কালুখালীতে স্ত্রীকে হত্যা করে পালিয়েছে স্বামী ।পাংশায় কিশোরের মরদেহ উদ্ধার
- প্রকাশের সময় : ০৬:২৪:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ জুন ২০২৩
- / ১১৩৩ জন সংবাদটি পড়েছেন
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের কোমরপুর গ্রামে আব্দুল মিয়া নামে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর পালিয়েছে এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকালে ঘর থেকে তার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত আব্দুল একই গ্রামের নুরু মিয়ার ছেলে। একই দিন পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর থেকে হাসিব শেখ নামে ১৩ বছরের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সাত বছর আগে কালুখালী উপজেলার কোমরপুর গ্রামের মৃত জনাব শেখের মেয়ে রাশিদার সাথে বিয়ে হয় আব্দুল মিয়ার। বর্তমানে তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। আব্দুল মাঝে মধ্যে তার স্ত্রীকে নির্যাতন করতো। মঙ্গলবার রাতে নির্যাতনের এক পর্যায়ে আব্দুল মিয়া ইট দিয়ে তার স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ঘরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। সকালে ঘরের পাটকাঠির বেড়া ভেঙে ভেতরে ঢুকে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের সদস্যরা।
নিহতের বড় বোন আসমা বেগম জানান, তার ভগ্নিপতি আব্দুল টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করে। বেশ কিছুদিন ধরে বিদেশে যাওয়ার জন্য তার বোনের কাছে টাকা চাইত। তার বোনের নামে যে সম্পত্তি আছে সেটা বিক্রি করে দিতে বলতো। কিন্তু তার বোন তাতে রাজী হয়নি। তিনি ধারণা করছেন, একারণেই আব্দুল তার বোনকে হত্যা করেছে।
কালুখালী থানার ওসি প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ^াস জানান, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলাসহ পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
অপরদিকে পাংশা উপজেলার বাবুপাড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর থেকে হাসিব শেখ নামে এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পাংশা থানার পুলিশ। সে একই উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের খালকুলা গ্রামের হামিদুল শেখের ছেলে।
নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, গত সোমবার হাসিব তার বাবার ভ্যান নিয়ে বের হয়েছিল। সন্ধ্যায়ও বাড়ি ফিরে না আসায় তার বাবা পাংশা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই সূত্র ধরে বুধবার সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ভ্যান ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।
পাংশা থানা সূত্র জানায়, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।