কালুখালী উপজেলার প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় ॥ সুষ্ঠু নির্বাচনের আশাবাদ ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসকের
- প্রকাশের সময় : ০৯:৪১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জুন ২০১৯
- / ১৬৬১ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ আসন্ন কালুখালী উপজেলা নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা শনিবার সকালে রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুছাইন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রাজবাড়ীর ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মো. আলমগীর হুছাইনের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন রাজবাড়ী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাবিবুর রহমান, রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম, কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুন্নাহার, কালুখালী থানার ওসি ফরহাদ হোসেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আলিমুজ্জামান চৌধুরি প্রমুখ।
সভায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কাজী সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। নির্বাচনের কোনো সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। গতকালও আমার নির্বাচনী পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে। তিনজনকে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। আমি জীবনের নিরাপত্তায় ভুগছি। এভাবে চলতে থাকলে নির্বাচন করা দুরূহ হবে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, নৌকা প্রতীকের প্রার্থীই যদি জিীবনের নিরাপত্তায় ভোগেন তাহলে অন্য প্রার্থীদের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। তিনি নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানান। নুরে আলম সিদ্দিকী হক বলেন, বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন রাজবাড়ীর ৪টি উপজেলার নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছে। সব জায়গায় তা প্রশংসিত হয়েছে। কালুখালী নির্বাচনেও সে ধারা অব্যাহত থাকবে। কিন্তু নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই একটি মহল পরিবেশ বিনষ্ট করতে উঠে পড়ে লেগেছে। কয়েকদিন আগে ১৫/২০ জনের একটি মুখোশধারী দল তার গ্রামে গিয়ে নির্বাচন না করার জন্য মানুষকে হুমকি দিয়েছে। শুক্রবার বাংলাদেশ হাট মোড়ে তার সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। আমার চালককে মারধর করেছে। যদি নির্বাচনী আচরণ বিধি আমিও লঙ্ঘন করে থাকি তাহলে আমিও সাাজা নিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু কোনভাবেই যেন নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে। অস্থিতিশীল পরিবেশ যেন না হয়। আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাসী। তা যেন অক্ষুন্ন থাকে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আলিউজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমিও চাই নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে হোক। যেসব ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত হোক।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফজলুল করিম বলেন, নির্বাচন ফ্রি এন্ড ফেয়ার হবে এতে কোন সন্দেহ নেই। কোনোভাবে কাউকে উশৃঙ্খল আচরণ করতে দেয়া হবেনা। কোাে ব্যত্যয় ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তাহীনতার কোন অবকাশ নেই। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যা যা করনীয় তার সবই করা হবে। কালুখালীতে রেকর্ডসংখ্যক পুলিশ এবং সর্বোচ্চ সংখ্যক ফোর্স নিয়োজিত থাকবে।
সভার সভাপতি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আলমগীর হুছাইন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধভাবে সম্পন্ন করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ প্রমাণিত হলে নির্বাচনী আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। পেশি শক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যাবে এ কথা যেন কেউ স্বপ্নেও না ভাবে। কোনভাবেই কাউকে পেশি শক্তি ব্যবহার করতে দেয়া হবেনা। সবাই নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে স্বাধীনভাবে ভোট দেবে। উপজেলার বাইরের কেউ নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় অংশ নিতে পারবেনা। এমন হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা।