Dhaka ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজবাড়ী‌তে করোনার সংক্রম‌ণ বাড়‌ছে:  বা‌ড়েনি স‌চেতনতা

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০
  • / ১৫২৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত অনলাইন : সারা‌দে‌শের মত রাজবাড়ী‌তে ক‌রোনায় অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা উ‌ল্লেখ‌যোগ্য হা‌রে বাড়‌লেও সামা‌জিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য‌বি‌ধি মান‌তে দেখাযায়‌নি জনগণ‌কে।

‌রাজবাড়ী জেলা শহ‌রের বড় বাজার ও শহ‌রের প্রধান সড়কসহ অ‌লি‌তে গ‌লি‌তে বি‌ভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ‌কে গাদাগা‌দি ক‌রে চলাচল কর‌তে দেখা যায়।

এ সময় কাউ‌কে দেখাযায়‌নি সামা‌জিক দুরত্ব নি‌শ্চিত ক‌রে চল‌তে। ত‌বে শুধুমাত্র জনগ‌ণ‌কে মাস্ক ব্যবহার কর‌তেই দেখা‌গে‌ছে। এছাড়া শহ‌রের সকল ধ‌র‌নের ব্যবসা প্র‌তিষ্ঠান ও খাবা‌রের দোকান খোলা র‌য়ে‌ছে। সেই সা‌থে সড়ক ও অ‌লি‌তে গ‌লি‌তে চাপ র‌য়ে‌ছে ব্যাটারী চা‌লিত ই‌জিবাইক ও অ‌টো‌রিক্সা। এ‌তেও মানা হ‌চ্ছে না সামাজিক দুরত্ব।

এ‌দি‌কে গত ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে বা‌লিয়াকা‌ন্দির ইউএনওসহ জেলার সাংবা‌দিক, পু‌লিশ ও বি‌ভিন্ন হাসপাতা‌লের চিকিৎসকসহ ৬৯ জনের শরী‌রে ক‌রোনা সনাক্ত হ‌য়ে‌ছে। এ‌নি‌য়ে জেলায়‌ মোট অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা দাঁ‌ড়ি‌য়ে‌ছে  ২২১ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত চি‌কিৎসা নি‌য়ে সুস্থ্য হ‌য়ে‌ছেন ৭৭ জন এবং মারা গে‌ছে ২ জন।

অপর‌দি‌কে সামা‌জিক দু‌রত্ব নি‌শ্চিত ও জনগণ‌কে স‌চেতন কর‌তে শহ‌রে ব্যবসায়ী ও অাওয়ামীলীগ নেতা কাজী ইরাদত অালীর  স্বেচ্ছা‌সেবক ও টহল পু‌লিশ ছাড়া দেখাযায়‌নি অাইন শৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস্য‌দের।

ই‌জিবাইক ও অ‌টো‌রিক্সা চালকরা জানান, ক‌রোনা তো অা‌স্তে অা‌স্তে বাড়‌ছে, কম‌ছে না। অার মরার ভ‌য়ে ঘ‌রে ব‌সে থাক‌লে, না খে‌য়ে মর‌তে হ‌বে। তাই না খে‌য়ে মরার চে‌য়ে প‌রিবা‌রে‌র সবার মু‌খে দু-‌বেলা দু-মু‌ঠো খাবার দি‌তেই  ঝু‌কি নি‌য়ে  রাস্তায় বের হ‌য়ে‌ছেন। স‌চেতনতা এখন সব নি‌জে‌দের ম‌ধ্যে। চেষ্টা কর‌ছেন নি‌জেদের নিরাপদ রে‌খে চলাচল কর‌তে। বাঁকীটা অাল্লাহ ভরসা।

যাত্রীরা জানান, প্র‌য়োজ‌নের তা‌গি‌দেই তারা  ঘ‌রের বাই‌রে বের হ‌চ্ছেন। বাজার সদাই না কর‌লে খা‌বেন কি। ঘ‌রে ব‌সে থাক‌লে তাদের বাজার কেউ ক‌রে দে‌বে না। অ‌নে‌কে মু‌খে অ‌নেক কথা বল‌ছেন, কিন্তু বাস্ত‌বে কতটা পালন কর‌ছেন। বর্তমান রাজবাড়ীর যে অবস্থা তাতে, তা‌তে অাল্লাহ জা‌নেন কার কপা‌লে কি অা‌ছে। বাজা‌রে ঘা‌টে অাসার সময় অ‌নে‌কের সংর্স্প‌শে অাস‌ছেন। কিন্তু তারপরও জীবন জী‌বিকার তা‌গি‌দে বাজারে অাস‌ছেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্র‌ণে সরকার ও প্রশাসন‌কে অা‌রো ক‌ঠোর হ‌তে হ‌বে। তানাহ‌লে সবারই অাপনজন‌দের হারা‌তে হ‌তে পারে।

