অবৈধভাবে গাড়ি পার॥ দৌলতদিয়ায় কথিত সাংবাদিকসহ ৪ জনের জেল-জরিমানা
- প্রকাশের সময় : ০৯:২১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই ২০২০
- / ১৮০৮ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাটে অবৈধ ভাবে ফেরিতে গাড়ী পারাপার করার চেষ্টাকালে সুজন খন্দকার (২৮) নামের এক কথিত সাংবাদিকসহ দুইজনকে ৬ মাসের জেল ও দুইজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
৬ মাসের কারাদন্ড প্রাপ্ত আতিয়ার রহমান (৩৬) ছাত্রদলের সাবেক নেতা। কিছুদিন আগে সে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগে যোগদান করেছে। এছাড়া রাজীব মন্ডল (২৮) ও উজ্জল ফকির (২৭) নামের ২জনকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দন্ডে দন্ডিত করে ভ্রাম্যমান আদালত।
ভ্রাম্যমান আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দিনগত রাত ১০টার দিকে তাদেরকে গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ট্রাফিক পুলিশ বক্স এলাকা থেকে আটক করা হয়। মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে থাকা চালকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়ে এবং প্রভাব খাটিয়ে কয়েকটি যানবাহনকে আগে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল তারা। এ সময় ঘাট এলাকায় কর্তব্যরত গোয়েন্দা সংস্থার একটি দল সুজন ও আতিয়ারকে হাতে নাতে আটক করে।
সূত্র জানায়, সুজন ঘাটের একজন চিহ্নিত দালাল ও দৌলতদিয়া পতিতাপল্লীর একজন বাড়ীওয়ালা। নিজের অপকর্মকে আড়াল করতে সে ইউটিউব নির্ভর একটি অনলাইন টিভি খুলে তার প্রকাশক হয়েছে। এ ছাড়া আতিয়ার দীর্ঘদিন ছাত্রদল ও বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার পর ঘাটের চাঁদাবাজীকে নির্বিঘœ করতে আওয়ামীলীগে যোগ দেন। দীর্ঘদিন ধরে তারা ঘাট এলাকায় পরিবহনের দালালী ও চঁাঁদাবাজীর সাথে যুক্ত। গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘাট এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে রাজীব মন্ডল ও উজ্জল ফকিরকে একই অপরাধে আটক করেন এবং দালালদের ব্যবহৃত ২টি মোটর সাইকেল জব্দ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক মো. আমিনুল ইসলাম সুজন খন্দকার ও আতিয়ার রহমানকে ৬ মাস করে কারাদন্ড এবং রাজীব মন্ডল ও উজ্জল ফকিরকে ১০ হাজার টাকা করে আর্থিক দন্ডে দন্ডিত করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম জানান, ঘাট এলাকায় চাঁদাবাজী, পরিবহনের দালালী, চুরি-ছিনতাইসহ যে কোন ধরণের অপরাধ দমন ও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীেেদর নির্বিঘেœ যাতায়াত নিশ্চিত করতে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করছেন। দন্ডপ্রাপ্ত ৪ ব্যক্তি চালকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে এবং অবৈধ উপায়ে কয়েকটি যানবাহনকে ফেরিতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছিল। যে কারণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে তাদেরকে আটক ও সাজা দেয়া হয়।