রাজবাড়ী সনাক এর উদ্যোগ: করোনাকালীন সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা
- প্রকাশের সময় : ০৭:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুন ২০২১
- / ১৪৬০ জন সংবাদটি পড়েছেন
করোনাকালীন সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয় প্রতিপাদ্যে জেলা প্রাথমিকশিক্ষা কর্তৃপক্ষকে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতা বৃদ্ধি ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর অনুপ্রেরণায় গঠিত সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) মতবিনিময় সভা সোমবার, সকাল ১১টাায় ভার্চুয়ালি (জুম অ্যাপের মাধ্যমে) অনুষ্ঠিত হয়। সভায় করোনাকালীন চিত্রের পাশাপাশি সনাকের তত্ত্বাবধানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা ও রাজবাড়ী জেলার সার্বিক প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার চলমান গৃহিত পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সনাক সভাপতি প্রফেসর মোঃ নুরুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমী এর পক্ষে আতাউর রহমান, মনিটরিং অফিসার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, রাজবাড়ী। অনুষ্ঠিত সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সনাক সহ-সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ। অন্যদের মাঝে বক্তৃতা করেন সনাক সদস্য সৌমিত্র শীল চন্দন ও লুৎফুন্নেচ্ছা বেগম।
করোনাকালীন সংকটে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নে রাজবাড়ী জেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্তকরণ, অভিভাবকদের উৎসাহ প্রদান, ঝরেপড়ারোধ, সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি, উপবৃত্তি প্রদান, দাপ্তরিক কার্যক্রম ইত্যাদির চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে মুক্ত আলোচনায় সনাক সদস্য সৌমিত্র শীল চন্দন, লুঃফুন্নেছা সুপারিশমূলক ও প্রশ্নবোধক আলোচনা করেন। আলোচনা পরবর্তী সুপারিশসমূহ সন্নিবেশকরণ বিষয়ে মতামত ও প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন আতাউর রহমান, মনিটরিং অফিসার। তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও মন্ত্রণালয়ের সুপারিশসমূহ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তারই ভিত্তিতে অনলাইনে পাঠদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শিক্ষকেরা ফলোআপ দিচ্ছেন এবং বাড়ী বাড়ী গিয়ে সকল কাজ শিক্ষকগণ নোটবুকে লিখছেন এবং সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছেন। যদি কখনও কোন শিক্ষার্থী মোবাইল ফোনের পাঠদান গ্রহণ করতে না পারে তবে তার অভিভাবককে বিষয়টি জানিয়ে ফোনটি শিক্ষার্থীর কাছে নির্দিষ্ট সময়ে রাখার জন্য শিক্ষকগণ অনুরোধক্রমে নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি ঝরেপড়ারোধে অভিভাবকদের সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এসএমসি’র সদস্যদের নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সকলকে ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যকে সচেতন ও সাবধান করার তথ্য প্রদানের জন্য সকলকে অনুরোধ জানান। উক্ত মতবিনিময় সভা আয়োজনের জন্য সনাক-টিআইবি কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে জেলা প্রাথমিক মনিটরিং অফিসার আতাউর রহমান। তিনি শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে গঠনমূলক সুপারিশ, অসঙ্গতি, কোন দুর্নীতি বা অনিয়ম পরিলক্ষিত হয় এবং তাদেরকে নির্দিষ্টভাবে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। বর্তমানে গুগল মিটের মাধ্যমে ক্লাস নেয়া হচ্ছে এবং সেখানে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশগ্রহন করছেন। তবে অভিভাবকদেও আরও সচেতন হয়ে ডিভাইস ব্যবহারের সুযোগ কওে দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
অনলাইন সভার সমাপ্তিতে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক)’র সভাপতি প্রফেসর মোঃ নুরুজ্জামান বক্তব্য উপস্থাপন করেন এবং পরিশেষে শিক্ষা বছরের লক্ষ্যমাত্রায় করোনাকালীন ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রস্তুত করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তাদের প্রতি সুপারিশ জানিয়ে সভার কার্যক্রম সমাপ্ত ঘোষণা করেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন টিআইবির এরিয়া কো অর্ডিনেটর মাসুদ আহমেদ।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি