃতি পাঠাগার, কম্পিউটার ল্যাবসহ ১০টি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। এ প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এসএসসির ফলাফল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বেশ এগিয়ে। ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে আফিয়া সুলতানা এবং ২০২৩ সালে মুক্তা রানী শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র মন্ডল জানান, ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি নির্মাণ করে। অন্য দুটি ভবন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের অনুদানে নির্মাণ করা হয়। এখন দুটি ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কক্ষের দরজা জানালা ভেঙে গেছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তারা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি (শিক্ষা কর্মকর্র্তা) বিদ্যালয় পরিদর্শন করে গেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য তারাও আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ডিও লেটার জমা না দেওয়ায় তাদের ভবনটি অনুমোদন হয়নি।

পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি তিনি পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের ভবনগুলো পুরাতন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি তার দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব পাঠাবেন।

রাজবাড়ী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন বলেন, নতুন কোনো প্রকল্প এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

পাংশা নাদির হোসেন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়

পলেস্তারা খসে বেরিয়ে পড়েছে রড, ঝুঁকি নিয়ে চলে পাঠদান

প্রকাশের সময় : ০৫:৫৮:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর ২০২৪

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে পুরাতন ভবনের পলেস্তারা খসে রড বেরিয়ে পড়ছে। যে কোনো সময় ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা। ঝুঁকি নিয়েই চলছে পাঠদান কার্যক্রম। বিগত সরকারের আমলে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নতুন ভবন নির্মাণ হলেও ব্যতিক্রম উপজেলার নিভৃত পল্লী কসবামাজাইল ইউনিয়নের এই বিদ্যালয়টি।

বিদ্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৬৪ সালে তৎকালীন শিক্ষানুরাগী খান বাহাদুর নাদির হোসেন, আলহাজ্ব ডা. মো. মোফাজ্জল হোসেন, এম. তোসাদ্দক হোসেন, এহতেশাম হুসাইন, আলহাজ্ব এম. আফজাল হুসাইন, মো. মশিউর রহমানসহ স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ নারী শিক্ষা বিস্তারের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। পরে এলাকাবাসীর অর্থায়নে দুটি ভবন নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। বিদ্যালয়ের তিনটির মধ্যে দুটি ভবনেরই জরাজীর্ণ অবস্থা। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ছাত্রী সংখ্যা প্রায় চারশ জন। শিক্ষক রয়েছেন ১৬ জন। মোট কক্ষের সংখ্যা ২২টি। যার মধ্যে শিক্ষক মিলনায়তন, ষষ্ঠ ও দশম শ্রেণি কক্ষ, মশিয়ার রহমান মিলনায়তন, কবি সুফিয়া কামাল গার্লস হোম, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন ও আয়েসা হোসেন স্মৃতি পাঠাগার, কম্পিউটার ল্যাবসহ ১০টি কক্ষই ঝুঁকিপূর্ণ। এ প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে এসএসসির ফলাফল, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের ছাত্রীরা বেশ এগিয়ে। ২০২২ সালে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে উপজেলা পর্যায়ে আফিয়া সুলতানা এবং ২০২৩ সালে মুক্তা রানী শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী মনোনীত হয়েছিল।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমল চন্দ্র মন্ডল জানান, ১৯৯৪ সালে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর তিন কক্ষ বিশিষ্ট একতলা ভবনটি নির্মাণ করে। অন্য দুটি ভবন স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের অনুদানে নির্মাণ করা হয়। এখন দুটি ভবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে রড বের হয়ে গেছে। দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। কিছু কক্ষের দরজা জানালা ভেঙে গেছে। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই তারা পাঠদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি তিনি পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানোর পর তিনি (শিক্ষা কর্মকর্র্তা) বিদ্যালয় পরিদর্শন করে গেছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের জন্য তারাও আবেদন করেছিলেন। কিন্তু ডিও লেটার জমা না দেওয়ায় তাদের ভবনটি অনুমোদন হয়নি।

পাংশা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, নাদির হোসেন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়টি তিনি পরিদর্শন করেছেন। বিদ্যালয়ের ভবনগুলো পুরাতন। ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এ ব্যাপারে তিনি তার দপ্তর থেকে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব পাঠাবেন।

রাজবাড়ী শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী রতীশ চন্দ্র সেন বলেন, নতুন কোনো প্রকল্প এলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ওই বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ করা হবে।