রাজবাড়ীর সি‌ভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম ব‌লেন, জনগণ ঘ‌রে থাক‌তে চায় না। বি‌ভিন্ন অজুহা‌তে তারা বাই‌রে অাস‌ছে। ফ‌লে প্র‌তি‌দিনই জেলায় অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা বাড়‌ছে। ই‌তিম‌ধ্যে জেলায় অাক্রা‌ন্তের তা‌লিকায় যোগ হ‌য়ে‌ছে ইউএনও, ডাক্তার, পু‌লিশ, সাংবা‌দিকসহ ২২১ জন। ত‌বে অাশার বানী হ‌চ্ছে এখন পর্যন্ত সুস্থ হ‌য়ে‌ছে ৭৭জন। ডাক্তারসহ সং‌শ্লিষ্ট সবাই ও প্রশাসন সংক্রমণ নিয়ন্ত্র‌ণে অাপ্রান চেষ্টা কর‌ছেন। অাক্রান্ত ব্য‌ক্তি‌দের হাসপাতাল ও হোম অাই‌সো‌লেশ‌নে রে‌খে চি‌কিৎসা দি‌চ্ছেন। বৃহৎ এ জন‌গোষ্ঠী‌কে সী‌মিত জনবল নি‌য়ে‌ চি‌কিৎসা দেয়া সম্ভব না। তারপরও তা‌দের সাধ্যমত চেষ্টা কর‌ছেন এবং সবাই‌কে স‌চেতন হ‌তে অনু‌রোধ জা‌নান তি‌নি।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

রাজবাড়ী‌তে করোনার সংক্রম‌ণ বাড়‌ছে:  বা‌ড়েনি স‌চেতনতা

প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ জুন ২০২০

জনতার আদালত অনলাইন : সারা‌দে‌শের মত রাজবাড়ী‌তে ক‌রোনায় অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা উ‌ল্লেখ‌যোগ্য হা‌রে বাড়‌লেও সামা‌জিক দুরত্ব ও স্বাস্থ্য‌বি‌ধি মান‌তে দেখাযায়‌নি জনগণ‌কে।

‌রাজবাড়ী জেলা শহ‌রের বড় বাজার ও শহ‌রের প্রধান সড়কসহ অ‌লি‌তে গ‌লি‌তে বি‌ভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ‌কে গাদাগা‌দি ক‌রে চলাচল কর‌তে দেখা যায়।

এ সময় কাউ‌কে দেখাযায়‌নি সামা‌জিক দুরত্ব নি‌শ্চিত ক‌রে চল‌তে। ত‌বে শুধুমাত্র জনগ‌ণ‌কে মাস্ক ব্যবহার কর‌তেই দেখা‌গে‌ছে। এছাড়া শহ‌রের সকল ধ‌র‌নের ব্যবসা প্র‌তিষ্ঠান ও খাবা‌রের দোকান খোলা র‌য়ে‌ছে। সেই সা‌থে সড়ক ও অ‌লি‌তে গ‌লি‌তে চাপ র‌য়ে‌ছে ব্যাটারী চা‌লিত ই‌জিবাইক ও অ‌টো‌রিক্সা। এ‌তেও মানা হ‌চ্ছে না সামাজিক দুরত্ব।

এ‌দি‌কে গত ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে বা‌লিয়াকা‌ন্দির ইউএনওসহ জেলার সাংবা‌দিক, পু‌লিশ ও বি‌ভিন্ন হাসপাতা‌লের চিকিৎসকসহ ৬৯ জনের শরী‌রে ক‌রোনা সনাক্ত হ‌য়ে‌ছে। এ‌নি‌য়ে জেলায়‌ মোট অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা দাঁ‌ড়ি‌য়ে‌ছে  ২২১ জনে। এছাড়া এখন পর্যন্ত চি‌কিৎসা নি‌য়ে সুস্থ্য হ‌য়ে‌ছেন ৭৭ জন এবং মারা গে‌ছে ২ জন।

