Dhaka ০৩:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হামাগুড়ি দিয়ে মাস্টার্সে মশিউলের পাশে দাঁড়ালো কেকেএস

সংবাদদাতা-
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭
  • / ১৪৪৩ জন সংবাদটি পড়েছেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশিউলের অনেক প্রত্যাশা ছিল একটি চাকরীর। অবশেষে মিলল তার বহু প্রত্যাশার চাকরী। তার পাশে দাঁড়িয়েছে কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা  কেকেএস) নামে  রাজবাড়ীর একটি এনজিও। বর্তমানে তিনি কেকেএস এর কালুখালী শাখায় কর্মরত রয়েছেন। মশিউলের আশা এ চাকরী প্রাপ্তির মাধ্যমে তার জীবনে ইতিবাচক মোড় নেবে।
মশিউল রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তার দুটি পা অচল। সাংসারিক দরিদ্রতার কারণে হুইল চেয়ার কেনা হয়নি কোনোদিন। পথ চলতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে স্কুল, কলেজের গন্ডি পেরিয়ে পড়াশোনা করছেন মাস্টার্সে। বর্তমানে তিনি পাংশা সরকারি কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। এবিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় তাকে নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন এ প্রসঙ্গে বলেন, কেকেএস এ বর্তমানে কোনো পদ খালি নেই। নির্বাহী পরিচালকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নতুন পদ সৃষ্টি করে গত ৭ জুন কালুখালী শাখায় তাকে পদায়ন করা হয়েছে। সেখানে কেকেএস শিশু বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কেকেএস অফিসে মাইক্রোক্রেডিট ফিন্যান্স বিষয়ে তিনি কাজ করবেন। এতে তার অভিজ্ঞতা  হবে। নিশ্চয় ধীরে ধীরে মশিউল অনেক উন্নতি করবেন।
মশিউল আযম সমকালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, চাকরী পেয়ে আমি অনেক খুশী। তিনি বলেন, ছোটকাল থেকেই সংসারে অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়েছি। মায়ের এখন বয়স হয়েছে। মা এখন খুব একটা কাজ করতে পারেন না। পঙ্গুত্বের কারণে আমি সংসারের বোঝা ছিলাম। তাই এই চাকরী আমার এবং আমার মায়ের জন্য  বড় উপকার হলো।
নয় মাস বয়সে পোলিও রোগ হয়েছিল মশিউলের। সুচিকিৎসার অভাবে তার দুই পা অচল হয়ে যায়। মাত্র ১২ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে পাংশা কে রাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ড. কাজী মোতাহার হোসেন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং পাংশা সরকারি কলেজ থেকে ¯œাতক পাশ করেন।

Tag :

সংবাদটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন-

হামাগুড়ি দিয়ে মাস্টার্সে মশিউলের পাশে দাঁড়ালো কেকেএস

প্রকাশের সময় : ০৭:৪৭:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুন ২০১৭

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মশিউলের অনেক প্রত্যাশা ছিল একটি চাকরীর। অবশেষে মিলল তার বহু প্রত্যাশার চাকরী। তার পাশে দাঁড়িয়েছে কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থা  কেকেএস) নামে  রাজবাড়ীর একটি এনজিও। বর্তমানে তিনি কেকেএস এর কালুখালী শাখায় কর্মরত রয়েছেন। মশিউলের আশা এ চাকরী প্রাপ্তির মাধ্যমে তার জীবনে ইতিবাচক মোড় নেবে।
মশিউল রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার হাবাসপুর ইউনিয়নের মৃত রমজান আলীর ছেলে। তার দুটি পা অচল। সাংসারিক দরিদ্রতার কারণে হুইল চেয়ার কেনা হয়নি কোনোদিন। পথ চলতে হয় হামাগুড়ি দিয়ে। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা তাকে দমাতে পারেনি। অদম্য ইচ্ছাশক্তির উপর ভর করে স্কুল, কলেজের গন্ডি পেরিয়ে পড়াশোনা করছেন মাস্টার্সে। বর্তমানে তিনি পাংশা সরকারি কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্র। এবিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল তারিখে দৈনিক সমকাল পত্রিকায় তাকে নিয়ে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।
রাজবাড়ী কর্মজীবী কল্যাণ সংস্থার পরিচালক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন এ প্রসঙ্গে বলেন, কেকেএস এ বর্তমানে কোনো পদ খালি নেই। নির্বাহী পরিচালকের অনুরোধের প্রেক্ষিতে নতুন পদ সৃষ্টি করে গত ৭ জুন কালুখালী শাখায় তাকে পদায়ন করা হয়েছে। সেখানে কেকেএস শিশু বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার পাশাপাশি কেকেএস অফিসে মাইক্রোক্রেডিট ফিন্যান্স বিষয়ে তিনি কাজ করবেন। এতে তার অভিজ্ঞতা  হবে। নিশ্চয় ধীরে ধীরে মশিউল অনেক উন্নতি করবেন।
মশিউল আযম সমকালের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, চাকরী পেয়ে আমি অনেক খুশী। তিনি বলেন, ছোটকাল থেকেই সংসারে অভাব অনটনের মধ্যে বড় হয়েছি। মায়ের এখন বয়স হয়েছে। মা এখন খুব একটা কাজ করতে পারেন না। পঙ্গুত্বের কারণে আমি সংসারের বোঝা ছিলাম। তাই এই চাকরী আমার এবং আমার মায়ের জন্য  বড় উপকার হলো।
নয় মাস বয়সে পোলিও রোগ হয়েছিল মশিউলের। সুচিকিৎসার অভাবে তার দুই পা অচল হয়ে যায়। মাত্র ১২ বছর বয়সে তার বাবা মারা যান। প্রাথমিকের গন্ডি পেরিয়ে পাংশা কে রাজ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ড. কাজী মোতাহার হোসেন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং পাংশা সরকারি কলেজ থেকে ¯œাতক পাশ করেন।