পাংশায় লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে সাংবাদিকের ৪ হাতÑপা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
- প্রকাশের সময় : ০৮:৪০:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
- / ২৪৩৪ জন সংবাদটি পড়েছেন
জনতার আদালত অনলাইন ॥ রাজবাড়ীর পাংশায় লোহার রড দিয়ে নির্মমভাবে পিটিয়ে আবুল কালাম আজাদ নামে এক সাংবাদিকের চার হাতÑপা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার রাত আটটার দিকে পাংশা শহরের প্রাণকেন্দ্র টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। বর্তমানে তিনি ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। তার বাড়ি পাংশা পৌর এলাকার মাগুড়াডাঙ্গি গ্রামে। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত আজকালের খবর, কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত আন্দোলনের বাজার এবং ফরিদপুর থেকে প্রকাশিত বাঙ্গালীর খবর পত্রিকার পাংশা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এছাড়া পাংশা উপজেলা প্রেসক্লাবের একাংশের সভাপতিও তিনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আবুল কালাম আজাদ রাত আটটার দিকে পাংশা শহর থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। টেম্পু স্ট্যান্ড এলাকায় পৌছানোর পর ওৎ পেতে থাকা ১০/১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত তার উপর হামলা চালিয়ে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। ওই সময় তিনি আর্তনাদ করলেও তাকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে আসার সাহস দেখাতে পারেনি। পরে স্থানীয় লোকজন তকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাৎক্ষণিক তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে পাঠানো হয় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে।
সাংবাদিক আবুল কালামের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিককালে বিভিন্ন অনিয়ম ও অন্যায়ের চিত্র তুলে ধরে নিউজ করায় একটি প্রভাবশালী মহল তার উপর ক্ষুব্ধ ছিল। বেশ কয়েকবার তাকে হুমকি ও নানাভাবে হয়রানী করে তারা। ওই প্রভাবশালী মহলের ইন্ধনেই আবুল কালামের উপর এ হামলা হয়েছে বলে ধারণা তাদের।
পাংশা থানার ওসি মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ জানান, খবর পেয়ে রাতেই তাকে পাংশা হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন। তবে এব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফজলুল করিম জানান, ঘটনাটি তিনি শুনেছেন। যখন ঘটনা ঘটে তখন তিনি বালয়াকান্দি ছিলেন। কারা সাংবাদিক আবুল কালামের উপর হামলা চালিয়েছে তা তিনি জানেন না। এব্যাপারে এখনও কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পাংশা উপজেলা এলাকায় শিক্ষক, ছাত্রসহ রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা হামলার শিকার হচ্ছেন। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় এসব ঘটনা ঘটছে বলে জানা গেছে।