অপর‌দি‌কে সামা‌জিক দু‌রত্ব নি‌শ্চিত ও জনগণ‌কে স‌চেতন কর‌তে শহ‌রে ব্যবসায়ী ও অাওয়ামীলীগ নেতা কাজী ইরাদত অালীর  স্বেচ্ছা‌সেবক ও টহল পু‌লিশ ছাড়া দেখাযায়‌নি অাইন শৃঙ্খলা বা‌হিনীর সদস্য‌দের।

ই‌জিবাইক ও অ‌টো‌রিক্সা চালকরা জানান, ক‌রোনা তো অা‌স্তে অা‌স্তে বাড়‌ছে, কম‌ছে না। অার মরার ভ‌য়ে ঘ‌রে ব‌সে থাক‌লে, না খে‌য়ে মর‌তে হ‌বে। তাই না খে‌য়ে মরার চে‌য়ে প‌রিবা‌রে‌র সবার মু‌খে দু-‌বেলা দু-মু‌ঠো খাবার দি‌তেই  ঝু‌কি নি‌য়ে  রাস্তায় বের হ‌য়ে‌ছেন। স‌চেতনতা এখন সব নি‌জে‌দের ম‌ধ্যে। চেষ্টা কর‌ছেন নি‌জেদের নিরাপদ রে‌খে চলাচল কর‌তে। বাঁকীটা অাল্লাহ ভরসা।

যাত্রীরা জানান, প্র‌য়োজ‌নের তা‌গি‌দেই তারা  ঘ‌রের বাই‌রে বের হ‌চ্ছেন। বাজার সদাই না কর‌লে খা‌বেন কি। ঘ‌রে ব‌সে থাক‌লে তাদের বাজার কেউ ক‌রে দে‌বে না। অ‌নে‌কে মু‌খে অ‌নেক কথা বল‌ছেন, কিন্তু বাস্ত‌বে কতটা পালন কর‌ছেন। বর্তমান রাজবাড়ীর যে অবস্থা তাতে, তা‌তে অাল্লাহ জা‌নেন কার কপা‌লে কি অা‌ছে। বাজা‌রে ঘা‌টে অাসার সময় অ‌নে‌কের সংর্স্প‌শে অাস‌ছেন। কিন্তু তারপরও জীবন জী‌বিকার তা‌গি‌দে বাজারে অাস‌ছেন। সংক্রমণ নিয়ন্ত্র‌ণে সরকার ও প্রশাসন‌কে অা‌রো ক‌ঠোর হ‌তে হ‌বে। তানাহ‌লে সবারই অাপনজন‌দের হারা‌তে হ‌তে পারে।

রাজবাড়ীর সি‌ভিল সার্জন ডাঃ মোঃ নুরুল ইসলাম ব‌লেন, জনগণ ঘ‌রে থাক‌তে চায় না। বি‌ভিন্ন অজুহা‌তে তারা বাই‌রে অাস‌ছে। ফ‌লে প্র‌তি‌দিনই জেলায় অাক্রা‌ন্তের সংখ্যা বাড়‌ছে। ই‌তিম‌ধ্যে জেলায় অাক্রা‌ন্তের তা‌লিকায় যোগ হ‌য়ে‌ছে ইউএনও, ডাক্তার, পু‌লিশ, সাংবা‌দিকসহ ২২১ জন। ত‌বে অাশার বানী হ‌চ্ছে এখন পর্যন্ত সুস্থ হ‌য়ে‌ছে ৭৭জন। ডাক্তারসহ সং‌শ্লিষ্ট সবাই ও প্রশাসন সংক্রমণ নিয়ন্ত্র‌ণে অাপ্রান চেষ্টা কর‌ছেন। অাক্রান্ত ব্য‌ক্তি‌দের হাসপাতাল ও হোম অাই‌সো‌লেশ‌নে রে‌খে চি‌কিৎসা দি‌চ্ছেন। বৃহৎ এ জন‌গোষ্ঠী‌কে সী‌মিত জনবল নি‌য়ে‌ চি‌কিৎসা দেয়া সম্ভব না। তারপরও তা‌দের সাধ্যমত চেষ্টা কর‌ছেন এবং সবাই‌কে স‌চেতন হ‌তে অনু‌রোধ জা‌নান তি‌নি।