Dhaka ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদপুরের আলোচিত শহর আ’লীগের সম্পাদক বরকতকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০
  • / ১৬৫১ জন সংবাদটি পড়েছেন

জনতার আদালত ডেস্ক : ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। অস্ত্র-গুলি, মাদক, চালসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত সোমবার রাতে শহর আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরিদুপর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে শহর আওয়ামী লীগের এক জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ হতে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়। অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ সংবলিত চিঠিটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে তাদের সুপারিশসহ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে সাজ্জাদ হোসেন বরকতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, অর্থ পাচার, জমি দখল, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথা বলা হয়। তার এসব কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে উল্লেখ করে বৈঠকে সর্বসম্মতিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে বহিস্কারের সুপারিশ সংবলিত চিঠি পেলে তিনি সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবেন। বহিস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে গত ১৬ মে রাতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত রোববার রাতে বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র-গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা; জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ চাল। ওই ঘটনায় বরকত, রুবেল ও গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বিপুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক আরও তিনটি মামলা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের তিন এসআই এসব মামলার বাদী।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ফরিদপুরের পৌর কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন, বর্ধিত ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চক্রবর্তী, ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা, এনামুল ইসলাম, অমিয় সরকার ও জাহিদ খান।
এদিকে বরকত, রুবেল, বিপুল ও মাহফুজুর রহমান মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

ফরিদপুরের আলোচিত শহর আ’লীগের সম্পাদক বরকতকে দল থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ জুন ২০২০

জনতার আদালত ডেস্ক : ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি ও দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। অস্ত্র-গুলি, মাদক, চালসহ গ্রেপ্তার হওয়ার পর গত সোমবার রাতে শহর আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ফরিদুপর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম খন্দকার লেভী স্বাক্ষরিত চিঠি সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে শহর আওয়ামী লীগের এক জরুরি বৈঠক হয়। বৈঠকে সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে দলীয় প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ হতে বহিস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়। অব্যাহতি ও বহিস্কারের সুপারিশ সংবলিত চিঠিটি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কাছে পাঠিয়ে তাদের সুপারিশসহ কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে পাঠানোর অনুরোধ জানানো হয়। চিঠিতে সাজ্জাদ হোসেন বরকতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, টেন্ডারবাজি, অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার, অর্থ পাচার, জমি দখল, নিজস্ব বাহিনী দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা এবং সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা-ভাংচুরসহ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কথা বলা হয়। তার এসব কর্মকাণ্ডে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে উল্লেখ করে বৈঠকে সর্বসম্মতিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি এবং দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পদ থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে বহিস্কারের সুপারিশ সংবলিত চিঠি পেলে তিনি সুপারিশ করে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবেন। বহিস্কারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্র।
প্রসঙ্গত, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে গত ১৬ মে রাতে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গত রোববার রাতে বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় অস্ত্র-গুলি, বিদেশি মদ ও নগদ টাকা; জব্দ করা হয় বিপুল পরিমাণ চাল। ওই ঘটনায় বরকত, রুবেল ও গ্রেপ্তার রেজাউল করিম বিপুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক আরও তিনটি মামলা হয়েছে। কোতোয়ালি থানা পুলিশের তিন এসআই এসব মামলার বাদী।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন- ফরিদপুরের পৌর কাউন্সিলর মাহফুজুর রহমান মামুন, বর্ধিত ১৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নারায়ণ চক্রবর্তী, ইয়াসমিন সুলতানা বন্যা, এনামুল ইসলাম, অমিয় সরকার ও জাহিদ খান।
এদিকে বরকত, রুবেল, বিপুল ও মাহফুজুর রহমান মামুনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। যা মঙ্গলবার শুরু হয়েছে।