Dhaka ০২:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্রেপ্তার ৩

বালিয়াকান্দিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

স্টাফ রিপোর্টার
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ১০৪৫ জন সংবাদটি পড়েছেন

 রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আযম চুন্নুসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বালিয়াকান্দির চৌরঙ্গীর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন বিএনপি কর্মী কামরুল ইসলাম ও মো. রুবেল মোল্লা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভুঁইয়াকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ তার লোকজন লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোলাম সরোয়ার ভুইয়ার সমর্থকরা এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হন মশিউল আজম চুন্নু, আলম শেখ, জাহিদুল ভুঁইয়া, রুবেল মোল্লা, আরিফ শিকদার, লিটন মিয়া, পথচারী ফিটু মোল্যাসহ ১৫ জন। তাদের মধ্যে তিনজনকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক সূত্রে জানা গেছে, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। ওই সময় তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু যৌথ বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বলেন, মশিউল আযম চুন্নু এলাকায় চাঁদাবাজি করছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। শুক্রবার চুন্নুর ছেলেসহ কয়েকজন চৌরঙ্গী বাজারে তাকে ঘিরে ধরে তার কাছেও দেড় লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে তার সমর্থকরা জানতে পেরে ওদের প্রতিরোধ করে।

মশিউল আযম চুন্নু গ্রæপের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান বাবু  বলেন, বালিয়াকান্দিতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষ খৈয়ম-সাবুর অনুসারী। অপরপক্ষ হারুন-আসলামের। তারা খৈয়ম-সাবুর পক্ষের। শুক্রবার তিনি বালিয়াকান্দিতে ছিলেন না। তাই কী নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তা তার জানা নেই।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতে চালান করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাম সরোয়ার ভুইয়া বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

গ্রেপ্তার ৩

বালিয়াকান্দিতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৫

প্রকাশের সময় : ০৬:৪৮:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

 রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউল আযম চুন্নুসহ তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বালিয়াকান্দির চৌরঙ্গীর মোড়ে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রেপ্তার অন্য দুজন হলেন বিএনপি কর্মী কামরুল ইসলাম ও মো. রুবেল মোল্লা। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরোয়ার ভুঁইয়াকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার মশিউল আজম চুন্নুর ছেলেসহ তার লোকজন লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর গোলাম সরোয়ার ভুইয়ার সমর্থকরা এগিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয় পক্ষ। প্রায় ১০ মিনিট ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া আর সংঘর্ষ। সংঘর্ষে আহত হন মশিউল আজম চুন্নু, আলম শেখ, জাহিদুল ভুঁইয়া, রুবেল মোল্লা, আরিফ শিকদার, লিটন মিয়া, পথচারী ফিটু মোল্যাসহ ১৫ জন। তাদের মধ্যে তিনজনকে বালিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে বালিয়াকান্দি থানার পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক সূত্রে জানা গেছে, মশিউল আলম চুন্নু সংঘর্ষে আহত হয়ে বালিয়াকান্দি হাসপাতালে গেলে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে একটি বাড়িতে আত্মগোপন করেন। খবর পেয়ে যৌথ বাহিনী সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। ওই সময় তিনি নিজেকে ভিন্ন নামে পরিচয় দিয়েছিলেন। কিন্তু যৌথ বাহিনী তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়।

বালিয়াকান্দি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম সরওয়ার বলেন, মশিউল আযম চুন্নু এলাকায় চাঁদাবাজি করছে। তিনি এর প্রতিবাদ করেছিলেন। শুক্রবার চুন্নুর ছেলেসহ কয়েকজন চৌরঙ্গী বাজারে তাকে ঘিরে ধরে তার কাছেও দেড় লাখ টাকা চাঁদা চায়। চাঁদা না দিলে হত্যা করা হবে বলে হুমকি দেয়। পরে তার সমর্থকরা জানতে পেরে ওদের প্রতিরোধ করে।

মশিউল আযম চুন্নু গ্রæপের বিএনপি নেতা মনিরুজ্জামান বাবু  বলেন, বালিয়াকান্দিতে বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুটি পক্ষে বিভক্ত। এক পক্ষ খৈয়ম-সাবুর অনুসারী। অপরপক্ষ হারুন-আসলামের। তারা খৈয়ম-সাবুর পক্ষের। শুক্রবার তিনি বালিয়াকান্দিতে ছিলেন না। তাই কী নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে তা তার জানা নেই।

বালিয়াকান্দি থানার ওসি জামাল উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তাদের আদালতে চালান করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় গোলাম সরোয়ার ভুইয়া বাদী হয়ে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।