ভোটারদের কেন্দ্রে না যেতে ভয়ভীতি দেখানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন রাজবাড়ী-২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক। বৃহস্পতিবার তিনি রাজবাড়ী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরও পাঠিয়েছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি রাজবাড়ী-২ (পাংশা, বালিয়াকান্দি, কালুখালী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকীর সংসদ সদস্য প্রার্থী ঈগল প্রতীকের নির্বাচনী এজেন্ট। নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা শুরু হওয়ার পর থেকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি।

গত ৩ জানুয়ারি বুধবার রাত ১০টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত রাজবাড়ী-২ আসনের অন্তর্গত মদাপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনুর নেতৃত্বে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সন্ত্রাসীরা মদাপুর ইউনিয়নে, জেলা পরিষদ সদস্য ইউসুফ মেম্বারের নেতৃত্বে তার ছেলে সোহেল, রাসেল ও মাজবাড়ির চরকুলটিয়ার আরজুসহ বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী মাজবাড়ি ইউনিয়নে, সাওরাইল ইউনিয়নে ছাত্রলীগ নেতা কামাল ও আলী চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে স্থানীয় / বহিরাগত সন্ত্রাসীরা, মৃগীতে মতিন চেয়ারম্যান, মনাক্কা মেম্বার, দাউদ উক্ত এলাকার সকল পর্যায়ের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। জঙ্গল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কল্লোল কুমার বসুর নেতৃত্বে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাজকুমার মন্ডল, হামিদুর রহমান সাম্পু স্থানীয় সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এই সকল অপকর্ম প্রতিনিয়ত চলমান রেখেছে নৌকার সমর্থক দুর্বৃত্তরা।

গত ৩ জানুয়ারি বুধবার মৃগী ইউনিয়নের মেড়রা গ্রামে নৌকার প্রার্থী জিল্লুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিমের উপস্থিতিতে নির্বাচনী পথসভায় মনাক্কা মেম্বার স্থানীয় ভোটারদের প্রকাশ্যে মাইকে নৌকায় ভোট না দিলে বাড়ি ছাড়া করা হবে বলে হুমকি দিয়েছে। একই সাথে রাজবাড়ী-২ আসন এলাকার বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকারি ভাতাপ্রাপ্ত উপকারভোগীদের কাছ থেকে কার্ড নবায়ন করার কথা বলে নৌকার সমর্থক চেয়ারম্যান, মেম্বাররা তাদের কার্ড সঙ্গোপনে নিয়ে নিচ্ছে। বলা হচ্ছে নৌকার প্রার্থী বিজয়ী না হলে এ কার্ড আর ফেরত দেওয়া হবেনা। ভোটারদের ভয়ভীতির ঘটনা প্রতিরাতে প্রতি রাতে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসযোগে সশস্ত্র অবস্থায় নৌকার প্রার্থী জনাব জিল্লুুল হাকিমের পুত্র মিতুল হাকিমের নেতৃত্বে রাজবাড়ী-২ আসনের সব ইউনিয়নেই বাড়ি বাড়ি িিগয়ে সাধারণ ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন চলছে। এমতাবস্থায় সকল কেন্দ্র ও ইউনিয়নকে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে অনতিবিলম্বে স্থানীয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী ধরতে কার্যকর গ্রহণ করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।

একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্ন করার জন্য আপনাদের উদ্যোগ ও ভ‚মিকায় আমরা সন্তুষ্ট। কিন্তু উল্লেখিত সন্ত্রাসী কর্মকান্ডগুলো সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়। তাই জরুরি ভিত্তিতে এইসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান জানান, অভিযোগ পেয়েছেন। যথাযথ ব্যবস্থা নিতে অভিযোগটি পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।